বলা হয়, তিনি গানের রাজকুমার। কথা ও সুরের জাদুতে বাংলাদেশি শ্রোতাদের আবিষ্ট রেখেছেন যুগের পর যুগ।
বাংলানিউজ: ক্যাসেট, সিডির যুগ পেরিয়ে এখন গান প্রকাশ হচ্ছে মোবাইল ফোন কিংবা অনলাইনে। গানের বাজারের এই রূপবদলের সঙ্গে আপনি বেশ ঘনিষ্ঠ। বলা যেতে পারে, আপনি সব যুগেই সাফল্য পেয়েছেন। রহস্য আছে কোনো?
প্রিন্স মাহমুদ: আমি যেটা বলি, আমি ভাবিনি কখনো এভাবে। কাজ করে যাওয়ার কথা, কাজ করে যাচ্ছি।
বাংলানিউজ: ‘খেয়াল পোকা’ রবি রেডিওতে প্রকাশ করেছেন। সম্ভবত প্রথমবার আপনি এভাবে গান ছাড়লেন। গানের প্রসারে এই পদ্ধতি আসলে কতটুকু কার্যকর বলে মনে হয়? এক সময় তো আপনি এর পক্ষে ছিলেন না। তো অ্যালবাম নিয়ে কতটুকু আশাবাদী।
প্রিন্স মাহমুদ: করলাম আর কি। দেখি না কী হয়। যদি গান ভালো হয় মানুষ শোনে। সেটা কোথা থেকে, কিভাবে বের হলো সেটা ব্যাপার না। সময়ের সঙ্গে থাকা আর কি। আমি অ্যালবাম শেষ করে দিয়েছি। এখন এটা নিয়ে আমার আর তেমন কিছু করার নেই। শুনেছি কিছুদিনের মধ্যে এর সিডি আসবে। আর একাধিক গানের ভিডিও নাকি তার করবে।
বাংলানিউজ: যখন নতুন গান তৈরি করেন তখন কোন কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখেন? যেমন শিল্পী নির্বাচনের বেলায় আপনি খুব খুঁতখুতে। একটি গানের জন্য সঠিক শিল্পী নির্বাচন কতোটা জরুরি? এমন কী মনে হয় যে কিছু গানের বেলায় অাপনি ভুল শিল্পী নির্বাচন করেছেন?
প্রিন্স মাহমুদ: এটা তো হতেই পারে। শিল্পীর ভয়েস আমার মোটামুটি পছন্দ না হলে আমি গান করি না। তবে ভুল শিল্পী নির্বাচনের বিষয় নেই। যাকে নিয়েই কাজ করেছি, ভালো লাগা থেকেই করেছি।
বাংলানিউজ: শোনা যায়, সুর তৈরির ক্ষেত্রে আপনি কোনো বাদ্যযন্ত্রের সহায়তা নেন না। এতে আপনি বিশেষ কোনো সুবিধা কিংবা অসুবিধার সম্মুখীন হন?
প্রিন্স মাহমুদ: না, বাদ্যযন্ত্রের সহায়তা নিই না, এমন না। কিন্তু সব সময় এমনটা করা হয় না। পিয়ানোতে কখনো কখনো সুর তৈরি হয়। তারপর লিরিক লিখি। এভাবেও করি।
বাংলানিউজ: আপনি কিছু গান গেয়েছেন। কখনও কী মনে হয় গায়ক হলে বেশি ভালো হতো?
প্রিন্স মাহমুদ: না এরকম কখনো মনে হয় না। আসলে গান গাওয়াটা আমার হয় না।
বাংলানিউজ: চলচ্চিত্রের গানে আপনাকে সেভাবে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে আপনার ভক্তদের আক্ষেপ আছে। আপনার কী মনে হয় না যে, এই মাধ্যমেও আপনার বিশেষ অবদান থাকতে পারতো?
প্রিন্স মাহমুদ: এখন যে গানগুলো করছি এগুলোও কিন্তু ফিল্মে যেতে পারে। তো সমস্যা হয়েছে কী, আমাকে চাপ দিলে কাজ হয় না। আমার ওপর যারা দায়িত্ব ছেড়ে দেন তাদের কাজ করতে পারি। কোনো ব্যাপার দিয়ে আমাকে বেঁধে দেওয়া যায় না।
বাংলানিউজ: দু’ একটি ভিন্নতা ছাড়া আপনার অধিকাংশ অ্যালবাম হিট তকমা পেয়েছে। আপনার ব্যর্থতা তাহলে কী-সে?
প্রিন্স মাহমুদ: এটাতো প্রতিটি অ্যালবাম তৈরি করার পরপরই মনে হয়। মনের মধ্যে খুতখুত থাকে। মনে হয় জিনিসটা বুঝি ভালো হলো না।
বাংলানিউজ: এখনকার গানে কোন প্রবণতাটা বেশি চোখে পড়ে? কথাপ্রধান কিংবা বৈচিত্রপুর্ণ গান কী কমে যাচ্ছে? এর কারণ কী?
প্রিন্স মাহমুদ: লিরিক্যালি… (একটু থেমে) আমি আসলে এগুলো নিয়ে বলতে চাই না। বলা ঠিক হবে না। যদি বলিও, আমি একটা বিষয় বলতে চাই। আমি আমার মতো করে কাজ করি তো। আসলে ওইভাবে তেমন কোনো গান শুনিনা। অনেক ভিডিও হয়তো হিট করছে, সেগুলোও আমি তেমনভাবে দেখি না। গান শুনিনা, কারণ আমি চাইনা আমার ওপর কারো প্রভাব পড়ুক। বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়ুক এটা চাই না। প্রথম থেকেই আমি এটা মেনে চলছি। গান শুনতে বাঁধা নেই, কিন্তু নিজের কিছু শব্দ থাকা চাই, সুর থাকা চাই। আমি আসলে খুব কম শুনি।
বাংলাদেশ সময় : ১১৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৫
এসও/
তারার ফুল
প্রিন্স মাহমুদের সঙ্গে কিছুক্ষণ
‘আমি চাইনা আমার ওপর কারো প্রভাব পড়ুক’
সোমেশ্বর অলি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।