২০১৫ সালে অডিও গানের অর্জন কী? বছরটা কী ব্যবসামন্দা গেলো? জনপ্রিয় গানের বিচারেও খুব বেশি অর্জন কী আছে? একক, দ্বৈত কিংবা মিশ্র অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে অন্য বছরের মতোই। সেই তুলনায় আলোচনায় আসেনি তেমন কোনো গান।
এদিকে এ বছর একটি প্রবণতা বেশ লক্ষণীয়, তা হলো- সিঙ্গেল ট্র্যাক প্রকাশ। এতে দু’ একজন শিল্পী আর্থিকভাবে সফলও হয়েছেন। ছিলো ভারতীয় শিল্পীদের নিয়ে কনসার্টের হিরিক। সংগীতশিল্পীদের বিভিন্ন সংগঠন নানা কাজে ব্যস্ত থাকলেও এসব সংকট থেকে উত্তরণের উপায় খোঁজার চেষ্টা করেনি। যে কারণে দিনের পর দিন দেশি গানের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে শ্রোতারা। সব মিলিয়ে অডিও গানে ২০১৫ ‘যাচ্ছেতাই’ বছর কি-না সেটা ভেবে দেখতে পারেন সংশ্লিষ্টরা। পড়ুন বিস্তারিত...
সিঙ্গেল ট্র্যাক ও মিউজিক ভিডিওর বছর
এ বছর উল্লেখযোগ্য অ্যালবাম প্রকাশের পাশাপাশি শ্রোতারা পরিচিত হয়েছেন সিঙ্গেল ট্র্যাকের সঙ্গে। কয়েক বছর ধরে চললেও এটি এবার নতুনমাত্রা যোগ করেছে সংগীতাঙ্গনে। লক্ষণীয় বিষয় যে, ক্যাসেট, সিডির যুগ পেরিয়ে সিঙ্গেল গান প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে এলো অনলাইন। এখন অনলাইনে গান বা সিডি প্রকাশ নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। মজার ব্যাপার হচ্ছে, অনলাইনে গান প্রকাশ এখন আর অডিওতে আটকে নেই। সরাসরি ভিডিও প্রকাশ করছেন শিল্পীরা। এ বছর এটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। অনলাইনে সবাই আন্তর্জাতিকভাবে সিঙ্গেল রিলিজ দিচ্ছেন না ঠিকই। কিন্তু গানগুলো ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাল হয়ে।
আলোচিত গায়ক ও সংগীত পরিচালক হাবিব ওয়াহিদ এই পালে নতুন করে হাওয়া দিয়েছেন এ বছর। গত এপ্রিলে হাবিব ‘হারিয়ে ফেলা ভালোবাসা’ গানের ভিডিও এ্যালবাম প্রকাশ করে হইচই ফেলে দেন। পাশাপাশি ভিডিওটি ইউটিউব ও ফেসবুকের কল্যাণে পৌঁছে যায় বিফোর ইউ মিউজিক চ্যানেলে। পরে অবশ্য হাবিব আরেকটি সিঙ্গেল গানের ভিডিও ছেড়েছেন। এর নাম ‘মন ঘুমায় রে’। ‘হারিয়ে ফেলা ভালোবাসা’ সিডি আকারে প্রকাশ হলেও ‘মন ঘুমায় রে’ শুধু অনলাইন ও মোবাইল সার্ভিসে সীমাবদ্ধ ছিলো।
এ ধারাবাহিকতায় জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমরান প্রকাশ করেন ‘বলতে বলতে চলতে চলতে’ গানটি। তার একক অ্যালবামের গান হলেও প্রথমে স্টুডিও ভার্সন, পরে ভিডিও প্রকাশ করা হয় অনলাইনে। শফিক তুহিনের লেখা গানটি বেশ সাড়া ফেলে। বিশেষ করে ইউটিউবে এর ভিডিও দেখার সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮৭ লাখের ঘর। সাম্প্রতিক সময়ে কোনো গানের ভিডিও এতোবার দেখা হয়নি। এদিক দিয়ে ইতিহাস গড়েছেন ইমরান।
ইমরানের পর সিঙ্গেল আকারে একাধিক গান প্রকাশ করেন গায়ক আরফিন রুমি। সেই গানগুলো নিয়ে ঈদুল ফিতরে তিনি প্রকাশ করেন মাত্র তিন গানের একক ‘কিছু কথা আকাশে পাঠাও’।
এরই মধ্যে সিঙ্গেল দিয়ে নীরবতা ভাঙেন বালাম। ঈদ উপলক্ষে প্রকাশ পায় এটি। ‘মেঘে ঢাকা’ গানটির ভিডিও প্রকাশ পায় ইউটিউবে। এর মধ্যে প্রকাশ পায় কিশোরের সিঙ্গেল ট্র্যাক ‘চেয়েছি যে তোরে’। সিঙ্গেল ট্র্যাক প্রকাশে নাম লেখালেন অর্ণবও। আগস্টের শেষ সপ্তাহে তার নতুন গানটি অনলাইনে ছাড়া হয়। ‘তুই বললে’ শিরোনামের এই গানটিতে অর্ণব শুধুই গায়ক। গীতিকার ও সুরকার ওপার বাংলার।
এ ছাড়া এ বছর ভিডিও গানে আলেচনায় এসেছেন নবীন-প্রবীণ শিল্পীরা। বড় বাজেট কিংবা স্টুডিও ভার্সন- দুইভাবেই ভিডিওর মাধ্যমে শিল্পীরা সংযুক্ত থেকেছেন শ্রোতা-দর্শকদের সঙ্গে। উল্লেখিত কিছু গান ছাড়াও মিউজিক ভিডিওতে আলোচনা তৈরি করে মিলার ‘নাচো’, পড়শির ‘জয় হবেই হবে’, নবাগত শিল্পী ব্যামি রহমানের ‘প্লিজ ডোন্ট ওয়াক অ্যাওয়ে’ প্রভৃতি।
আলোচিত পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম
এ বছর একক ও মিশ্র অ্যালবাম প্রকাশেও সরব ছিলেন অনেক শিল্পী। আলোচনা তৈরি করেছে কিছু অ্যালবাম। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সামিনা চৌধুরী ও রাঘব চট্টোপাধ্যায়ের ‘একটা বন্ধু চাই’, কনক চাঁপার ‘পদ্মপুকুর’, শফিক তুহিনের একক ‘আঙুলে আঙুল’, তপুর একক ‘দেখা হবে বলে’, তৌসিফের একক ‘আয়োজন’, মিলার একক ‘আনসেন্সরড’, লিজার একক ‘সুরাইয়া’, এফ এ সুমনের ‘জানরে তুই’, বেলাল খানের ‘আর একটিবার’, মিনারের একক ‘আহারে’, জয়-পারভেজের ‘তা না না না’, মিশ্র অ্যালবাম ‘চলো অন্তহীন’, ‘ইমরানের একক ‘বলতে বলতে চলতে চলতে’, ইলিয়াসের একক ‘না বলা কথা-৩’, নবাগত ঐশীর প্রথম একক ‘ঐশী এক্সপ্রেস’ প্রভৃতি।
তারকা শিল্পীদের খবর
জনপ্রিয় গায়িকা মিলা এবার ফিরেছেন চেনা রূপে। ‘আনসেন্সরড’ অ্যালবামের একাধিক গান তিনি পৌঁছে দিয়েছেন শ্রোতাদের কানে। এরপরও ‘ফিরে আসা’ নতুন মিলা যেন একটু ম্রিয়মান। ভিডিওচিত্রে ‘ঝলক’ দেখালেও স্টেজ শো বা টিভি লাইভে তেমনভাবে আসেননি এই গায়িকা।
সংগীতশিল্পী বালামও দীর্ঘদিন পর গানে ফিরেছেন এ বছর। একটি গান নিয়ে ফিরেছেন কানিজ সুবর্ণাও। অডিওতে জেমসের কোনো গান মুক্তি পায়নি। তবে চলচ্চিত্রের গান আর কনসার্টে মাতিয়েছেন তিনি। তাহসান হজ করেছেন এবার। একটি দুটি মিশ্র অ্যালবামে গেয়েছেন এই শিল্পী। তবে তাহসানকে ভালো করে পাওয়া গেছে নাটকের গানে। প্রথমবার সিনেমায় গেয়ে বাজিমাত করেছেন তিনি।
এ বছর বাপ্পা মজুমদারকে পাওয়া গেছে রবীন্দ্রসংগীতে। কবিগুরুর গান নিয়ে একক প্রকাশ করেছেন তিনি। বছর শেষে এসেছে ব্যান্ড বাপ্পা মজুমদার অ্যান্ড ফ্রেন্ডসের লোকগানের অ্যালবাম ‘বেনানন্দ’তে। দুটি অ্যালবামের একাধিক গানের ভিডিও প্রকাশ হয়েছে।
বছরজুড়ে গান ও কনসার্ট নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন মমতাজ, কুমার বিশ্বজিৎ, আইয়ূব বাচ্চু, আঁখি আলমগীর, কনা, ন্যানসি, কিশোর দাস, পুলক অধিকারী, সাব্বির জামান প্রমুখ শিল্পীরা। অধিকাংশ শিল্পী এবার সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণায় এগিয়ে ছিলেন। ফেসবুক, ভাইভার ও টুইটারে নিজেদের ‘ভেরিফায়েড’ করার গৌরব অর্জন করেছেন অনেকে। এদিকে ইউটিউবের পাশাপাশি ভেভোতেও গান প্রকাশ করেছেন একাধিক শিল্পী।
বিয়ে করলেন যারা
এ বছর বিয়ে করেছেন কয়েকজন সংগীতশিল্পী। এর মধ্যে অন্যতম হলেন মিলন মাহমুদ, নওরীন, সন্ধি ও ইলিয়াস হোসাইন। মিলনের স্ত্রীর নাম মৌরি রহমান। ১ মে রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ, তপু, শাহেদসহ অনেকেই ছিলেন। ৬ মার্চ বিয়ে করেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা নওরীন। বরে নাম রেজওয়ান। এদিকে ২ এপ্রিল প্রেমিকা ঊর্মিকে বিয়ে করেন সন্ধি। ক’দিন আগে তারা প্রথম সন্তানের মুখ দেখেছেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নিশাত আলমকে বিয়ে করেন ইলিয়াস হোসাইন। ১১ অক্টোবর নিউইয়র্কের একটি কাজী অফিসে তারা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়েতে দুই পরিবারেরই সম্মতি ছিলো।
অডিওতে আলোচিত ঘটনা
বহুরূপী আসিফ আকবর
কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর গান প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব ছিলেন বছরজুড়ে। ফেসবুকে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। তথ্য নির্ভর লেখাগুলো বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমে। ক্রিকেট ও বিপিএলের গান নিয়েও আসিফ ছিলেন আলোচনায়। প্রথমবারের মতো সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন এবারই। ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি-টু’ তে এক ঝলক দেখা যাবে আসিফকে।
হৃদয় খানের বিয়ে বিচ্ছেদ
আলোচিত গায়ক, সুরকার ও সংগীত পরিচালক হৃদয় খানের সংসার ভেঙেছে এ বছর। সাড়ে তিন বছর প্রেম করার পর গত বছরের ১ আগস্ট মডেল সুজানাকে বিয়ে করেন হৃদয়। এটি ছিল তাদের দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। মাস তিনেক যেতে না যেতেই দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়েন শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা চরম আকার ধারণ করে। বনিবনা না হওয়ায় মাস চারেক ধরে আলাদা ছিলেন হৃদয় খান ও সুজানা। অবশেষে ৬ এপ্রিল বিকেল ঢাকার মনিপুরিপাড়ায় একটি কাজি অফিসে গিয়ে তালাকনামায় স্বাক্ষর করেছেন হৃদয় খান।
লাকী আখান্দ ও স্বীকৃতির অসুস্থতা
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ১ সেপ্টেম্বর ভর্তি করা হয়েছিলো লাকী আখান্দকে। সপ্তাহখানেক পর তার ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। ফুসফুসে ক্যান্সার নিয়ে অচিরেই তাকে নেওয়া হয় ব্যাংককের পায়থাই হাসপাতালে। জনপ্রিয় গায়ক, সুরস্রষ্টা ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখান্দ এখন সেখানেই আছেন। এর মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে সহসাই দেশে ফিরছেন না লাকী।
এদিকে কণ্ঠশিল্পী স্বীকৃতির চিকিৎসা চলছে ভারতে। তিনিও জটিল রোগে ভুগছেন।
পড়শির অভিনয়
কণ্ঠশিল্পী পড়শি এর আগে নাটকে অভিনয় করেছেন। শাকিব খানের নায়িকা হয়ে তিনি এবার রীতিমত হৈ চৈ ফেলে দেন। বছরজুড়ে ‘নায়িকা পড়শি’র খবর ছিলো গণমাধ্যমে। শামীম আহমেদ রনির ‘মেন্টাল’ ছবিটিতে তিশা ও আঁচলের পাশাপাশি নায়িকা হিসেবে থাকছেন তিনি। ছবিটি নতুন বছরে মুক্তি পাবে।
গানমেলা
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয় ‘এমআইবি গানমেলা’। ১০ দিনব্যাপী এ মেলা সংগীতশিল্পী ও শ্রোতাদের মধ্যে সেতু তৈরি করে। মেলায় গানের ফাঁকে ফাঁকে বাংলাদেশী গানের গৌরবোজ্জ্বল চার দশক, অনলাইন গানের বাজারের ভবিষ্যৎ, সম্ভাবনা ও করণীয়, মোবাইলের ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসে গানের বাজার, লোকসংগীত-আধুনিক গান-সিনেমার গান ও ব্যান্ড সংগীতের উৎপত্তি, বিবর্তন ও ভবিষ্যৎ এবং পাইরেসির ধরন ও প্রতিরোধসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনকে ঘিরে এ আয়োজন দেশের গীতিকার, সুরকার, গায়ক-গায়িকা, কলাকুশলী, প্রযোজক, প্রকাশক ও শ্রোতাদের মাঝে এক মেলবন্ধন সৃষ্টি করে।
যাদের হারিয়েছি
নয়ীম গহর
‘জন্ম আমার ধন্য হলো’, ‘পূবের আকাশে ঐ সূর্য উঠেছে, ‘নোঙ্গোর তোলো তোলা’ প্রভৃতি গানের গীতিকার নয়ীম গহর। তিনি মারা গেছেন গত ৬ অক্টোবর। তার বয়স হয়েছিলো ৯৩ বছর। বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন নয়ীম। নয়ীম গহর ২০১২ সালে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পদক পান। তার মেয়ে বিশিষ্ট অভিনেত্রী ইলোরা গহর।
ফরিদা ইয়াসমিন
টানা ১৮ দিন বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন সংগীতশিল্পী ফরিদা ইয়াসমীন। ৮ আগস্ট সন্ধ্যা ছয়টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি প্রাণ হারান। তার বয়স হয়েছিলো ৭৫ বছর। তার অন্য দুই বোন নীলুফার ইয়াসমীন ও সাবিনা ইয়াসমীন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী।
খেয়ালি কর্মকার
চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠখ্যাত শিল্পী খেয়ালি কর্মকার। ১৮ ডিসেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ২০১০ সালে ‘চ্যানেল আই-সেরাকণ্ঠ’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে পা রেখেছিলেন খেয়ালি। ওই আয়োজনে দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছিলেন তিনি। এরপর একক অ্যালবাম না করলেও তিনি গেয়েছেন একাধিক মিশ্র অ্যালবামে। লিমকো কুইন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএর ছাত্রী ছিলেন মুন্সীগঞ্জের মেয়ে খেয়ালি।
২০১৫ সালের আলোচিত ভিডিও :
** ইমরানের ‘বলতে বলতে চলতে চলতে’ :
** হাবিব ওয়াহিদের ‘মন ঘুমায়রে’:
** মিলার ‘নাচো’:
** বালামের ‘মেঘে ঢাকা’:
** এফ এ সুমনের ‘জানরে তুই’ :
** হৃদয় খানের ‘আজো একি:
** বেলাল খানের ‘বাজি’ :
** ইলিয়াসের ‘না বলা কথা-৩’:
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
এসও
** কেমন ছিলো প্লেব্যাক