অনেক হয়েছে! আর না! এবার প্রেসিডেন্ট স্নোর শেষ দেখতে চায় বিপ্লবী তরুণী ক্যাটনিস এভারডিন। তাই শেষবারের মতো তীর-ধনুক নিয়ে ক্যাপিটালে মরণ নিয়ে খেলায় নেমেছে সে।
গত ২০ নভেম্বর লায়ন্সগেট মুক্তি দিয়েছে ‘দ্য হাঙ্গার গেমস: মকিংজে-পার্ট টু’। এবারই প্রথম সিরিজের কোনো ছবি ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তিতে মুক্তি পেলো। মার্কিন কথাশিল্পী সুজান কলিন্সের লেখা তরুণ-তরুণী চরিত্র নির্ভর ‘হাঙ্গার গেমস’ ট্রিলজির শেষ গ্রন্থ ‘মকিংজে’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এটি। সিরিজটি শুরু হয়েছিলো যখন ছোট বোনের পরিবর্তে ক্যাটনিস স্বেচ্ছায় মরণ নিয়ে খেলায় অংশ নিতে যায়। বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও উতরে যাওয়ার মাধ্যমে এই তরুণী পরিণত হয় অগ্নিকন্যায়।
আগের ছবি ‘দ্য হাঙ্গার গেমস: মকিংজে-পার্ট ওয়ান’-এ ক্যাটনিস শুধু জীবনযুদ্ধে নামেনি, পাশাপাশি হয়ে উঠেছে বিপ্লবের প্রতীক। শেষ কিস্তিতে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নিয়ে ডিস্ট্রিক্ট থার্টিনের বাসিন্দাদের স্বাধীনতা এনে দিতে অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অভিযানে নেমেছে সে। সাহসী তরুণী ক্যাটনিস এভারডিন চরিত্রে এবারও যথারীতি অভিনয় করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্স।
ফ্যান্টাসি ফ্রাঞ্চাইজি ‘হাঙ্গার গেমস’ জেনিফার লরেন্সকে রাতারাতি এনে দিয়েছে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি। ২০১২ সাল থেকে ক্যাটনিস চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। এরপর ‘সিলভার লাইনিংস প্লেবুক’ ছবির জন্য অস্কার জিতেছেন, তা-ও সবচেয়ে কম বয়সে সেরা অভিনেত্রী বিভাগে। গত বছর পৃথিবী নামক গ্রহের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক (ছবিপ্রতি ৫ কোটি ২০ লাখ ডলার) পাওয়া তারকার তালিকায় পয়লা নম্বরে ছিলো তারই নাম। তবে হলিউডের শীর্ষস্থানীয় অভিনেতারা আরও বেশি পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন।
ক্যাটনিস চরিত্রটি তাকে সুপারহিরো শাসিত হলিউডে পুরুষ ও নারী তারকাদের মধ্যে পারিশ্রমিকের দিক দিয়ে যে বিস্তর ফারাক রয়েছে, তা নিয়ে সোচ্চার হতে অনুপ্রাণিত করেছে লরেন্সকে। গত মাসে লেনা ডানহ্যামের লেনি নিউজলেটারে এক খোলা চিঠিতে এ নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। তার ওই মন্তব্য অনলাইনে হৈচৈ ফেলে দেয়। মার্কিন এই তারকা এক সাক্ষাৎকারে ‘হাঙ্গার গেমস’কে টেনে বলেন, ‘এই ফ্রাঞ্চাইজি দেখিয়ে দিয়েছে, নারী চরিত্রকে প্রধান করে অ্যাকশন ছবি বানালে সমালোচক ও দর্শক দুই পক্ষের সাফল্যই পাওয়া যায়। এতোদিন ভুল ধারণা ছিলো যে, নারীরা পুরুষ প্রধান ছবিতে অনায়াসে মানিয়ে যায়। কিন্তু প্রধান চরিত্র নারী হলে পুরুষদেরকে তাতে যুতসই লাগে না। আশার কথা হলো, এই মানসিকতা এখন বদলে গেছে। স্টুডিওগুলো এখন নায়ক-নায়িকা উভয়কে সমানভাবে দেখতে শুরু করেছে। ’
সুজানের উপন্যাস পড়ার সময় থেকেই ক্যাটনিস শক্তি জোগাতে থাকে লরেন্সকে। তার ভাষ্য, ‘অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম বলেই অভিনয় করতে রাজি হয়েছি। ক্যাটনিস আমাকে উৎসাহ না দিলে এ চরিত্রের ভেতর চারটি বছর থাকতে পারতাম না। ’
হাঙ্গার গেমসের সুবাদে হলিউডে মেয়েদের অ্যাকশন তারকার ছোট্ট তালিকায় লরেন্স জায়গা করে নিয়েছেন ওপরের সারিতে। তাই ২৫ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর মুখ থেকে বেরিয়ে এলো- ‘তিন বছর ধরে এ সিরিজ আমার প্রাণ হয়ে গেছে। কখনও মনে হয়নি ওকে (ক্যাটনিস) বিদায় বলতে হবে!’
হলিউডের অন্যতম সফল ফ্রাঞ্চাইজি হলো ‘হাঙ্গার গেমস’। এর তিনটি কিস্তির দুনিয়াজোড়া ব্যবসায়িক সাফল্যই বলে দেয় সেটা। তরুণ-তরুণীদের লক্ষ্য রেখে সিরিজটি বানিয়ে বিশ্বজুড়ে ২৩০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছে লায়ন্সগেট স্টুডিও। এর গল্পে দেখা যায়- টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় এমন বার্ষিক মরণ নিয়ে খেলার আয়োজনে অংশ নিতে জোর-জবরদিস্তি করা হয় তরুণ-তরুণীদেরকে।
চতুর্থ পর্বে এসে শেষ হলো সিরিজটি। ২০ কোটি ডলারে বানানো ‘দ্য হাঙ্গার গেমস: মকিংজে-পার্ট টু’ নামের নতুন ছবিটি আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিলো। ২ ঘণ্টা ১৭ মিনিট ব্যাপ্তির ‘দ্য হাঙ্গার গেমস: মকিংজে-পার্ট টু’ বানাতে খরচ হয়েছে সাড়ে ১২ কোটি ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৯৭৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা!
বক্স অফিসে যথারীতি ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে ‘দ্য হাঙ্গার গেমস: মকিংজে-পার্ট টু’। মুক্তির প্রথম সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী ২৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১ হাজার ৯১১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা! এর মধ্যে ১৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার (১ হাজার ১৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা) এসেছে চীনসহ যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে। বিশ্বের ৮৭টি আন্তর্জাতিক বাজার ও সাড়ে ৩২ হাজার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এটি। এর মধ্যে ৮১ দেশেই টপচার্টের শীর্ষস্থান দখল করেছে।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার। তবে দুই বছর আগে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য হাঙ্গার গেমস: ক্যাচিং ফায়ার’ প্রথম সপ্তাহে আয় করেছিলো ১৫ কোটি ৮১ লাখ ডলার। এ ছাড়া প্রথম সাতদিনে ‘মকিংজে-পার্ট ওয়ান’-এর বিশ্বব্যাপী আয় ছিলো ২৭ কোটি ৪৯ লাখ ডলার।
ছবিটিতে আরও আছেন জুলিয়ান মুর, জশ হাচারসন, লিয়াম হেমসওয়ার্থ, উডি হ্যারেলসন, ডোনাল্ড সাদারল্যান্ড, এলিজাবেথ ব্যাঙ্কস, ফিলিপ সিমুর হফম্যান প্রমুখ। প্রয়াত অভিনেতা ফিলিপ সিমুর হফম্যানের শেষ ছবি এটি। আগের তিন কিস্তির মতো ‘দ্য হাঙ্গার গেমস: মকিংজে-পার্ট টু’ও পরিচালনা করেছেন ফ্রান্সিস লরেন্স। এই সিরিজের প্রিক্যুয়েল বানানোর ইচ্ছা আছে তার। ওই সিরিজে বলা হবে ৭৫ বছর আগের গল্প!
‘মকিংজে’র প্রথম ও দ্বিতীয় ছবির কাজ চলাকালে লরেন্স মুখ খোলেনইনি বলা চলে। ক্যাটনিস চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এ ছবিতে কাজ করার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো জীবনযুদ্ধে মেয়েটির বেড়ে ওঠা, পরিণত ও পরিপক্ক হওয়া দেখতে পারা। এবারের ছবিতে প্রথমবার বিপ্লবের প্রতীক হয়ে উঠতে দেখা যাবে তাকে। আমিও এটাই চেয়েছি। আমার চাওয়া ছিলো, ও নেত্রী হয়ে উঠুক। তবে কোনো লড়াইয়ের গুনগানি করিনি কিংবা কোনো হত্যাকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা ছিলো না আমাদের মধ্যে। যুদ্ধ যে একই সঙ্গে বিপজ্জনক আর আত্মত্যাগের, সেটাই দেখানো হয়েছে। ’
শেষ ছবির বেশিরভাগ জুড়েই রয়েছে যুদ্ধের নৃশংসতা। এবার ক্যাটনিস ও তার বাহিনী ঢুকে পড়ে ক্যাপিটালে। যে জায়গাতে প্রতি কদমে প্রেসিডেন্ট স্নো সাজিয়ে রেখেছেন মরণ নিয়ে খেলা। নির্যাতিতদের কাছে সে-ই একমাত্র আশার প্রদীপ। যেভাবেই হোক ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে অলআউট করবেই সে।
শাসকের বিরুদ্ধে শোষিতের বিপ্লব যে গল্পের বিষয়বস্তু, সেখানে প্রেম-প্রীতি থাকার কথা নয়। তবুও ক্যাটনিসের প্রেমের জালে বাঁধা পড়ে দুই তরুণয়। এদের একজন গেল (লিয়াম হেমসওয়ার্থ), অন্যজন পিটা (জশ হাচারসন)। তাদেরকেও বারবার পড়তে হয় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এ দিকটি নিয়ে পরিচালকের ভাষ্য, ‘একটা ছেলে ও একটা মেয়ে একে অপরের প্রেমে পড়ছে, ব্যাপারটা এমন নয়। বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে দুঃসহ যন্ত্রণা, মানসিক আঘাত ও প্রয়োজনীয় সান্ত্বনার মাধ্যমে তাদের মধ্যে তৈরি হয় বন্ধন। ’
ফ্রাঞ্চাইজিটির চাবি হলো, শেষমেষ প্রত্যেকেই ক্যাটনিসের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। সুপারহিরোদের পৃথিবীতে মেয়েদেরকেই সত্যিকারের মানুষ বলে মনে হয়। যেখানে ক্যাটনিস হিরো কিংবা নেত্রী হতে চায় না। সে শুধু নিজের বোন ও পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবে টিকে থাকতে চায়। তাই চরিত্রটির সঙ্গে দর্শকরা সহজে সম্পৃক্ত হতে পেরেছে বলে মনে করেন পরিচালক।
বার্লিনের পাশাপাশি ক্যাপিটালের অনেক দৃশ্যের কাজ হয়েছে প্যারিসে। সেই প্যারিসে ক’দিন আগে ঘটে গেছে স্মরণকালের সবচেয়ে নারকীয় সন্ত্রাসী হামলা। এ কারণে সেখানে স্বল্প পরিসরে হয়েছে প্রিমিয়ার। কলাকুশলীরা প্রত্যেকে শ্রদ্ধা জানান নিহতদের প্রতি। তবে প্যারিসেও ভালো চলছে ছবিটি। এই শহর থেকেই এসেছে ৭১ লাখ মার্কিন ডলার (৫৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা)।
বার্লিন থেকে শুরু হয় এর প্রিমিয়ার। ইউরোপের এই দেশ দিয়ে শুরু হয়েছে লরেন্স ও অন্য তারকাদের বিদায় বলা। টাকার বন্যা বইয়ে দেওয়া ফ্রাঞ্চাইজিটি শেষ হয়ে যাওয়ায় কষ্ট হচ্ছে এ ছবির প্রত্যেক তারকার। এ কারণে ছিলো কালো গালিচা। ২০১২ থেকে এখন পর্যন্ত অনেক দর্শক তৈরি করেছে সিরিজটি। লরেন্স তো বলেছেনই, ‘প্রত্যেককেই অটোগ্রাফ দেওয়ার চেষ্টা করে আমি অনেক অভিভূত। এটাই শেষ ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার, এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। হায় ঈশ্বর! এটাই শেষ ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার। হায় ঈশ্বর, এটা খুবই খারাপ কথা। ’ লেখিকা নতুন কিছু লিখলে পড়বেন জানিয়ে লরেন্স বলেন, ‘অবশ্যই এটা পড়বো। ’
লরেন্সের মতো সব অভিনয়শিল্পী এই অ্যাডভেঞ্চারে নিয়মিত থাকার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। লন্ডন প্রিমিয়ারে উডি হ্যারেলসন বলে ফেললেন, ‘সুজানে কলিন্সের উচিত অন্তত আরও ২০টা বই লিখে ফেলা!’ তবে হাঙ্গার গেমসের আর কোনো বই নেই পাইপলাইনে। এটাই শেষ কিস্তি। অবশ্য চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লায়ন্সগেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জন ফেলদেইমার আভাস দেন, এই ফ্রাঞ্চাইজির পঞ্চম ছবি হবে। হতে পারে সেটা সিক্যুয়েল কিংবা প্রিক্যুয়েল।
ক্যারিয়ারে বেশিরভাগ ছবিতে অদম্য নারীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন লরেন্স। পাঁচ বছর আগে “উইন্টার’স বোন”-এ জীবনযুদ্ধে লড়াই করে বেঁচে থাকা রি চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য প্রথমবার অস্কারে মনোনয়ন পান তিনি। এরপর ‘সিলভার লাইনিংস প্লেবুক’ ছবিতে অকপটে সব বলে ফেলতে পারে এমন মেয়ে টিফানির ভূমিকায় কাজ করে তো অস্কারটাই ঘরে নিয়ে এলেন। সামনে ‘জয়’ নামের একটি ছবিতে তাকে দেখা যাবে চার পুরুষের পারিবারিক ব্যবসার কর্ত্রী হিসেবে। আর ক্যাটনিসের কথা তো বলতেই হয়।
এ বছর ‘হাঙ্গার গেমস’-এর সঙ্গে ‘এক্স-মেন’ সিরিজেরও শেষ কাজ করলেন লরেন্স। ফলে ফ্রাঞ্চাইজি-পরবর্তী ক্যারিয়ারে তিনি পা রাখতে যাচ্ছেন বলা চলে। কমেডিয়ান অ্যামি শুমারের সঙ্গে যৌথভাবে ‘প্যাসেঞ্জার’ নামের একটি ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন বিখ্যাত এই তারকা। মহাকাশের প্রেক্ষাপটে সাজানো প্রেমের ছবিটিতে তার সহশিল্পী থাকবেন ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’ তারকা ক্রিস প্রাট। এটি মুক্তি পাবে ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর।
ছবিটিতে তাদের একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্য রয়েছে। এবারই প্রথম যৌন দৃশ্যে দেখা যাবে লরেন্সকে। তাই এতে কাজ করতে গিয়ে অদ্ভুত আর উদ্ভট অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রাট বিবাহিত, তাকে চুমুও দিয়েছেন লরেন্স। রসিকতা করে তিনি বলেন, ‘এবারই প্রথম কোনো বিবাহিত পুরুষকে চুমু দিলাম পর্দায়। মনে হচ্ছে কোনো অপরাধ করে ফেলেছি। পেটে ব্যথার মতো বাজে অনুভূতি হচ্ছে এখন। ’
সবচেয়ে দামি চলচ্চিত্র তারকার তালিকায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো এক নম্বর স্থান দখল করলেন জেনিফার লরেন্স। ফেসবুক লাইক, টুইটারে উল্লেখ, অস্কার মনোনয়ন ও সমালোচকদের পর্যালোচনা বিবেচনা করে এ তালিকা তৈরি করেছে ভালচার ডটকম। সংবাদমাধ্যমটির দৃষ্টিতে তাকে বলা হচ্ছে, তার প্রজন্মের প্রধান তারকা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে ‘আয়রন ম্যান’ তারকা রবার্ট ডাউনি জুনিয়র ও লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিও। গত বছর ব্যবসা-সংক্রান্ত ম্যাগাজিন ফোর্বসের হিসাবে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী নির্বাচিত হন তিনি। খেলা শেষ তো কি, লরেন্সের এই এগিয়ে যাওয়ার পালা চলতেই থাকবে!
* ‘দ্য হাঙ্গার গেমস: মকিংজে-পার্ট টু’ ছবির ট্রেলার :
বাংলাদেশ সময় : ১৯২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
জেএইচ