২০১৫ সালে এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে মোট ৫৮টি ছবি। বছর শেষ হওয়ার আগে আরও তিন-চারটি মুক্তি পাওয়ার কথা।
ফেরদৌস
‘হঠাৎ বৃষ্টি’র পর দুই বাংলা দাপিয়ে বেড়িয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। নানা ধরনের ছবির সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন তিনি। ভিন্নমাত্রার ছবিগুলো তাকে এনে দিয়েছে প্রশংসা ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সেই ফেরদৌস এখন অনেকটাই কোনঠাসা। ‘শাকিবের রাজত্বে’ তিনি এখন ‘বেছে বেছে’ কাজ করছেন। তারই ছাপ পড়লো চলতি বছর। তালিকায় একটি ছবি, ‘শোভনের স্বাধীনতা’ মুক্তি পাচ্ছে ১১ ডিসেম্বর। এতে নিপুণের সঙ্গে আবার তাকে দেখা যাবে। এক ছবিতেই বছর পার হচ্ছে তার। কেমন কাটলো ফেরদৌসের এই বছর?
দ্বিতীয়বারের মতো প্রযোজনা করছেন ফেরদৌস, খবরটি এ বছরের। প্রাপ্তি এখানেই। এটা অবশ্য মুক্তিযুদ্ধ-প্রেম ঘিরে তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে তিনি কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছেন। সব মিলিয়ে বছরটি তার জন্য ভালো-মন্দের।
ফেরদৌসের মতোই ভালো-মন্দের দোলাচলে আছেন এ প্রজন্মের আরও চার চিত্রনায়ক। তারা হলেন আনিসুর রহমান মিলন, নিরব, বাপ্পি ও সাইমন। এই তিন তরুণ তুর্কি এ বছর ঝলক দেখাতে পারেননি। গতানুগতিকতায় আটকে আছেন তারা। মিলন (২৫ ডিসেম্বর মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘লালচর’ ছাড়া) ও নিরবের দুটি আর বাপ্পি ও সাইমনের তিনটি করে ছবি মুক্তি পেয়েছে এবার।
আনিসুর রহমান মিলন
চলচ্চিত্রে থিতু হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন ছোটপর্দার ডাকসাইটে অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। ভিন্নধরনের চরিত্রের কথা বলে মূলত নায়ক হওয়ার পথেই এগোচ্ছেন তিনি! কাজী মারুফের সঙ্গে সমান্তরাল চরিত্র দিয়ে ‘দেহরক্ষী’র মাধ্যমে অভিষেক হয় তার। এরপর ঝলক দেখিয়েছেন একাধিক ছবিতে। একইভাবে তাকে পাওয়া গেছে বাপ্পি-মাহির সঙ্গে ‘অনেক সাধের ময়না’য়।
এ বছর এখন পর্যন্ত মিলনের মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি দুটি। ‘ব্ল্যাকমেইল’ ও ‘ভালোবাসার গল্প’। অনন্য মামুনের দুটি ছবির একটির গল্পও তাকে কেন্দ্র করে নয়। প্রথমটিতে ববি-মৌসুমীর ভিড়ে তিনি ঠিক ‘ফোকাসড’ নন, তার ওপর আছে নকলের অভিযোগ। দ্বিতীয় ছবিটি মৌলিক গল্পের হলেও ‘সুন্দর অভিনয়’-এর প্রশংসা তার একক নয়, নম্বর ভাগাভাগি হয়ে গেছে মিশা সওদাগর কিংবা কায়েস আরজুর সঙ্গে।
মিলনের আরেকটি ছবি ‘লালচর’ মুক্তি পাবে এ মাসেই। সরকারি অনুদানের এই ছবিটি তাকে ‘নায়ক’ হওয়ার পথে কতদূর এগিয়ে দেবে সেটাই এখন দেখার পালা।
নিরব
বছরের প্রথম মু্ক্তিপ্রাপ্ত ছবি ছিলো নিরবের ‘গেইম’। নবাগতা অমৃতা খানকে নিয়ে আশাবাদী ছিলেন তিনি। কিন্তু জমলো না। বছরের প্রথম ছবি হিসেবে রয়েল-অনিক পরিচালিত ‘গেইম’ নিয়ে ‘ঢাক-ঢোল’ও বেজেছিলো। তবে প্রেক্ষাগৃহ কিংবা কাকরাইলপাড়ায় সেভাবে আওয়াজ পড়েনি। অবশিষ্ট শাহনেওয়াজ কাকলীর ‘নদীজন’ নিয়ে তিনি বোধহয় এতোটা প্রত্যাশাও করেননি। অবশ্য ছবিটি নিরবেই মুক্তি পেয়েছিলো টিভিপর্দায়। নিরব বছরজুড়ে আলোচিত ছিলেন বিয়ের কারণে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পালিয়ে বিয়ে করে রীতিমত হইচই ফেলে দেন এই ‘লাভার বয়’। সেই রেশ থেকেছে চলতি বছরও। এ ছাড়া রফিক শিকদার পরিচালিত ‘ভোলা তো যায় না তারে’র দৃশ্যধারণ আলোচনা রেখেছে তাকে।
বাপ্পি
বাপ্পি হয়তো হিসেব মেলাতে পারছেন না এবার। তিন-তিনটি ছবির কল্যাণে বছরটি তার জন্য আরও ইতিবাচক হতে পারতো। কেননা ‘ভালোবাসার রং’, ‘অন্যরকম ভালোবাসা’ কিংবা ‘অনেক সাধের ময়না’র পর তার কাছে প্রত্যাশা একটু বেশিই দর্শকদের। বাপ্পির বছর শুরু ‘গুণ্ডা-দ্য টেররিস্ট’ দিয়ে। মুক্তির আগে থেকে ছবিটির নাম নিয়ে হাসাহাসির শুরু। জবাব পাওয়া গেলো মুক্তির পরও। খরা। একই পথে হেঁটেছে তার ‘লাভার নাম্বার ওয়ান’ও। নায়িকা হিসেবে ছিলেন পরীমনি। আর আঁচলের সঙ্গে ‘আজব প্রেম’ ছুঁতে পারেনি এ জুটির প্রথম ছবি ‘জটিল প্রেম’-এর সাফল্য।
সাইমন
বাপ্পির সঙ্গে ভাগ্য মিলে গেছে ‘পোড়ামন’খ্যাত সাইমনের। তারও তিন ছবি। ববির সঙ্গে ‘অ্যাকশন জেসমিন’-এ সাইমন কোনঠাসা ছিলেন। ফলও সেরকমই। এরপর গতানুগতিক গল্প নিয়ে বানানো ‘ব্ল্যাকমানি’র উপার্জনও সুবিধাজনক বলে মনে হয় না। শেষ আশ্রয় ‘চুপি চুপি প্রেম’ও তাকে সরব করতে পারেনি। অল্প বাজেটের এ ছবিটি সহজেই ‘হিট’ তকমা পেতে পারতো। তবে গল্পের দিক দিয়ে এটি প্রশংসা পেয়েছে। এটা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের প্রাপ্তি। কিন্তু ছবিটি করে সাইমন কী পেলেন?
শনিবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলানিউজের বিনোদনে পড়ুন :
* চলচ্চিত্র সালতামামি ২০১৫ (৫): পাঁচ নায়িকার মন্দের ভালো!
** সংখ্যা-সাফল্যে এগিয়ে শাকিব, কিন্তু…
** শাকিবময় অপু, বাঁকবদলে মাহি, সংখ্যায় এগিয়ে পরী
** শুভর শুভ, আলোচনায় ইমন
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘন্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৫
এসও/জেএইচ
তারার ফুল
দেশীয় চলচ্চিত্র সালতামামি ২০১৫ (৪)
পাঁচ নায়কের মন্দের ভালো
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।