নাচ, মডেলিং, অভিনয়, উপস্থাপনা- সবটাতেই সুনাম কুড়িয়েছেন মৌটুসী বিশ্বাস। একুশে টেলিভিশনের ‘অ্যাডভেঞ্চার বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনার মাধ্যমে তার পথচলা শুরু হয়েছিলো।
১. টার্নিং পয়েন্ট...
মৌটুসী বিশ্বাস : মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘একান্নবর্তী’ ধারাবাহিকটি আমার টার্নিং পয়েন্ট। এতে পলা চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। তখন অভিনয় জানতাম না, কিন্তু নাটকের গুণে পরিচিত হয়ে যাই। আমি তখন বিবিএ চতুর্থ সেমিস্টারে পড়ি। কিন্তু পড়াশোনার জন্য পরে একটা লম্বা বিরতি দিতে হলো অভিনয়ে। ফিরে আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত শেখার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
২. যে চরিত্রে অভিনয়টা ভুগিয়েছে?
মৌটুসী : চরিত্র ভোগায় না। প্রতিটা চরিত্রকে ভালোবেসে ফুটিয়ে তুলি। চরিত্র যত কঠিন হয় মনোনিবেশ ততো বেশি থাকে। কিন্তু পরিচালক বা অন্য কারও অপেশাদারিত্ব থাকলে ঝামেলা হয়। একটা দলের কেউ কাজ ঠিকমতো না করলে অন্যদের কাজের ওপরও সেই প্রভাব পড়ে। তখন খুব ভুগি।
৩. অভিনয়শিল্পী হিসেবে নিজেকে কতো দেবেন?
মৌটুসী : নিজেকে কত পারসেন্ট দেবো সেটা মাথায় আনলেই অহংকারী হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমি মনে করি, আরও অনেক পরিশ্রম করতে হবে, অনেক কষ্ট করতে হবে।
৪. কার কার সঙ্গে অভিনয় করতে ইচ্ছে করে?
মৌটুসী : ডেডিকেশন ও আন্তরিকতা যাদের আছে, তাদের সবার সঙ্গেই কাজ করতে ভালো লাগে এবং ইচ্ছে করে।
৫. এখনকার ব্যস্ততা...
মৌটুসী : হাসান তৌফিক অঙ্করের নির্দেশনায় একটি তেলের বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হিসেবে কাজ করছি। আলভী আহমেদ পরিচালিত ‘ইউটার্ন’ ছবির কাজ শেষ করলাম। বাংলাভিশনে মাসুদ সেজানের ‘চলিতেছে সার্কাস’ ধারাবাহিকটির কাজ আছে হাতে। এর প্রচার শুরু হয়েছে। এ ছাড়া অন্য চলমান নাটকগুলোর কাজও চলছে।
৬. কোন বিষয়ে আপনি বেশি খুঁতখুঁতে?
মৌটুসী : সব বিষয়ে আমি খুঁতখুঁতে। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, খাবার-দাবার, অভিনয়, যে কোনও জিনিস কেনার সময় খুব খুঁতখুঁত করি। এমনকি সবজি কিনলেও প্রতিটা দেখে দেখে কিনি। আমার সাথে বাস করা খুব কঠিন! আমার স্বামী ঠান্ডা মাথার মানুষ বলে সম্ভব হয়েছে।
৭. আবার জন্মালে…
মৌটুসী : জন্মাতে চাই না। মানুষের মাঝে মানবতা এত কমে যাচ্ছে যে আবার মানুষ হয়ে জন্মানোর কোনো ইচ্ছা নাই। অন্যকিছু হয়ে জন্মালে মানুষ তা ধ্বংস করে ফেলবে বা মেরে ফেলবে। সুতরাং পরজন্ম আমি চাই না।
৮. ভূত দেখলে...
মৌটুসী : নির্ঘাত হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যাবো! আমি ভূত ভীষণ ভয় পাই। এমনকি রাতের বেলা কোনো ভূতের ছবি দেখলে ঘুমের মধ্যেও তা দেখতে থাকি!
৯. সেরা উপহার ও সবচেয়ে আনন্দময় মুহূর্ত…
মৌটুসী : আমার পরিবার, আমার সন্তান এবং আমার কাজ জীবনের সেরা উপহার। সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত আমার বিয়ে এবং সন্তানের জন্ম। সঠিক মানুষের সঙ্গে বিয়ে হওয়াটা জীবনের চলার পথকে মসৃণ করে দেয়। তবে সন্তানের মুখ দেখার মুহূর্তটি ছিলো বেশি আনন্দের। এখনো তার দিকে তাকালে আমার সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।
১০. চিত্রশিল্পী হলে যার ছবি আঁকতেন…
মৌটুসী : আমার মুখশ্রী অনেক ভালো লাগে। সম্ভবত এক এক মানুষের একেকরকম অভিব্যক্তি আঁকতাম।
১১. বিপদে পড়লে প্রথম কাকে ফোন করবেন?
মৌটুসী : স্বামীকে। ও আমার খুব ভালো বন্ধু। তার সহযোগিতা ছাড়া কাজ করতে পারতাম না। যে কোনো বিষয়ে আমাকে সাহায্য করে এবং আমার কাজে নাক গলায় না।
১২. কোন শব্দ দিনে বেশি ব্যবহার করেন?
মৌটুসী : ভেবে দেখতে হবে। এমনিতেও কোনো শব্দ বারবার ব্যবহার করার অভ্যাস বা বদভ্যাস নেই আমার।
বাংলাদেশ সময় : ১৬৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৫