আট বছর পর বিশ্বসংগীতে ফিরেই আলোড়ন তুলেছে ব্রিটিশ রক ব্যান্ড ডেফ লেপার্ড। ব্যান্ডের নামেই তারা বের করেছেন ১১তম স্টুডিও অ্যালবাম।
সর্বশেষ ২০০৮ সালে বের হয় ডেফ লেপার্ডের দশম অ্যালবাম ‘স্পার্কল লাউঞ্জ’। এরপর লম্বা বিরতি। একটা থেকে আরেকটা অ্যালবাম বের করতে এতোটা সময় এর আগে কখনও নেয়নি ৩৮ বছর বয়সী ব্যান্ডটি। ব্রিটিশ হেভি মেটাল আন্দোলনের নবজাগরণের অংশ হিসেবে শেফিল্ডে এটি গঠন করা হয় ১৯৭৭ সালে।
আশি ও নব্বই দশকের গোড়ার দিকে ব্যাপক সাফল্য পায় ডেফ লেপার্ড। ১৯৮১ সালে প্রকাশিত তাদের “হাই ‘এন’ ড্রাই” অ্যালবামের “ব্রিংগিন’ অন দ্য হার্টব্রেক” হলো এমটিভিতে প্রচারিত প্রথম রক ভিডিও। এর দুই বছর পর প্রকাশিত ‘পাইরোম্যানিয়া’র ‘ফটোগ্রাফ’ গানটি ঘরে ঘরে জনপ্রিয় করে তোলে এই ব্যান্ডকে। ২০০৩ সালে রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনের সর্বকালের সেরা ৫০০ অ্যালবামের তালিকায় ৩৮৪তম স্থান পায় এটি।
ডেফ লেপার্ডের চতুর্থ অ্যালবাম ‘হিস্টেরিয়া’ বাজারে আসে ১৯৮৭ সালের আগস্টে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ১ কোটি ২০ লাখ আর বিশ্বজুড়ে এর আড়াই কোটি কপি বিক্রি হয়। এ অ্যালবামের ‘লাভ বাইটস’, ‘পোর সামার সুগার অন মি’, ‘হিস্টেরিয়া’, ‘আরমাগেডন ইট’, ‘অ্যানিমেল’, ‘রকেট’ ও ‘ওমেন’ গানগুলো সাড়া ফেলে। গিটারশিল্পী স্টিভ ক্লার্কের মৃত্যুর পর প্রকাশিত ‘অ্যাডরেনালাইজ’ও ইউএস ও ইউকে চার্টের শীর্ষস্থান দখল করে। এর ‘লেটস গেট রকড’ ও ‘হ্যাভ ইউ এভার নিডেড সামওয়ান সো ব্যাড’ গান দুটি তুমুল জনপ্রিয় হয়।
প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে ডেফ ল্যাপার্ডের এখনও আছেন রিক স্যাভেজ (বেজ, ১৯৭৭ থেকে) ও জো ইলিয়ট (মূল গায়ক)। আছেন ব্যান্ড গঠনের এক বছর যোগ দেওয়া রিক অ্যালেন (ড্রামস, পারকাশন)। বর্তমান লাইনআপের অন্য দুই সদস্য হলেন ফিল কলেন (গিটার, ১৯৮২ থেকে) ও ভিভিয়ান ক্যাম্পবেল (গিটার, ১৯৯২ থেকে)। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে ব্যান্ড ছেড়েছেন টনি কেনিং (ড্রামস ও পারকাশন, ১৯৭৭-৭৮) ও পিট উইলিস (গিটার, ১৯৭৭-৮২)। এ ছাড়া চিরবিদায় নিয়েছেন স্টিভ ক্লার্ক (গিটার, ১৯৭৮-১৯৯১)।
বিশ্বজুড়ে ডেফ লেপার্ডের সব অ্যালবাম মিলিয়ে ১০ কোটি কপি বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ‘পাইরোম্যানিয়া’ ও ‘হিস্টেরিয়া’ পেয়েছে ডায়মন্ড সনদ। তাদের ছাড়া ইতিহাসে আর মাত্র চারটি ব্যান্ডের দুটি করে অ্যালবামের ১ কোটি কপি বিক্রির নজির আছে আমেরিকায়। বাকি ব্যান্ডগুলো হলো দ্য বিটলস, লেড জেপলিন, পিঙ্ক ফ্লয়েড এবং ভ্যান হ্যালেন।
ডেফ লেপার্ডের অ্যালবাম
* অন থ্রো দ্য নাইট (১৯৮০)
* হাই ‘এন’ ড্রাই (১৯৮১)
* পাইরোম্যানিয়া (১৯৮৩)
* হিস্টেরিয়া (১৯৮৭)
* অ্যাডরেনালাইজ (১৯৯২)
* স্ল্যাং (১৯৯৬)
* ইউফোরিয়া (১৯৯৯)
* এক্স (২০০২)
* ইয়াহ! (২০০৬)
* সংস ফ্রম দ্য স্পার্কল লাউঞ্জ (২০০৮)
* ডেফ লেপার্ড (২০১৫)
বাংলাদেশ সময় : ১৮৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫
জেএইচ