ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারার ফুল

সাজু খাদেমের কাছে একডজন প্রশ্ন

ভালো রানীদেরকে খুঁজে আনবো আগে!

জনি হক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৫
ভালো রানীদেরকে খুঁজে আনবো আগে! সাজু খাদেম/ ছবি:নূর /বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সাজু খাদেম যেমন জনপ্রিয় অভিনেতা, তেমনি উপস্থাপক হিসেবে বিনোদনদাতাদের মধ্যে অন্যতম। মঞ্চ, নাটক, চলচ্চিত্র; তিন মাধ্যমেই তার অভিনয়ের দক্ষতা দেখে আসছে দর্শক।

কাজের ফাঁকে সহশিল্পীদের মজার মজার কথা বলে মাতিয়ে রাখতে জুড়ি নেই তার। সাজু খাদেম এখন রিজওয়ান খানের রচনা ও কায়সার আহমেদের পরিচালনায় ‘ইয়েস ম্যাডাম’ নামের একটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছেন। প্রচার চলছে ‘ফ্যামিলি প্যাক’ ও ‘লেক ড্রাইভ লেন’ (এনটিভি), ‘কলিং বেল’ (দেশ টিভি), ‘দোস্ত দুশমন’ (মাছরাঙা টেলিভিশন)। সামনে ‘গোলকধাঁধা’র কাজ শুরু করবো।

উপস্থাপক হিসেবে মঞ্চে এলেও সাজু খাদেম পেটে খিল ধরিয়ে দেন সবার। এনটিভির কৌতুকবিষয়ক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান ‘হা-শো’ উপস্থাপনা করবেন তিনি। চিত্রশিল্পী হিসেবেও তার সুনাম আছে। ফুরসত পেলেই ছবি আঁকেন। বাংলানিউজের তারার ফুলের এক ডজন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সাজু খাদেম।

বাংলানিউজ : টার্নিং পয়েন্ট...
সাজু খাদেম : ‘ভোলার ডায়েরি’। শায়ের খান কল্লোল পরিচালিত এই ধারাবাহিক নাটকের কাজ করেছিলাম ১৯৯৯ সালে। পরের বছর থেকে এটি প্রচারিত হয়। শায়ের খানের লেখা ‘রোড নম্বর নয়, বাড়ি নম্বর ছয়’ ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেছিলাম এর আগে। এটি পরিচালনা করেন লাকী ইনাম। আমাকে ওই নাটকে দেখে শায়ের ‘ভোলার ডায়েরি’র জন্য নির্বাচন করেন।

বাংলানিউজ : যে চরিত্রে অভিনয়টা ভুগিয়েছে?
সাজু : ‘লেখিকা এবং কানা বিজ্ঞানী’ (আরটিভি) নাটকে সুবর্ণা মুস্তাফার স্বামীর চরিত্রে কাজ করা কঠিন মনে হয়েছে। কারণ আগামী বয়সে সাজু খাদেমকে যেমন দেখাবে তা এখনই করে দেখানো সহজ কাজ ছিলো না। নাটকের গল্পটা আমারই ছিলো। পরিচালনা করেন বদরুল আনাম সৌদ।

বাংলানিউজ : অভিনয়শিল্পী হিসেবে নিজেকে কতো দেবেন?
সাজু : নিজের নাম্বার নিজে দেওয়া কঠিন। দিলে বেশি দিয়ে দেবো!

বাংলানিউজ : কার কার সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছে করে?
সাজু : আগে জানতে হবে কি কাজ! যদি অভিনয়ের কথা বলেন তাহলে হুমায়ুন ফরীদির সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জন্য গর্বের অধ্যায়। তবে তার সঙ্গে অভিনয়ের তৃপ্তিটা মেটেনি। আর কখনও মিটবেও না। এ ছাড়া সুবর্ণা আপার সঙ্গে কাজ করতে পারাও আনন্দের বিষয়। তারা এতো উঁচুমানের অভিনয়শিল্পী যে, অন্যরাও ভালো অভিনয় করতে বাধ্য হয়।

বাংলানিউজ : কোন বিষয়ে আপনি বেশি খুঁতখুঁতে?
সাজু : পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে আমি খুঁতখুঁতে।

বাংলানিউজ : আবার জন্মালে…
সাজু : সাজু খাদেমই হতে চাইবো। আমি আমার জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট।

বাংলানিউজ : ভূত দেখলে...
সাজু : ভূতই আমাকে ভূত মনে করতে পারে!

বাংলানিউজ : সেরা উপহার ও সবচেয়ে আনন্দময় মুহূর্ত…
সাজু : সেরা উপহার আমার পুত্রসন্তান। ওর জন্মটা আমার সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত। বিষয়টা আমার কাছে অদ্ভূত একটা জাদু মনে হয়েছে।

বাংলানিউজ : একদিনের রাজা হলে...
সাজু : পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো রানীদেরকে খুঁজে আনবো আগে!

বাংলানিউজ : বিপদে পড়লে প্রথম কাকে ফোন করবেন?
সাজু : এটা আসলে নির্ভর করে বিপদটা কেমন তার ওপর। যেমন পুলিশি বিপদ হলে পুলিশ বন্ধুকে ফোন করি।

বাংলানিউজ : কোন শব্দ দিনে বেশি ব্যবহার করেন?
সাজু : ‘সবচেয়ে বড় ব্যাপার কি। ’ মনে হয় এটাই বেশি বলি।  

বাংলানিউজ : সারারাত গল্প করার মতো বন্ধু
সাজু : বলা যাবে না!

বাংলাদেশ সময় : ০০২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ