রূপালি পর্দার ব্যস্ত নায়িকা অপু বিশ্বাস। পূজাতেও তার ছুটি নেই।
একটু মন খারাপ: অপু বিশ্বাস
মনে মনে ভেবে রেখেছিলাম এবারের পূজাতে দার্জিলিং যাবো। দাদা, মামা-মাসি, আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটাবো। চেষ্টাও করেছিলাম। কিন্তু ভাগ্য সহায় হলো না। তাই মন খারাপ। যে কাজকে এতো প্রাধান্য দেই, সেই কাজের কারণেই সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেলো। দার্জিলিং যাওয়া হলো না। দুই ছবির শুটিং নিয়েই আমাকে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। শাকিব খানের সঙ্গে শিডিউল মিলল না বলেই যাওয়া হলো না। এবারের পূজা কাটছে ‘রাজাবাবু ৪২০’ আর ‘রাজনীতি’র শুটিংস্পটে। ওদিকে, মা আছেন বগুড়াতে। তার সঙ্গেও সাক্ষাৎ হচ্ছে না। সব মিলিয়ে এই পূজাটা যেন কেমন কেমন।
আমার মনে হয়, ছোটবেলার পূজা বা উৎসব সবার জীবনের সেরা উৎসব। বড় হয়ে গেলে মানুষ প্রাণখুলে আনন্দ করতে পারে না। এই সমস্যা, সেই সমস্যা। জীবনের এতো জটিলতার মধ্যে তবু উৎসব আসে- এটাও আমাদের জন্য বিশেষ পাওয়া। উৎসবের সময় মানুষে মানুষে ভেদাভেদ কমে আসবে, এটাই কাম্য।
নাড়ু বাদ দিয়েছি : মৌটুসী বিশ্বাস
আমি খুব চেয়েছিলাম ‘কৃষ্ণপক্ষ’র শুটিং শেষ করে পূজায় যোগ দিতে। কিন্তু একদিনের যান্ত্রিক গোলযোগ আর রিয়াজ ভাইয়ের অসুস্থতার কারণে আমার অংশের কাজ শেষ হতে একটু দেরি হয়ে গেলো। কাজে ব্যস্ত আছি- এ কারণে পূজো নিয়ে তেমন ভাবতে পারিনি। গতকাল (২০ অক্টোবর) ভোরে ছবিটার শুটিং শেষ করেছি।
আজ (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পূজা দেখতে বের হবো। আমার মেয়ে আরিয়াও থাকবে। বাঁধনের সঙ্গে (অভিনেতী আজমেরী হক বাঁধন) কথা হয়েছে। ওকে গাড়িতে তুলবো মিরপুর থেকে। ওর সঙ্গে ওর বাচ্চাও থাকবে। কোথায় কোথায় ঘুরবো এখনও জানি না। আগে বের হই। আগামীকালের কোনো পরিকল্পনা নেই। একটু বিশ্রামও দরকার বলে মনে হচ্ছে!
এবারের পূজাতে বাসায়ও তেমন আয়োজন করতে পারিনি। পূজা মানেই তো নাড়ু। আমার স্বামীর ডায়াবেটিস, মায়েরও অসুবিধা, মেয়েও পছন্দ করে না- তাই পূজোতে নাড়ু বাদ দিয়েছি। আর নাড়ুতে এতো বেশি ক্যালরি! তবে মিষ্টি আমার বেশ পছন্দ। দেখি, সময় পেলে উত্তরা গিয়ে মিষ্টি নিয়ে আসবো। আমি সাধারণত দি আলী বাবার মিষ্টি কিনি।
আমার জীবনের সেরা পূজা কেটেছে চট্টগ্রামে, ছোটবেলায়। সারাদিন ছুটোছুটি আর হৈ চৈ করতাম। সেই দিনগুলো হারিয়ে গেছে। তবে এখনকার পূজাও তো অন্যরকম, অন্যদিক দিয়ে। আরিয়ার সঙ্গে আছি, ও বড় হচ্ছে!
বাংলাদেশ সময় : ১৭৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
এসও/জেএইচ