দেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের মনপ্রাণ জুড়ে এখন শুধুই ক্রিকেট। ব্যর্থতা বা সাফল্য যা-ই থাকুক, বাংলাদেশ সবসময় থাকে ক্রিকেট উন্মাদনায়।
সমুদ্র সৈকতে জমিয়ে আড্ডা দিয়েছি
নওশীন
বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আড্ডা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। মুশফিক রহিম ও তামিমের সঙ্গে কক্সবাজারে একবার জমিয়ে আড্ডা দিয়েছিলাম। ওখানে তাদের একটি ম্যাচের ধারাভাষ্যকার ছিলাম আমি। ওটা ছিলো ভক্তদের সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে তাদের প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ। এছাড়া অন্য অনুষ্ঠানে নাসির হোসেন, এনামুল হক বিজয় ও তাসকিন আহমেদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। আমার ঘরে একটা ছোট আকারের ব্যাট আছে। এতে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, নাসির হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা অটোগ্রাফ দিয়েছেন। এ ছাড়া খালেদ মাসুদ পাইলটের সঙ্গে একসময় ধানমন্ডি ৫ নম্বরে আড্ডা দিতাম। স্কুলে পড়ার সময় থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলা থাকলে স্কুলে যেতাম না। এ নিয়ে বাবা আর ছোট ভাইয়ের সঙ্গে কতো যে ঝগড়া করেছি। এসব স্মৃতি ভোলার নয়। আরেকটা কথা মনে পড়ে, ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সময় যুক্তরাজ্যে ছিলাম। তখন বাবা ও ছোট ভাইকে নিয়ে স্টেডিয়ামে একসঙ্গে খেলা দেখতে যেতাম। এবার বাংলাদেশ আগের বিশ্বকাপগুলোর চেয়ে অনেকদূর যাবে, শুভকামনা রইলো।
সাকিবের কাছে শুনলাম মুশফিক আমার ভক্ত!
বিদ্যা সিনহা মিম
বেশ কয়েকমাস আগে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে একটি চকোলেটের বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছিলাম। মাহফুজ আহমেদের নির্দেশনায় এর চিত্রায়ন হয় ঢাকার বিভিন্ন জায়গায়। কাজের ফাঁকে আমরা আড্ডা দিয়েছি। খেলা নিয়ে অনেক কথা জানতে চেয়েছি সাকিবের কাছে। কথায় কথায় একটা মজার ঘটনা জানতে পারলাম। সাকিব বলেছিলেন, ‘আমার বন্ধু মুশফিক তো তোমার অনেক বড় ভক্ত! যাওয়ার সময় তোমার নম্বরটা নিয়ে যেতে বলেছে!’ একথা শুনে তো আমি সেইরকম হাসলাম। সাকিবকে খেলোয়াড় হিসেবে যতটা ভালো দেখেছি, মানুষ হিসেবেও আমার কাছে ভালো মনে হয়েছে। এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের খেলা আমার দেখা হয়নি বান্দরবানে দিন-রাত কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায়। তবে বাকি খেলা আর মিস করতে চাই না। বাংলাদেশ ফাইনাল খেলবে ইনশাল্লাহ।
ক্রিকেট মানেই সাকিব
সামিয়া আফরিন
ক্রিকেট বিষয়ক বেশকিছু অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছি। আগে থেকেই ক্রিকেট আমার ভালো লাগে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং বিপিএল চলাকালে মাঠে গিয়ে খেলা উপভোগ করেছি। বাংলাদেশ দলের মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের খেলা উপভোগ করি বেশি। আমার কাছে কেনো যেন মনে হয়, এখন ক্রিকেট মানেই সাকিব! ও আকর্ষণীয় একজন খেলোয়াড়। টিভি অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন আয়োজনে তার সঙ্গে অনেকবার আড্ডা হয়েছে আমার। এ স্মৃতিগুলো মনে রাখার মতো।
ক্রিকেটে সবসময় বাংলাদেশের পক্ষে
সুজানা
খালেদ মাসুদ পাইলট ভাইয়ের খেলা পছন্দ করতাম। ছোটবেলায় তার খেলা অনেক দেখেছি। এখন আর তেমন খেলা দেখা হয় না। তবে এখন সাকিব আল হাসানের খেলা ভালো লাগে। তার সঙ্গে কয়েকটি অনুষ্ঠানে কথা হয়েছে। একবার আমি আর হৃদয় নৈশভোজ করেছি সাকিবের সঙ্গে। অনেক মজার ছিল সেই আড্ডা। সেদিনের কথা আজও মনে আছে। সাকিবের মতো ভালো খেলোয়াড় আছে বাংলাদেশ দলে। তারা সেরাটা দিতে পারলে বিশ্বকাপে অনেকদূর যাওয়া সম্ভব। তাদের জন্য শুভকামনা।
হাসিবুল হোসেন শান্তর পোস্টার কিনতাম
আমব্রিন
ছোটবেলা থেকে হাবিবুল বাশার, মোহাম্মদ রফিক ও মেহরাব হোসেন অপি ভাইয়ের ভক্ত আমি। আর অপি ভাই তো আমার আত্মীয়। সে সুবাদে কয়েকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি কয়েকবার। একটা মজার কথা বলি। হাসিবুল হোসেন শান্ত ভাইয়ের পোস্টার ১০-২০ টাকায় কিনে বাসায় আনতাম। অনেক আগে পেপসি কিনলে একটা কার্ড দিতো ক্রিকেটারদের। তখন এটা বাসায় এনে জমাতাম। আর টিভি অনুষ্ঠান উপস্থাপনার সময় সাকিব আল হাসানের সঙ্গেও কথা হয়েছে। মুশফিক রহিমের খেলাও দারুণ পছন্দ আমার। কাজ থাকলেও ভোর থেকেই এবারের বিশ্বকাপের খেলা দেখছি। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ ফাইনাল খেলবে।
জার্সি পরে শুভকামনা
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উন্মাদনায় তারকারা বাংলাদেশ দলের জার্সি কিনেছেন। জার্সি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্টও করেছেন। জাকিয়া বারী মম, আয়শা মনিকা, ঈশিকা খান, নাবিলা, মারিয়া নূর, চিরকুট ব্যান্ডের তিন শিল্পী সুমী, ইমন চৌধুরী ও পাভেলের জার্সি করা ছবিগুলো দেওয়া হলো এখানে।
বাংলাদেশ সময় : ১৪১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫