চিরবিদায় নিলেন গুণী সংগীতজ্ঞ খোন্দকার নূরুল আলম। গত ২২ জানুয়ারি ৮০ বছর বয়সে মারা যান এই প্রখ্যাত গায়ক, সুরকার ও সংগীত পরিচালক।
খোন্দকার নূরুল আলম সাহেবের সুর ও গানে মাটির স্বাদ পাওয়া যেতো। তার গানগুলো ছিলো অনন্য রূপ-ব্যঞ্জনায় ভাস্বর। তিনি ছিলেন সত্যিকারের কীর্তিমান মানুষ। তার সব সৃষ্টিকর্মই রুচিস্নিগ্ধ। এগুলোর শিল্পচেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে প্রভাবিত করবে।
এমন গুণী শিল্পীর প্রয়াণে আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি বিশেষ করে সংগীতাঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তার হাত ধরেই এ দেশের সংগীতজগত খুঁটি পেয়েছে। তিনি ছিলেন নিবিড় শিল্পযোদ্ধা। তার সুরের আবেশ আমাদের স্বস্তির আশ্রয় হয়ে থাকবে।
খোন্দকার নূরুল আলমের সুরে অনেক গান গেয়েছি আমি। এর মধ্যে দেশাত্মবোধক গানগুলোর কথা আলাদাভাবে বলি আজ। এখন বিশেষভাবে মনে পড়ছে আবু হেনা মোস্তফা কামালের লেখা ‘নদীর মাঝি বলে এসো নবীন, মাঠের কবি বলে এসো নবীন, দেখেছি দূরে ওই সোনালি দিন...’, কবি শামসুর রাহমানের কথায় ‘স্মৃতি ঝলমল সুনীল মাঠের কাছে, পানি টলটল মেঘনা নদীর কাছে, আমার অনেক ঋণ আছে...” এবং মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের লেখা ‘আমার মন পাখিটা যায় রে উড়ে যায়, ধানশালিকের গাঁয়...’।
বেশ কয়েক মাস আগে খোন্দকার নূরুল আলম সাহেব আমাকে ফোন করেছিলেন। অনেকক্ষণ কথা হলো আমাদের। তার শরীর-স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিলাম। গান-বাজনা নিয়েও টুকটাক আলোচনা হলো। তিনি দেখা করতে বলেছিলেন। আমি বলেছিলাম, খুব তাড়াতাড়ি দেখা করবো। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। তিনি চলে গেলেন। আমাদের আর দেখা হলো না...
খোন্দকার নূরুল আলম আমাদের সংগীতাঙ্গনকে আরও অনেক কিছু দিতে পারতেন। তিনি যে মাপের শিল্পী ছিলেন, তার পুরোপুরি বিকাশ হয়নি বলে আমি মনে করি। তার প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি রইলো আমার আন্তরিক সমবেদনা।
অনুলিখন: জনি হক
* তিনি এমনই জাল পেতেছিলেন!
* সংগীতজ্ঞ খোন্দকার নূরুল আলম আর নেই
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৬
জেএইচ
তারার ফুল
আমাদের আর দেখা হলো না...
রুনা লায়লা (অতিথি লেখক) | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।