ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারার ফুল

ফারহানা নিশোর সঙ্গে কিছুক্ষণ

‘জানবাজি রাখতে পারি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
‘জানবাজি রাখতে পারি’ ফারহানা নিশো/ছবি: নূর- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

উপস্থাপনা কিংবা মডেলিংয়ে সাবলীল। নাচ কিংবা অভিনয়েও দেখা যায় কালেভদ্রে।

সব মিলিয়ে টেলিভিশন দুনিয়ার জনপ্রিয় মুখ ফারহানা নিশো। কয়েকটি টিভি চ্যানেল মিলিয়ে তার কাজের অভিজ্ঞতা এক যুগের। সদ্য দায়িত্ব নিয়েছেন একুশে টিভির অনুষ্ঠান প্রধান হিসেবে। পড়ুন ফারহানা নিশোর সাক্ষাৎকার-

বাংলানিউজ: ১৩ বছর ধরে আপনি মিডিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত। এখন পর্যন্ত বড় প্রাপ্তি কী?
ফারহানা নিশো: শুধু মিডিয়া নয়, মিডিয়ার বাইরের মানুষদের সঙ্গেও আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। জীবন কিংবা মিডিয়া- দুই স্থানেই সুন্দর সম্পর্কটা বেশ দরকারি। আমি শুরু থেকে মানুষের ভালোবাসা আর সমর্থন পেয়েছি। এক সময় শুধু খবর পড়তাম। এখন কাজের ক্ষেত্র বড় হয়েছে, দায়িত্বও বেড়েছে। আমি সুসম্পর্ক রেখেই সামনে এগিয়ে যেতে চাই। প্রাপ্তি বলতে এগুলোই, সবার সমর্থন ও ভালোবাসা।

বাংলানিউজ:  সংবাদ পাঠ, মডেলিং, উপস্থাপনা, অভিনয়, নাচ- এতো মাধ্যমে কাজ করছেন। কোন কাজটাকে বেশি আপন মনে হয়?
ফারহানা নিশো: এখন মনে হয় আমার অফিসিয়াল পরিচয়টাই বেশি আপন। এরপর বলবো সংবাদ পাঠ। কারণ বুয়েটে পড়ার সময় থেকে, পুরো শিক্ষাজীবনে পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে সংবাদ পাঠ করেছি। এটা আমার অনেক ভালোলাগার জায়গা। সারাজীবন এই মাধ্যমে থাকতে চাই। আর অন্য কাজগুলোতে যেহেতু নিয়মিত নই, বলতে পারছি না।

বাংলানিউজ:  নতুন দায়িত্ব পেলেন একুশে টিভিতে। মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য আপনি কতটুকু প্রস্তুত?
ফারহানা নিশো: আগামী ২ জানুয়ারি থেকে আমি চ্যানেলটিতে কাজ শুরু করবো। কিছু পরিকল্পনা তো আছেই। সেখানকার টিমের সঙ্গে বসতে হবে। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা এগিয়ে নেবো। আসলে এই মুহূর্তে আমি অনেকটা নার্ভাস। সবার কাছে দোয়া চাইবো যেন, যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি।

বাংলানিউজ:  আপনি নিশ্চয়ই কারও কাজে অনুপ্রাণিত হন। তারা কারা?
ফারহানা নিশো: আমার কাছে সবার আগে আমার ঘর। আমার বাবা ২৪ ঘণ্টা কাজ করেন, মা-ও তেমন। আমি তাদের একমাত্র সন্তান। আমিও কাজে বিশ্বাসী। আমার অনুপ্রেরণা তারাই।

বাংলানিউজ:  ব্যক্তিগত ও পেশা জীবনে ফারহানা নিশোর দোষ-গুণ কী কী?
ফারহানা নিশো: আমার বড় দোষ মানুষকে খুব বেশি বিশ্বাস করি। আমি খুব বেশি আবেগপ্রবণ। খুব অল্প সময়ে মানুষকে আপন করে নিই। আপন মানুষের জন্য জানবাজি রাখতে পারি।

বাংলানিউজ:  আপনার এমন কোনো ব্যাপার আছে যা অন্যদের অবাক করে!
ফারহানা নিশো: আমি বুয়েটের ছাত্রী। আমার পরিচিতজনরা প্রায়ই অবাক হন এই ভেবে যে, আমি মিডিয়ায় ক্যারিয়ার গড়েছি। তারা ভাবেন, আমার পেশা এটা হওয়া উচিত হয়নি। আমিও জানতাম না। কীভাবে যেন এ পথে চলে এসেছি! এসে ভালোও বেসে ফেলেছি। আমার মনে হয়, যিনি যে কাজই করুন না কেন, সেটাকে উপভোগ করতে হবে। সত্যি বলতে, আমি উপভোগ করছি।

বাংলানিউজ:  নতুন বছরটা কীভাবে কাটাতে চান?
ফারহানা নিশো: মনে পড়ে, ছোট্টবেলায় সুদূর টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় এসে বিটিভির ‘কিশলয়’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতাম। এরপর ধীরে ধীরে নানা কাজে জড়িয়ে পড়া। এখন বড় দায়িত্ব নিয়েছি। এটা এক ধরনের চ্যালেঞ্জ আমার কাছে। নতুন বছরের শুরু থেকে নতুন জীবন, নতুন দায়িত্ব পালন শুরু করছি। এটা ঠিকঠাক সম্মানের সঙ্গে পালন করতে চাই। দায়িত্ব পেয়ে এক ধরনের শঙ্কাও কাজ করছে। এটা সামলে উঠবো জানি। আমার সবশেষ কর্মস্থল যমুনা টিভির সহকর্মীদের খুব মিস করবো। তাদের জন্য মনটাও খারাপ হয়ে আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
এসও/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ