বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এখন ক্রিকেট-জ্বর! এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের শুরুটা হয়েছে জয় দিয়ে। ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন এই আসরে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্যের জন্য শুভকামনা জানিয়েছে গোটা জাতি।
নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী খেলার পাগল। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী খেলা মাঠে গড়ানোর প্রাক্কালে ফেসবুকে সবাইকে এক মাসের জন্য ‘বিশ্বকাপ মোবারক’ জানিয়ে রেখেছেন তিনি।
শাকিব খানও ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ। ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী টু’ ছবিতে তাকে ক্রিকেটারের ভূমিকায় দেখা যাবে। কাজের বাইরে তার এখনকার পরিকল্পনায় শুধুই বিশ্বকাপ ক্রিকেট। তিনি বললেন, ‘বিশ্বকাপের খেলা দেখার সময় পাচ্ছি কম। কারণ বেশকিছু ছবির কাজ চলছে। তবুও সময় বের করে অন্তত বাংলাদেশের খেলাগুলো অবশ্যই দেখবো। বাংলাদেশ বড় বড় দলকে হারিয়েছে এর আগে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটেও সেই চিত্র ফিরে ফিরে আসুক। ’
‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী টু’ ছবিতে ইমনেরও জার্সি পরে আর ব্যাট হাতে নিয়ে অভিনয় করার সুযোগ হয়েছে। তিনিও খেলাপাগল মানুষ। অবসর সময়ে টিভিতে খেলা দেখতে পছন্দ করেন জানিয়ে তিনি বললেন, ‘এবারের বিশ্বকাপ তো জমে ওঠেছে। তাই কোনো ম্যাচ মিস করতে চাই না। বাংলাদেশের খেলা অনেক উপভোগ করি। সাকিব, তামিমের বাইরে নতুন তারকা দল থেকে বের হবে। তাদের জ্বলে ওঠার পালা। শুভকামনা এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেট দলের জন্য। তাদের কাছ থেকে শুধু জয় চাই। ’
আশাবাদ ব্যক্ত করলেন ফেরদৌসও। বাংলাদেশের প্রথম খেলা দেখে খুশি তিনি। খেলাপাগল এই অভিনেতা বন্ধুবান্ধব নিয়ে হইহল্লা করে ঘরে বসে খেলা দেখা উপভোগ করেন তিনি। বললেন, ‘সামনের খেলাগুলোতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে, সারাদেশ সেটাই চাইবে। ’
ন্যান্সিও প্রথম খেলা দেখে উচ্ছ্বসিত। যদিও আফগানিস্তানের সঙ্গে এ খেলায় কি হবে তা নিয়ে রোমাঞ্চিত ছিলেন তিনি। আগামী খেলাগুলোর জন্য জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী শুভকামনা জানালেন দলের খেলোয়াড়দের। তিনি বললেন, ‘মাশরাফি, সাকিব, মুশফিকের খেলা আমার আশা বাড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ সামনের খেলাগুলোতে আরও ভালো করবে। সবার জন্য রইলো অভিনন্দন। ’
বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ায় আরিফিন শুভ এখনও ওপার বাংলায়। তিনিও বাংলাদেশ দলের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন। সহধর্মিণী অর্পিতাকে নিয়ে দেশে ফেরার পর পরিবারসহ বেশকিছু ম্যাচ একসঙ্গে দেখার পরিকল্পনা রয়েছে তার। বাবা-মা, বোনসহ একসঙ্গে খেলা দেখছেন বিদ্যা সিনহা মিমও। তার বাবা ক্রিকেটপাগল মানুষ। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে একটি চকলেটের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন বিদ্যা সিনহা মিম। তিনি জানালেন, ‘সাকিব তো নিঃসন্দেহে ভালো খেলোয়াড়, কাজ করতে গিয়ে দেখলাম ব্যক্তিগত জীবনেও মিশুক তিনি। প্রথম খেলায় তার পারফর্ম্যান্সে আমি খুশি। ’
সাকিব আল হাসানের খেলা পছন্দ করেন পূর্ণিমাও। ক্রিকেট খেলা দেখার ব্যাপারে বরাবরই উচ্ছ্বাস কাজ করে তার মধ্যে। কাজ থেকে দূরে আছেন বলে এবারের খেলাগুলো মিস হচ্ছে না তার। তিনি বললেন, ‘ আমি চাই সাকিবের ব্যাট থেকে বেশি বেশি চার-ছক্কা আসুক। আর বাংলাদেশ এবার প্রতিটি ম্যাচে জিতবে, সে প্রত্যাশা রইলো। আর ঢাকায় ঘরে বসে পরিবারের সঙ্গে খেলা দেখব। ’
কাজের বাইরে ঘরে পরিবারের সঙ্গে খেলা উপভোগ করছেন নিরবও। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট পছন্দ করেন তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে তার পছন্দের খেলোয়াড়রা হলেন মুশফিক, মাশরাফি, তাসকিন ও মাহমুদুল্লাহ। ‘বাংলাদেশের খেলা মানে অন্যরকম উত্তেজনা কাজ করে। আর বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আমার দেশের কোনো খেলা মিস করতে চাই না। ’
তবে অপু বিশ্বাসকে অনেক খেলা মিস করতে হচ্ছে। তবে চলতি মাসের খেলাগুলো দেখার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশকে নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বললেন, ‘আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ এবার প্রতিটা ম্যাচেই উজাড় করে সেরা খেলাটা উপহার দেবে। ’
আঁচল এখন বাপ্পীর সঙ্গে ‘সুলতানা বিবিয়ানা’ ছবির কাজে ফরিদপুরের রাজবাড়ীতে কাজ করছেন। এরপর যাবেন যশোরে। ব্যস্ততার মাঝেও বাংলাদেশের খেলাগুলো দেখতে চান তিনি। তার কথায়, ‘বাংলাদেশের খেলা উপভোগ করতে চাই। বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ভালো খেলে তাক লাগিয়ে দিক। বিজয়ের পাশাপাশি তাদের হাতে জয়ের কাপ দেখতে চাই। ’
নিপুণের বাসা সংস্কারের কাজ চলছে। তাই খেলা দেখায় ব্যাঘাত ঘটছে। এজন্য একটু মনমরা তিনি। খেলা দেখা আর বিশ্বকাপ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাসা সংস্কারের কারণে আমাকে হাতিরপুল থেকে বনানী দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের খেলা মিস করতে চাই না। আমার প্রিয় খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান। তার ব্যাটে চার-ছক্কা নিয়মিত দেখতে চাই। ’
সব ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মুখে হাসি দেখতে চান রুহিও। বর মনসুর আলীকে নিয়ে বাংলাদেশের খেলাগুলো উপভোগ করছেন তিনি। সায়মন সাদিক কৈশোর থেকেই ক্রিকেটপ্রেমী। নিজেও ক্রিকেট খেলেছেন। মাশরাফি, সাকিব ও মুশফিক তার পছন্দের খেলোয়াড়। সায়মনের মতে, ‘তারা প্রত্যেকে জ্বলে ওঠার ক্ষমতা রাখেন। তাদের জন্য শুভকামনা। বাংলাদেশের খেলা মানেই বুকের মাঝে বাংলাদেশ। ’
হাবিব ওয়াহিদ নিয়মিত ক্রিকেট খেলা দেখেন। যেখানেই থাকেন না কেনো খেলার খবরটা জেনে নেন তিনি। প্রিয় খেলোয়াড়েরা ভালো খেলবে, এটাই তার প্রত্যাশা। ‘আমাদের খেলোয়াড়েরা তাদের সেরা খেলা খেলাটা অব্যাহত রাখুক। চলো বাংলাদেশ, চলো বহুদূর। শুভকামনা রইলো দলের জন্য। ’
কাজ না থাকলে বাংলাদেশের খেলা দেখতে বসে যান পড়শীও। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রত্যেকের খেলায় তার পছন্দ। তিনি বরেছেন, ‘একটা টিম সবার পরিশ্রমে ম্যাচ জিততে পারে। চার-ছক্কা দেখতে চাই ক্রিকেটারদের ব্যাটে। এজন্য শুভকামনা জানাচ্ছি সবাইকে। বাংলাদেশ বিজয় ছিনিয়ে আনবেই। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৮৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫