ঈশিকা যে জিন্সটা পরে আছেন, ওটার হাঁটুর কাছে ছেঁড়া। রিপড জিন্স! পরেছেন তো, কিন্তু স্বস্তিতে নেই।
‘আমার একটা কোল্ড কফি’- বলে অর্ডার করে, পায়ের ওপর পা তুলে (ছেঁড়া আড়ালের এ-ও এক উপায় হয়তো!) বসলেন প্লাস্টিকের চেয়ারে। চুল উড়ছে, হালকা বাতাস, সঙ্গে চকচকে রোদ বাইরে। পাশের চেয়ারে ইরফান সাজ্জাদের হাত সমানে চলছে, তাল মিলিয়ে মুখ-ও; মানে খাচ্ছেন। মেন্যু- ফ্রাইড রাইস, চিকেন সঙ্গে, কোল্ড-কফি ওয়েটিংয়ে। টিস্যুতে ঠোঁটের কোণ মুছতে মুছতে বললেন, ‘সকাল থেকে কিচ্ছু খাওয়া হয়নি। এতো তাড়াহুড়া!’
ওদিকে শুটিং কিন্তু থেমে নেই। পরিচালক এসডি সাব্বির একবার মনিটরের পেছনে বসেন তো, আবার দৌড়ে ক্যামেরার সামনে, অভিনয়শিল্পীদের বুঝিয়ে যান, ‘এভাবে না, ওভাবে’। সহকারীদের সঙ্গে মিনিটখানেকের মিটিং করে যান একফাঁকে, পরের দৃশ্যে কী হবে! শুটিংয়ের তড়িঘড়ি একপাশে সরিয়ে রেখে, এপাশে তুমুল আড্ডা। পরচর্চা, প্রেম, বিয়ে, ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম প্রসঙ্গ আস্তে ধীরে হালকা হয়ে এলে, আড্ডায় একসময় নাটকের গল্প ঢোকে।
নাটকের নাম ‘ডিজিটাল ফুয়া’। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ফুয়া মানে ছেলে। এই ডিজিটাল ছেলে ইরফান সাজ্জাদ। তাহলে ঈশিকা কী? ‘সে-ও। খুবই আধুনিক। সাজ্জাদের প্রেমিকা’, এসডি সাব্বির উঠে এসে বলেন, ‘নাটকটা মূলত প্রজন্মের দ্বন্দ্ব নিয়ে। ধরেন, বাবার সঙ্গে আপনার অনেক বিষয়ে মিলবে না। আপনার পছন্দ, তার পছন্দ, জীবনবোধ- মিলবে না। পার্থক্য থাকেই। ’
তারপর তিনি ইনিয়ে-বিনিয়ে, আস্তে ধীরে, গুছিয়ে পুরো গল্পটা বলেন। পাশে একজন মা তার ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে। মেয়ে অভিনয় করছে, মা এসেছেন সঙ্গে। খুবই যত্ন নিচ্ছেন, বুঝিয়ে দিচ্ছেন এটা ওটা, ‘ওখানে যেয়ো না, রোদ লাগবে... এখানে বসো, বাতাস লাগবে... চুলটা এভাবে না... এখন খেয়ে নাও!’ মেয়েটার নাম নির্ঝর, নতুন অভিনয় মডেলিং করছে। এ রকম আরও কয়েক নতুন মুখ আছে নাটকে- নাবিলা, রূপক, হিন্দোল, মেঘলা, রাজু। ‘ডিজিটাল ফুয়া’র চিত্রনাট্য লিখেছেন ফাহাদ লোকমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৫
কেবিএন/জেএইচ