৩৫ বছরে পা রাখলেন কারিনা কাপুর খান। আজ ২১ সেপ্টেম্বর শ্বশুরবাড়িতেই জন্মদিন উদযাপন করছেন তিনি।
জন্মদিন কীভাবে কাটাচ্ছেন?
কারিনা : সাইফ ও পরিবারের সঙ্গে পতৌদি প্যালেসে জন্মদিন উদযাপন করছি। এটাই আমি মনেপ্রাণে চেয়েছি।
নিজের পথচলা নিয়ে আপনি কতোটা খুশি?
কারিনা : আমি পেছনে তাকাই না। বিশ্লেষণও করি না কখনও। মন থেকে যা আসে সেটাই আমি করি। ১৫ বছর ধরে আনন্দ আর ফূর্তি নিয়েই কাজ করছি। ভালো ছবি, খুব একটা ভালো না এবং খারাপ ছবিতেও অভিনয় করেছি। ‘দেব’-এর মতো ব্যর্থ ছবিকেও আমি নিজের মনে করি। ‘চামেলি’ ব্লকবাস্টার হয়নি সত্যি, কিন্তু এটা আমার ক্যারিয়ারের মাইলফলক। আমার কপালে কয়েকটি ব্লকবাস্টার ছবিও লেখা ছিলো। সব মিলিয়ে আমি ধন্য।
আর এখন?
কারিনা : এখন আমার ক্যারিয়ারে ভিন্ন ভিন্ন নিরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। তবে সালমান খান মার্কা ছবিও আমি ভালোবাসি। কিন্তু আপাতত মূলধারা থেকে একটু সরে আসার সময় হয়েছে। এখন দুটি অন্যরকম ছবিতে কাজ করছি, যেগুলোতে বলিউডের চেনা ছক নেই। অভিষেক চৌবে (উড়তা পাঞ্জাব) এবং আর. বালকি (কি অ্যান্ড কা) আমাকে পুরোপুরি ভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন।
একটু অন্যরকম ছবির কাজ করার সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিলো বলে মনে হয়?
কারিনা : ২০১২ সালের অক্টোবরে বিয়ের পর আমার জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। তাই আমার অগ্রাধিকারগুলোও বদলেছে। জীবনকে অন্যরকমভাবে দেখতে শুরু করেছি। ক্যারিয়ারে যা-ই করতে চেয়েছি; আমার মা-বাবা, বোন ও স্বামী অর্থাৎ পুরো পরিবারের কাছ থেকে ভালো পরামর্শ পেয়েছি। সহজভাবে যেমন নিতে পেরেছি, তেমনি কোনো ছবিতে ১০০ দিন সময় না দিতে চাইলেও সে সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি।
সঞ্জয়লীলা বানসালির ‘গোলিও কা রাসলীল রাম-লীলা’র মতো ছবি হাতছাড়া করে খারাপ লাগেনি?
কারিনা : তখন চাপমুক্ত থাকতে মূলধারার ছবিতেই মূলত কাজ করতে চেয়েছিলাম। কারণ সেগুলোতে খুব বেশি সময় না দিলেও চলে। সেজন্য আমার বিয়ে ও নতুন বাড়ি তৈরির কাজে মনোযোগ দিতে পেরেছিলাম। এজন্যই ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এ কাজ করেছি। এতে খুব একটা সময় দিতে হয়নি।
ক্যারিয়ারে সিদ্ধান্তের বেলায় সাইফের পরামর্শ নেন?
কারিনা : হ্যাঁ। সাইফ বলেছিলো, আমার অবশ্যই ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ করা উচিত। তাই করেছি। কাজটা করে আমি খুশি।
‘চামেলি’র পর সুধীর মিশ্র আপনাকে নিয়ে আরেকটি ছবি বানাতে চেয়েছিলেন?
কারিনা : হ্যাঁ। কিন্তু তখন এ ধরনের ভিন্নরকম ছবি একটা করেই খুশি ছিলাম। তাই আবার মসলাদার বাণিজ্যিক ছবি প্রাধান্য দিয়েছি। এখন অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে নতুন নতুন রূপে উপস্থাপন করতে বেশি সময় দিতে প্রস্তুত। তবে আমার প্রমাণ করার কিছুই বাকি নেই।
বন্ধুদের অনুরোধে বেশ কয়েকটি আইটেম গানে নেচেছেন কেনো?
কারিনা : কেনো নাচবো না? আমার মনটা অনেক বড়। যেসব আইটেম গানে নেচেছি সেগুলো আমার ভালোই লাগে। নাচতে ভালোবাসি আমি। আর এসব আইটেম গানে আমাকে দেখতেও লেগেছে ভালো।
সুন্দর দেখাতে আপনার আইটেম গান করার দরকার পড়ে না। সেগুলো ছাড়াই তো আপনি সুন্দর?
কারিনা : কথাটা মানছি। আশি বছর পর্যন্ত যেন আমাকে দেখে লোকজনের চোখ ধাঁধিয়ে যায়, আমি সেটাই চাই।
সুন্দরী তকমা পেয়ে একঘেঁয়েমি আসে না?
কারিনা : সুন্দরী বললে কোনো মেয়েরই বিরক্তি আসে না। তবে আমি জানি, সুন্দরী হওয়ার চেয়েও অনেক কিছু আমার আছে।
এই মুহূর্তে নিজেকে অভিনেত্রী নাকি স্ত্রী হিসেবে দেখেন?
কারিনা : আমি একজন সুখী গৃহিণী ও তারকা অভিনেত্রী।
কী ধরনের চরিত্রে নিজেকে দেখতে চান না?
কারিনা : নিজেকে অ্যাকশন ছবিতে দেখতে ভালো লাগে না। পর্দায় মারধর করছে, এমন নির্দয় চরিত্রে নিজেকে দেখতে চাই না। যদি জর্জ লুকাসও প্রস্তাব দেন, আকাশে উড়তে চাই না। আমি এমন নই। ওড়া, লাফ দেওয়া, ডিগবাজি খাওয়া আমার ভেতর থেকে আসে না। অ্যাকশন চরিত্রে কাজ করাটা আমার পছন্দ নয়। এমন না যে আমি পারি না। তবে ‘জব উই মিট’ ধরনের ছবির জন্য পরিচিত হলে খুশি লাগে।
বাংলাদেশ সময় : ১৭২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৫
জেএইচ