ঢাকা, সোমবার, ৪ কার্তিক ১৪৩২, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৭

তারার ফুল

এ হাবিব অন্য হাবিব!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৪৫, নভেম্বর ৭, ২০১৫
এ হাবিব অন্য হাবিব! হাবিব/ছবি : নূর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

হাবিবের কনসার্ট দেখতে হলে মন মেজাজ ঠান্ডা করে বসতে হয়। পিঠটা চেয়ারে হেলিয়ে, ঘাড় সোজা করে, দৃষ্টি স্থির করে রাখতে হয় মঞ্চ বরাবর।

মনোযোগ যেন পুরোপুরি কেন্দ্রীভূত। একটুখানি এদিক-ওদিক হলেই খেই ফিরে পাওয়া কঠিন। অনেকে বলেন, মঞ্চে হাবিব জমে না! পাবলিক একটু চিৎকার করলো না। নাচলো না। অন্তত হাত-পা ছুঁড়লো না। হাততালিতে মুখর হলো না। তাহলে আর কনসার্ট কেন! হাবিবের যে গান, স্টেজ কিংবা মিলনায়তনসুদ্ধ দর্শক নেতিয়ে পড়ে! স্পিকারে-মোবাইলেই হাবিব বরং যুতসই!

এসব বলাবলি কতোখানি সত্য-মিথ্যে সে হিসেবে না গিয়ে বরং সোজা চলে যাওয়া যাক ৬ নভেম্বরে, বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটির নবরাত্রি হলে। রাত আটটার একটু আগে আগে, কনসার্ট উইন্টার ব্লাস্টে প্রথম শিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠলেন হাবিব। সামনে জোড়া কি-বোর্ড। গান শুরু হলো যখন, দর্শকের কান খাড়া। চক্ষুস্থির। এ হাবিব অন্য হাবিব!

জালালের বাঁশি, মিঠুনের ড্রামস, হাবিবের কণ্ঠ-কিবোর্ড আর ব্যাকগ্রাউন্ডে ট্র্যাক- সব মিলিয়ে কনসার্ট জমে ক্ষীর! ‘বলে তো দিয়েছি হৃদয়ের কথা দিয়ে’ যদিও শুরু করেছিলেন হাবিব, কিন্তু বেশিক্ষণ মৌলিক গানে থাকেননি। বলেই নিয়েছিলেন, প্রাধান্য পাবে শাহ আব্দুল করিম আর হাছন রাজার গান। হলোও তা-ই। ইনসেপশন মিডিয়া ও ক্লাব ইলেভেনের আয়োজনে ওই কনসার্টে শাহ আব্দুল করিম-হাছন রাজার দেখা মিললো ভিন্ন মাত্রায়। আকর্ষণীয় ছিলো তিনজনের জ্যামিং। প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের পরিবেশনায় হাবিব বুঝিয়ে দিলেন, তাকে দিয়েও কনসার্ট জমে! দর্শক চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়তে চায়। শরীর দুলে ওঠে তালে-লয়ে।

আসর ভাঙার পরে, সবাই যখন বেরুচ্ছেন, অনেককেই বলতে শোনা গেলো, ‘হাবিব কিন্তু ফাটিয়ে দিয়েছেন!’ কনসার্টের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন সুনিধি চৌহান। আরও গেয়েছেন ইন্ডিয়ান আইডলের রাকেশ মাইনি। কিন্তু হাবিবেই যেন মজে ছিলো মন!

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৫
কেবিএন/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ