ফেরদৌস। তার বৃহস্পতি যেন তুঙ্গে।
বাংলানিউজ: প্রাণ-আরএফএলের বিজ্ঞাপন নিয়ে নিশ্চয়ই ভালো সাড়া পাচ্ছেন?
ফেরদৌস: এটা বেশ সুন্দর একটা অভিজ্ঞতা। একটা কাজ শেষ পর্যন্ত যত্ন নিয়ে করার কারণেই এই সাড়া আসছে। বিজ্ঞাপনটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই খুব খেটেছেন। সবাই খুব প্রশংসা করছেন। অন্য অনেক কাজের বেলায় দেখেছি শুরুতে সবাই মনোযোগী, পরে হালকাভাবে নিচ্ছে।
বাংলানিউজ: বিজ্ঞাপনটা দেখে মনে হলো কমার্শিয়াল সিনেমার ট্রেলার…
ফেরদৌস: (হেসে) আমরা এটাই চেয়েছিলাম। কাজটা এ কারণেই আমার বেশি পছন্দ হয়েছে। গান-সংলাপ-মারামারি সবই আছে। আমার গেটআপও একটু অন্যরকম এখানে।
বাংলানিউজ: আপনাকে সাধারণত মারধরের ছবিতে দেখা যায় না। বিজ্ঞাপনে করেছেন যে!
ফেরদৌস: অ্যাকশন ছবি করতে চাই। কিন্তু আমাদের এখানে ঢিসুম ঢিসুম ছাড়া অ্যাকশন দৃশ্যে নতুন কিছু থাকে না। আমি তো কলকাতার ‘ফাইটার’, ‘খোকাবাবু’ ছবিগুলোতে মারামারি করেছি। সেগুলো অনেকের ভালো লেগেছে। তারা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছে। আমাদের এখানে যোগ্য মানুষ আছেন অ্যাকশন দৃশ্য তৈরি করার মতো। কিন্তু তারা ভালো সহযোগিতা পান না, অর্থের যোগানও নেই। তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মারধরের ছবিতে কাজ করা হয়নি। এই বিজ্ঞাপনের বেলায় যেটা হয়েছে- সুযোগ ছিলো, সাপোর্ট ছিলো, নির্দেশকও আমাকে দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন।
বাংলানিউজ: শুনলাম আরও কিছু বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন?
ফেরদৌস: আসলে আমি আরএফএলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছি। দুই বছর তাদের প্রচারে আমি কাজ করবো। ছয়টি বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছি। সবক’টির শুটিং শেষ। কেবল একটা অনএয়ারে এসেছে। অন্যগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রচার হবে। প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে এটা ঘোষণা দেবে।
বাংলানিউজ: ‘নয় ছয়’ নির্মাণের পর অনেকদিন আটকে ছিলো। অবশেষে তা আলোর মুখ দেখছে। তা-ও ছোট পর্দায়। এ নিয়ে কি আপনি হতাশ?
ফেরদৌস: এই সিনেমাটি নিয়ে আমি বিরক্ত। এ নিয়ে আপাতত কিছু বলতে চাই না। নতুন পরিচালক এটি বানিয়েছেন। দর্শক দেখলেই বুঝবেন, কেন আমি এটি নিয়ে কথা বলতে চাই না।
বাংলানিউজ: সুন্দরবন নিয়ে ছবি করছেন শুনলাম? কাজ শুরু হবে কবে?
ফেরদৌস: ভারতীয় একজন পরিচালক আমাদের সুন্দরবন নিয়ে সুন্দর একটি চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন। নাম দিয়েছেন ‘শ্বাসমূল’। গল্পটা আমি শুনেছি। তিনি সিনেমা তৈরির আগ্রহ দেখিয়েছেন। আমিও রাজি হয়েছি। সবই এখনও পরিকল্পনার মধ্যে আছে। সব ঠিক থাকলে এটি যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হবে।
বাংলানিউজ: চিত্রনায়ক রিয়াজকে তো আপনিই সেদিন হাসপাতালে নিয়ে গেছেন...
ফেরদৌস: আজ একটু আগে (২১ অক্টোবর রাত প্রায় ১০টা) ওর সঙ্গে আড্ডা দিয়ে এলাম হাসপাতালে। খুব হাসাহাসি করলো রিয়াজ। আমার সঙ্গে পপিও ছিলো। রিয়াজ এখন বেশ ভালো আছে। আমাকে ধন্যবাদ জানালো সেদিনের কথা ভেবে। বললো যে, আমি নাকি সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে ওকে হাসপাতালে পাঠিয়েছিলাম! দু’একদিনের মধ্যে ওকে কেবিনে নেওয়া হবে। রিয়াজ সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
বাংলানিউজ: ‘পোস্টমাস্টার ৭১’-এর কাজ কতোদূর এগোলো?
ফেরদৌস: আজও শুটিং করলাম, পূবাইলে। সাচ্চু (শহিদুল আলম সাচ্চু) ভাইয়ের অংশের দৃশ্যধারণ হলো। কাজ অনেকদূর এগিয়েছে। এখন শুধু বাকি আছে আমার আর মৌসুমীর অংশগুলো। নভেম্বরের মাঝামাঝি মৌসুমীকে নিয়ে আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবো।
বাংলানিউজ: ‘ছেড়ে যাস না’ কবে মুক্তি পাবে?
ফেরদৌস: ছবিটির কাজ শেষ। আগামী বছরের পহেলা বৈশাখ অথবা ভালোবাসা দিবসে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এটি পরিচালনা করেছে নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল।
বাংলানিউজ: অপি করিমের সঙ্গে তো আড্ডা দিলেন…
ফেরদৌস: অনুষ্ঠানে অপিই আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। অনেক বিষয় নিয়েই ওর সঙ্গে কথা হয়েছে। দু’জনে প্রাণ খুলে আড্ডা দিয়েছি, ব্যক্তি থেকে অভিনেতা হয়ে ওঠার গল্প বলেছি। আর কথায় কথায় এসেছে ‘ব্যাচেলর’ সিনেমার প্রসঙ্গ। ওই ছবিতে আমার সহশিল্পী ছিলো অপি।
বাংলানিউজ: এখন তো চারদিকে আপনার সংশ্লিষ্ট খবর। বৃহষ্পতি তুঙ্গে মনে হচ্ছে…
ফেরদৌস: সবাই ভালোবেসে ডাকে, আমিও কাজ করি। এই তো ভালো আছি! এভাবেই কাজে ব্যস্ত থাকতে চাই।
* প্রাণ-আরএফএল পাম্পের বিজ্ঞাপনচিত্র :
বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
এসও/জেএইচ