শাকিব খান ও জয়া আহসানকে নিয়ে আলোচনার জোয়ারে বিষয়টা প্রায় উধাও হয়ে বসেছে! ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি ২’ ছবিতে ইমনও তো আছেন! বেশিরভাগ পোস্টারে তার মুখ দেখা যায়নি। অথচ তার চরিত্রটিই প্রশংসিত হচ্ছে বেশি।
বাংলানিউজ : ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি ২’-এর অডিও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, এ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে। এর ব্যাখ্যা কী?
ইমন : দেখুন এ সপ্তাহে দুটি ভালো ছবি মুক্তি পেয়েছে। দুটি ছবির জন্যই দর্শক সিনেমা হলে যাচ্ছে। এটা আমাদের সবার জন্য ইতিবাচক ব্যাপার। লক্ষণীয় হলো দুটি ছবিতেই প্রথম সারির তারকারা আছেন। দিন শেষে দর্শকরা একফ্রেমে অনেক তারকাকে দেখতে চায়। ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি ২’ অনেক তারকার ছবি। এটি ক্রিকেটপ্রেমীদের বেশি টানছে বলে মনে করি। কারণ এর গল্প ও চিত্রনাট্যটা ক্রিকেটকে ঘিরেই সাজানো।
বাংলানিউজ : শাকিব খান ও জয়া আহসানের সঙ্গে অভিনয় কেমন উপভোগ করেছেন?
ইমন : প্রস্তাব পাওয়ার পর মনে হলো শাকিব খানের সঙ্গে একটা কাজ করে দেখি। তাছাড়া মনে হলো, এ দেশে অনেক তারকাকে একত্র করে ছবি তৈরির চলটা কমে গেছে। ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি ২’ সেটা ফিরিয়ে আনছে বলে রাজি হলাম। এ দু’জনের সঙ্গে অভিনয়টা উপভোগ করেছি খুব। ছবি মুক্তির পর জয়া আহসানের প্রশংসা পেয়েছি। তিনি সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখার পর আমাকে ফোন করে বলেছেন, আমার চরিত্রটি আলাদাভাবে তার নজর কেড়েছে। তিনি মনে করেন অভিনয়ে আমার উন্নতি হয়েছে। ‘ইমন, আমি তোমার অ্যাক্টিংয়ের ফ্যান’-এই মন্তব্য যখন জয়া আহসান আমাকে করেছেন, আমি আর কিছু দেখছি না। খুব ভালো লাগছে। এ ছাড়া আরও অনেকেই ছবিটিতে আমার অভিনয়ের প্রশংসা করছে। এর মধ্যে আমি অঞ্জন আইচের নামটা বলতে চাই। তিনিও উচ্ছ্বসিত।
বাংলানিউজ : একফ্রেমে অনেক তারকার কথা বলছিলেন। ভবিষ্যতে এরকম কাজ আবার করবেন?
ইমন : সেটা বলতে পারছি না। কারণ ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি ২’-এ যে আমি অভিনয় করেছি এটা অনেকেই জানে না। হলে গিয়ে তারা পর্দায় আমাকে দেখে অভিনয়ের প্রশংসা করছেন। আমার মনে হয়, আগে থেকে জানলে আরও কিছু দর্শক সমাগম হতো। বিষয়টা এমন হয়েছে যে, ছবিটিতে আমি আছি এটা তাদের কাছে বোনাস।
বাংলানিউজ: একজন নায়ক (শাকিব খান) ও একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে (জাজ মাল্টিমিডিয়া) ঘিরে বড় বাজেটের ছবিগুলো হচ্ছে। ব্যবসায়িকভাবে তারাই কিছুটা সুফল পাচ্ছেন। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
ইমন : অনেকাংশে সত্যি। জাজ মাল্টিমিডিয়া সিনেমায় ট্রেন্ড এনেছে। শাকিব খান অনেক সফল ছবি করেছেন। কিন্তু শুধু এ দু’জনের পক্ষে ইন্ডাস্ট্রি টেনে নেওয়া সম্ভব নয়। সবাইকে নিয়ে এগোতে হবে। অন্যদের সেরাগুলোও কাজে লাগাতে হবে। জাজ মাল্টিমিডিয়া বেশ কয়েকজন তারকাকে একত্র করে ছবি বানাতে পারে। সেখানে এদেশের শিল্পীরা থাকতে পারেন। শুধু কলকাতা নয়, দেশের নায়কদের নিয়েও ভাবতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে।
বাংলানিউজ : ছবির সংখ্যা ও অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে আপনি চলচ্চিত্রে বেশ অগ্রগামী। আপনার কাছে সাফল্যের সংজ্ঞা কী?
ইমন : ব্যবসার দিক দিয়ে অনেক ছবিই ব্যর্থ হচ্ছে। আমার বেশকিছু ছবি এদিক দিয়ে সাফল্য পেয়েছে। বেশকিছু ছবি দেশি-বিদেশি দর্শকের মনে দাগ কেটেছে। ‘গার্মেন্ট কন্যা’, ‘পাঁচ টাকার প্রেম, ‘লালটিপ’, ‘জোনাকীর আলো’, ‘গহীনে শব্দ’ ছবিগুলো আমাকে নানাভাবে অনুপ্রাণিত করে, নতুন কাজের বেলায় আশাবাদী করে।
বাংলানিউজ : চলচ্চিত্রে এখন কোন সঙ্কটটি প্রকট বলে মনে করেন?
ইমন : সিনেমা হলের করুন অবস্থা। জাজ মাল্টিমিডিয়া এ অবস্থা থেকে চলচ্চিত্র শিল্পকে বের করে আনার চেষ্টা করছে। এগিয়ে আসতে পারে এটিএন বাংলার মতো চলচ্চিত্রপ্রেমী প্রতিষ্ঠানও।
বাংলানিউজ : আপনার স্বপ্নের নায়িকা কে, যার সঙ্গে নায়ক হিসেবে অভিনয় করার ইচ্ছে আছে?
ইমন : স্বপ্নের নায়িকা স্বপ্নেই বাস করুক। তাকে বাস্তবে টেনে না আনাই ভালো। আমার আজকাল যেটা মনে হয়, শাবনূর আপার ভক্ত ছিলাম, তার সঙ্গে অভিনয় করেছি। এখন ভালো করছেন মাহিয়া মাহি। মাহির সঙ্গে কাজ হবে, এটা প্রায়ই মনে হয়। ওর সঙ্গে আমার অভিনয় বেশ জমে উঠতে পারে।
বাংলানিউজ : আপনার মুক্তি প্রতীক্ষিত ছবিগুলোর বিশেষত্ব কী?
ইমন : একটু আলাদা ছবি ‘পরবাসিনী’। এটা অচিরেই মুক্তি পাবে। আর প্রেম-ভালোবাসা আছে ‘এমনও তো প্রেম হয়’ ও ‘অবুঝ ভালোবাসা’য়। শুটিং করছি ‘কিলার’-এর। এটাও বেশ চমৎকার। খুনীর চরিত্রে অভিনয় করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৬
এসও/জেএইচ