ভূমিকার বদলে
ইমন কতোগুলো ছবিতে অভিনয় করেছেন এ পর্যন্ত, কতোগুলো মুক্তি পেয়েছে; কতোগুলোতে অযথা সাইনই হয়েছিলো, হয়তো শুটিং শুরুও, কিন্তু ঝুলে ঝুলে ঠেকেনি মুক্তি পর্যন্ত- এ হিসেব করা বেশ কঠিন। ইমনের কাছেই ঠেলে দেওয়া হয় প্রশ্নগুলোর একাংশ, আপনার মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি হিসেবে ‘অন্তরঙ্গ’র সিরিয়াল কতো? মনে আছে? আত্মসমর্পনের মতো করে বলে ওঠেন ইমন, ‘এই ব্রাদার, ওটা তো হিসেব নেই।
এই ‘অন্তরঙ্গ’ যেমন একদিকে ইমনের পঁচিশ-ছাব্বিশ কিংবা তার একটু ‘ওপরতম’, অন্যদিকে চাষী নজরুল ইসলামের শেষতম। আলিশা প্রধানকে নিয়ে নাচ-গান-প্রেম-বিরহ, সব ছাপিয়ে এতে তারা ‘অন্তরঙ্গ’। মুক্তি পাচ্ছে ৬ নভেম্বর। এর আগের দিন দুপুরে ইমন করলেন ছবিটি নিয়ে কিছু স্মৃতিচারণা।
মা নেই!
দিতি আপা এ ছবিতে আমার মা। মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। আমি আছি, আলিশা আছে, অথচ যিনি আমার মা, তিনি দেশে নেই। দেশের বাইরে, তাও হাসপাতালে শুয়ে। তার অসুস্থতায় আমি নিজেও খুব আপসেট।
‘পদ্ম পাতার জল’ টু ‘অন্তরঙ্গ’ ভায়া ‘ভুল যদি হয়’
একদিন ‘পদ্ম পাতার জল’-এর কাজ করছি, এফডিসির চার নম্বর ফ্লোরে। চাষী ভাই এলেন (চাষী নজরুল ইসলাম)। লম্বা শরীর, পরিপাটি সাদা চুল, চশমা; বললেন, ‘এই ইমন, আমি তোকে নিয়ে কাজ করতে চাই। ’ আমি তো খুব খুশি। অবাকও। পায়ে ধরে সালাম করলাম। বললাম, ‘আমিও চাই আপনার ছবিতে করতে। ’ এরপর আমাদের ‘ভুল যদি হয়’ শুরু হলো। এরমধ্যে এক সাক্ষাৎকারে চাষী ভাই বললেন, ‘রাজ্জাকের পর এই ছেলেটিকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে। ’ আমার সঙ্গে তার দারুণ মিলতো কথায়-মতে-কাজে। জানালেন, ‘ইমন আরেকটা ছবি আছে। প্রডিউসারের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। আমি বলেছি যে, নায়ক হিসেবে আমার ইমনকেই লাগবে। ’ আমি তখনও জানি না যে আলিশা এর প্রডিউসার। তো, ‘অন্তরঙ্গ’র কাজ শুরু হলো।
প্রতি মুহূর্ত স্মরণীয়
এ ছবির প্রতি মুহূর্ত আমার কাছে স্মরণীয়। চাষী নজরুল ইসলামের সঙ্গে কতো আড্ডা, গল্প! একটা মানুষ আমাকে এতো ভালোবাসতেন, অথচ তিনি আজ নেই; ভাবতেই কষ্ট হয়। আমি তো বিশ্বাস করি, তিনি এখনও আমার সঙ্গে আছেন। কাল ‘অন্তরঙ্গ’ মুক্তি পাচ্ছে। আমি যাবো সিনেমা হলে। চাষী নজরুল ইসলামের শেষ ছবি যেহেতু, তাই সবাইকে অনুরোধ করবো, তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য হলেও, সবাই যেন ছবিটি দেখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৫
কেবিএন/এসও