মহাকাশ বিপর্যয়ের গল্প নিয়ে বানানো ‘গ্র্যাভিটি’র মাধ্যমে দুনিয়া কাঁপিয়ে দেন স্যান্ড্রা বুলক। অস্কারসহ বড় বড় সব পুরস্কারের মনোনয়নে ছিলো তার নাম।
‘গ্র্যাভিটি’র মতো বুলকের নতুন ছবি ‘আওয়ার ব্র্যান্ড ইজ ক্রাইসিস’-এর সঙ্গেও আছেন জর্জ ক্লুনি। তবে প্রযোজক হিসেবে। সহ-প্রযোজনা করেছেন বুলকও। ‘অল অ্যাবাউট স্টিভ’-এর (২০০৯) পর আবার এর মাধ্যমে প্রযোজনায় ফিরলেন ৫১ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী। অবশ্য এবারই প্রথম প্রযোজক হিসেবে অংশীদার হলেন ক্লুনি-বুলক জুটি।
‘আওয়ার ব্র্যান্ড ইজ ক্রাইসিস’ ছবিতে ক্লুনির অভিনয় করার কথা ছিলো। পরে তার জায়গায় নেওয়া বিলি বব থর্নটনকে। তবে বুলকের তা-ও ছিলো না! কারণ তিনি যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন, চিত্রনাট্যে শুরুতে সেটা ছিলো একজন পুরুষের! পরিচালব ডেভিড গর্ডন গ্রিন ও চিত্রনাট্যকার পিচার স্ট্রাইগ্যান মিলে চরিত্রটিকে নারী করার সিদ্ধান্ত নেন। এতে কাজ করতে পেরে বেশ খুশি বুলক। তাই শেষ দিনের দৃশ্যধারণে ট্রাকভর্তি আইসক্রিম নিয়ে বিলি করেছেন ইউনিটের মধ্যে।
বিদ্রুপাত্মক হাস্যরসধর্মী ছবিটির গল্প মার্কিন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাজানো। নির্বাচনী প্রচারণায় সফল দৃঢ় মনোবলের জেন বোডিনকে পাঠানো হয় অস্থিরতা বিরাজমান দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়ায় নতুন নেতৃত্ব গড়ে দিতে। কিন্তু তার দীর্ঘদিনের শত্রুর হুমকির মুখে পড়তে হয় তাকে। ওয়ার্নার ব্রাদার্স পিকচার্স আগামী ৩০ অক্টোবর ছবিটি মুক্তি দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের লসঅ্যাঞ্জেলেসে নিজের ছবির প্রিমিয়ারে যোগ দিয়ে বুলক বলে ফেলেছেন, ‘রাজনীতি বরাবরই কমেডি, নয়তো ট্র্যাজেডি! এ ধরনের ছবির গল্প কল্পনার ওপর লেখা যায় না। এখানে অবশ্যই বাস্তবতা রয়েছে। ’ এই প্রিমিয়ারের লালগালিচায় নতুন প্রেমিক আলোকচিত্রী-মডেল ব্র্যায়ান র্যান্ডালকে জনসম্মুখে নিয়ে এসেছেন তিনি। টেক্সাসের অস্টিনে গত ৪ জুলাই বুলক একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। সেখানে র্যান্ডাল গেলে তার মাঝে নতুন প্রেমিক খুঁজে পান তিনি।
বিয়ে বিচ্ছেদের পাঁচ বছর পর স্যান্ড্রাকে খুশি দেখে ক্লুনি আনন্দিত। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তাদের বন্ধুত্ব। প্রথম দেখায় ক্লুনি ছিলেন মদ্যপ! পরে বুলক জানতে পারেন, এই লোকের টেকিলা প্রতিষ্ঠান আছে। একসময় বন্ধুর প্রেমিকের কাছে ওকালতিও করেছেন! বুলক কাছে না থাকলে তার প্রেমিককে গিয়ে ক্লুনি বলতেন, ‘তুমি যদি ওকে বিয়ে না করো, আমি করবো!’ তবে বুলক তখন থেকেই জানতেন আমালকেই বিয়ে করবেন ৫১ বছর বয়সী এই অভিনেতা।
হলিউডের অন্য অনেক অভিনেত্রীর মতো বুলকের সংসারও স্থায়ী হয়নি। ‘লাভ পোশন নাম্বার নাইন’ (১৯৯২) ছবির কাজ করতে গিয়ে সহশিল্পী টেট ডোনোভানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি। তাদের বাগদানও হয়েছিলো। কিন্তু প্রেমের সফল সমাপ্তি হয়নি। তার আগে ফুটবলার ট্রয় অ্যাইকম্যান, অভিনেতা ম্যাথু ম্যাকোনাহে ও রায়ান গসলিংয়ের সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক ছিলো তার।
২০০৫ সালের ১৬ জুলাই প্রথম বিয়ে করেন বুলক, ‘মনস্টার গ্যারেজ’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক জেসি জেমসের ঘরণী হন তিনি। পাঁচ বছর পর তার কানে আসে আরেক নারীর সঙ্গে স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক চলছে। ২০১০ সালের ২৮ এপ্রিল তিনি বিচ্ছেদের আবেদন করেন। এরপর জুনে তা চূড়ান্ত হয়। নিউ অরলিন্স থেকে একটি পুত্রসন্তান দত্তক নিয়েছেন বুলক।
পুত্র আর নতুন ভালোবাসা নিয়ে সময়টা ভালোই কাটছে বুলকের। ‘আওয়ার ব্র্যান্ড ইজ ক্রাইসিস’ সফল হলে তা হবে পোয়াবারো! ব্যবসা করুক আর না করুক, আগামী বছর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানগুলোতে তিনি রাজত্ব করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৫
জেএইচ