ক্রিকেট-ফুটবল নিয়ে গান করেছেন সংগীতশিল্পী শুভ্রদেব। খেলা পাগল এই শিল্পী থাকছেন এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) তৃতীয় আসরে।
বাংলানিউজ : ‘থার্ড সিজন’ অনুষ্ঠানের প্রোমোতে আপনি বলছেন প্রথমবার উপস্থাপনা করতে যাচ্ছেন...
শুভ্রদেব : ক্রিকেটের সঙ্গে গানসহ নানাভাবে যুক্ত আছি আমি। কিন্তু এ ধরনের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করা হয়নি। এদিক দিয়ে এটি বেশ উপভোগ্য বিষয় মনে হচ্ছে আমার জন্য। অনুষ্ঠানটি যেহেতু ক্রিকেট নিয়ে, তাই প্রতিদিনই আমন্ত্রিত অতিথিরা থাকবেন।
বাংলানিউজ : ‘ক্রিকেট-ক্রিকেট মন আমার ক্রিকেট-ক্রিকেট মন/টি২০ খেলতে চায় যখন-তখন’ কথার একটি গান শোনাচ্ছেন প্রোমোতে...
শুভ্রদেব : টি২০ খেলা নিয়ে কিছুদিন আগে এ গানটি গেয়েছি। অনুষ্ঠানের প্রোমোতে সেটি বাজানো হচ্ছে। এর কথা লিখেছেন আমার বন্ধু শহীদুল আজম। সংগীতায়োজন করেছেন জেকে। বিভিন্ন এফএম রেডিওতে গানটি প্রচার হবে। এ ছাড়া একটি ভিডিও তৈরিরও ইচ্ছা আছে।
বাংলানিউজ : খেলা নিয়ে তো বেশ কয়েকটি গান করেছেন...
শুভ্রদেব : তখনও বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ খেলেনি। ১৯৯৮ সালে আমি প্রথম ক্রিকেট নিয়ে গান করি। নাম ছিলো ‘ক্রিকেট ক্রিকেট’। এরপর ক্রিকেট নিয়ে বেশকিছু গান গেয়েছি। ক্রিকেটের পর বাংলাদেশে ফুটবল নিয়েও প্রথমবার গান করেছি আমি।
বাংলানিউজ : আপনি তো একসময় খেলতেন। সেসব স্মৃতি মনে পড়ে?
শুভ্রদেব : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত ক্রিকেট খেলা নিয়েই মূলত সময় কাটাতাম। নানা পর্যায়ে খেলেছি। অষ্টম শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় প্রথম বিভাগে খেলেছিলাম সিলেটে। প্রথম ম্যাচে ৩৬ রান দিয়ে হ্যাটট্রিকসহ ৬টি উইকেট নিয়েছিলাম। এমন ছোট বড় রেকর্ড ছিলো আরও।
বাংলানিউজ : বিপিএলে কি আপনি সিলেটের সমর্থক?
শুভ্রদেব : অবশ্যই। সিলেটের সন্তান হিসেবে সিলেট সুপারস্টার্সকেই সমর্থন জানাবো। দলটির ব্যাপারে আশাবাদী থাকা যায়। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, টি২০ আসলে এক ওভারের খেলা! এক ওভারেই ম্যাচ ঘুরে যেতে পারে। কাজেই আগেভাগে কিছুই বলা যাচ্ছে না। দেখুন, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে শেষ টি২০তে বাংলাদেশ কী ফল পেলো? আমরা কী জানতাম বাংলাদেশ হেরে যাবে? জিম্বাবুয়ে শেষ ওভারে ১৮ নেবে কেউ কল্পনা করেনি।
বাংলানিউজ : আপনার ২৬তম একক অ্যালবাম ‘জলছবি’ বাজারে আসে গত বছর। এ বছর ‘ককটেল’ আসার কথা। অ্যালবামের নাম ‘ককটেল’ কেন?
শুভ্রদেব : ‘জলছবি’ ব্যবসার দিকে ভালো অ্যালবাম ছিলো। নতুন যে অ্যালবামটি করছি, নাম ‘ককটেল’, কাজ অনেকদূর এগিয়েছে। নামটি ইচ্ছে করেই এমন রেখেছি। আমার মতে, এটা আউট অব ট্র্যাক অ্যালবাম হবে। ৮টি গান রাখছি আট রকমের। একেকটার স্বাদ একেক রকম।
বাংলানিউজ : এ সময়ের গান শোনা হয়? কোন প্রবণতাগুলো চোখে পড়ে?
শুভ্রদেব : এখন নকল গানই বেশি হচ্ছে। অধিকাংশ শিল্পী ও সুরকারই দিনের পর দিন এটা করে চলেছেন। আমার মতে, ২০০০ সালের আগে গানের সুদিন ছিলো। তবে দু’ একজন যে ভালো করছেন না, তা নয়। সেটা সংখ্যায় খুবই নগন্য। এ সময়ের গান শুনি। আমার কাছে ন্যান্সি, কনা, পড়শির গান ভালো লাগে। পড়শি তার বয়সের তুলনায় বেশ ভালো গান করে। ছেলেদের মধ্যে তৌসিফের কণ্ঠে মাটির গন্ধ পাই। এ ছাড়া সুফি ঘরানার গান করে পুলক অধিকারী। ওর গানও বেশ ভালো লাগে।
বাংলানিউজ : গানে আপনার সবচেয়ে বড় অর্জন কী?
শুভ্রদেব : দক্ষিণ এশিয়ায় আন্তর্জাতিক পণ্য পেপসির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছিলাম। এর বিজ্ঞাপনচিত্রেও কাজ করেছি। ভারতে একই পণ্যের মডেল হয়েছিলেন আমির খান। এটা আমার কাছে বড় অর্জন বলে মনে হয়। আমার জানা মতে, এ ধরনের বিজ্ঞাপনে সাধারণত অভিনেতারাই মডেল হন। কিন্তু কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আমার আগে এ অঞ্চলে তেমনটি ঘটেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৫
এসও/জেএইচ