ঘড়ির কাঁটা চারটার ঘরে। চারটা মানে বিকেল।
ফ্লোরে ঢুকতেই কানে ভেসে এলো- ‘নিঃশ্বাস ফিরে পাই, তোমার কথা ভেবে/বিশ্বাস মনে তাই, তুমি আমার হবে। ’ কণ্ঠ শুনেই বোঝা যায় এটা আরফিন রুমি গেয়েছেন। সুর-সংগীতও তারই। বাঁয়ে দৃষ্টি দিতে চোখে পড়লো পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের চোখ মনিটরে। বেগুণি রঙা পোশাকে সেজেছেন অপু বিশ্বাস। চুলগুলো খোলা। প্রোডাকশন বয়রা হাতের পাখা চালিয়ে অপুর চুলে লাগিয়ে দিচ্ছে হাওয়া। কবিগুরু এখানেও আছেন- তোমার খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে...!
রাজের এক পাশে বসে বই পড়ছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। তার জামাও বেগুণি। সাদা রঙা সেটে বেগুণির এই জোড় দারুণ মানিয়েছে। চিত্রগ্রাহক চন্দন রায় চৌধুরী কখনও পাখির পালক উড়িয়ে দিতে বলছেন, আবার কখনও তোর চাওয়া অনুযায়ী ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাবল। দৃশ্যধারণ বাদে যতোক্ষণ থাকছেন, ইন্দ্রনীলকে কারও না কারও সেলফি তোলার বায়না মেটাতে হচ্ছে কিছুক্ষণ পরপরই। অন্যদের সেলফি তোলাও মনোযোগ দিয়ে দেখছেন। কথা প্রসঙ্গে ইন্দ্রনীল বললেন, ‘মানুষ এখন নিজেকে ভালোবাসে! সেলফি তোলার হিড়িক দেখে এটা বেশ ভালো বোঝা যাচ্ছে। আমরা এখন নিজেকে নিয়ে ভাবছি। ’
ইন্দ্রনীল আর অপুকে দেখতে উৎসুক মানুষকে এই সরানো হচ্ছে, আবার কোত্থেকে যেন নাজিল হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারকারাও দিনভর কেউ না কেউ এসে রাজকে শুভেচ্ছা জানিয়ে যাচ্ছেন। বিকেলে ছিলেন স্টার সিনেপ্লেক্সের ম্যানেজার মেসবাহউদ্দিন আহমেদ। সন্ধ্যা গড়াতেই ঢু মারলেন শবনম ফারিয়া ও নিরব। তারপর এলেন যার গান বাজছে- মানে কোনাল। আরফিন রুমির সঙ্গে তিনিও গেয়েছেন। এলেন আরেক নির্মাতা নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল, তালাশ মিডিয়া অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিরক দাশগুপ্ত। ছবিটার প্রযোজক টাইগার মিডিয়ার একজন প্রতিনিধিও এলেন।
‘সম্রাট’ ছবির টিজার ভালো লাগায় সবার আগ্রহ বেড়ে গেছে ছবিটার প্রতি। এটা একদিক দিয়ে প্রত্যাশার চাপও তৈরি করেছে। কী হবে না হবে তা পরে দেখা যাবে! আপাতত ইন্দ্রনীল আর অপুর রসায়নই এখানে মুখ্য। এতোক্ষণে তাদের দু’জনকে পাওয়া গেলো এক ফ্রেমে। তখনই রাত নেমে এসেছে। গানটার কাজ শেষ করে ‘সম্রাট’ বাহিনী যখন কোক স্টুডিও ছাড়লো, ঘড়িতে তখন সকাল ৭টা!
বাংলাদেশ সময় : ১৪০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৫
জেএইচ