নতুন বছরে তার প্রথম চলচ্চিত্র মুক্তি পাচ্ছে। অারিফিন শুভ অভিনীত ‘মুসাফির’ এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
বাংলানিউজ: ‘মুসাফির’ নিয়ে দর্শকের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আপনার প্রত্যাশা কেমন?
আরিফিন শুভ: ব্যাপক প্রত্যাশা আমার কখনোই থাকে না। এই ছবির বেলাতেও নেই।
বাংলানিউজ: এর কারণ কী?
শুভ: চারিত্রিক বৈশিষ্টের মধ্যেই আছে এটা, যে, আমি কাজটুকুই করি, ফলাফল নিয়ে খুব একটা ভাবিনা। এভারেজ একটা প্রত্যাশা আছে। তবে, এ অবস্থায় দর্শকের কাছে যদি ‘মুসাফির’ ভালো লাগে তাহলেই খুশি। আমার পক্ষে কখনোই কোনো কাজ নিয়ে এটা বলা সম্ভব নয় যে, অনেক ভালো করেছি, অনেক ভালো হয়েছে। আকাশচুম্বী প্রত্যাশা নেই। ধরা যাক, আমি বললাম এটি পৃথিবীর বিখ্যাত কাজ। দর্শক হলে গিয়ে তার প্রমাণ পেলো না। এ ক্ষেত্রে দর্শকের মনে হতে পারে, আমি প্রতারণা করেছি। তাহলে কী দাঁড়ালো? বাংলানিউজ: আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, ছবির প্রচারে আপনি অতি-উক্তি করতে চান না। দর্শক বিভ্রান্ত হতে পারেন এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে চান। এই তো?
শুভ: একদম ঠিক। আমার কথায় দর্শক একদিন দুইদিন হলে যাবেন, তারপর? দর্শকের আস্থার জায়গাটা নষ্ট করতে চাই না।
বাংলানিউজ: এটা তো বলতে পারেন যে, আপনার দৃষ্টিতে ‘মুসাফির’ ছবিটি কেমন।
শুভ: হ্যা, তা পারি। তবে এগুলোও বলতে চাই না। দর্শক হলে গিয়ে দেখলেই ধরতে পারবেন। আমার এতোটুকু মনে হয় যে, ছবিটিতে কিছু নতুনত্ব আছে। অ্যাকশনটা এখানে নতুন। মেকিং সুন্দর, গানগুলো সুন্দর। নতুন একটা মেয়ে (মারজান জেনিফা) আমার সঙ্গে কাজ করেছে। ছবিটিতে সর্বোচ্চ ভালো করার জন্য আমার চেষ্টার কমতি ছিলো না।
বাংলানিউজ: ‘নিয়তি’, ‘অস্তিত্ব’ আর ‘মৃত্যুপূরী’ও তো মুক্তির জন্য প্রস্তুত।
শুভ: সামনে ঈদ। এর আগেই আসবে হয়তো ছবিগুলো। মে তে ‘অস্তিত্ব’ রিলিজ পাবার কথা। আর যৌথ প্রযোজনায় ‘নিয়তি’ও তারিখ ঘোষণা করবে। এর মধ্যে কাজ শুরু করবো ‘প্রেমী ও প্রেমী’ ছবির। শেষ করেছি ‘মৃত্যুপূরী’র শুটিয়। আর ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর কাজ ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে।
বাংলানিউজ: ‘ঢাকা অ্যাটাক’ প্রচলিত ছবির বাইরের কিছু হচ্ছে? মানে, কাজ করতে গিয়ে কী বুঝলেন?
শুভ: এ ধরনের কাজ আমাদের এখানে সচরাচর হয় না। একদম র-ধাঁচের ছবি। এখানে বিনোদনটা আছে, কিন্তু টিপিক্যাল বিনোদন নেই।
বাংলানিউজ: কোনো নতুন অভিজ্ঞতা?
শুভ: নিঃসন্দেহে নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার সঙ্গে বোমা স্কোয়াডের যারা কাজ করেছেন তারা প্রকৃতপক্ষেই ওই পেশার মানুষ। যে কোনো দেশে একটাই এলিট ফোর্স হয়, সোয়াদ ফোর্স, তারা অভিনয় করেছেন আমাদের সঙ্গে। বিষয়টা বেশ এক্সাইটিং।
বাংলানিউজ: যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নিয়ে অনেক ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে। প্রথম কাজটি কেমন হলো?
শুভ: যৌথ প্রযোজনার ছবি আগে এতো বেশি হতো না। এখন এটা অনেকটা নিয়মিত হচ্ছে। আমি মনে করি, একটা স্থিরতার জায়গায় যাওয়ার আগে, কিছু অনিয়ম বা ত্রুটি হয়। ধীরে ধীরে সেটা একটা সুন্দর আকার নেয়। আমি এটুকু বলতে পারি যে, অসম বিষয় থাকবে এমন ছবিতে কখনো কাজ করবো না।
বাংলানিউজ: এ দিক দিয়ে ‘নিয়তি’ কতোটা সমতা রেখেছে?
শুভ: জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে আমার প্রথম ও প্রধান শর্তই এটা যে, আমার ছবি দেখে প্রশ্ন উঠতে পারবে না, এটা কোন দেশি ছবি? ছবিটা দেখে যেন আমার দেশের মনে হয়।
বাংলানিউজ: অদূর ভবিষ্যতে চলচ্চিত্রে কোনো পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন?
শুভ: আগামী ৩-৪ বছরে একটা বদল আসবে বলে মনে হচ্ছে। ইতিমধ্যে সেটা লক্ষ করা যাচ্ছে। বদল না আসলে আরিফিন শুভ কেন কাজ করছে, কীভাবে কাজ করছে!
বাংলানিউজ: আপনি সাধারণত একসঙ্গে একাধিক ছবির শুটিং করেন না। আমাদের এখানে এই প্র্যাকটিসও নেই। এটা কী ভবিষ্যতেও মেনে চলবেন?
শুভ: সত্যি বলতে একসঙ্গে একাধিক ছবির কাজ করতে পারি না, এটা আমার ব্যর্থতা। একটা কাজের মধ্যে সবটুকু মনযোগ দিতে চাই। এখন পর্যন্ত যখন পেরেছি, ভবিষ্যতেও পারবো। গার্লফ্রেন্ড একজন থাকা ভালো, অনেকগুলো থাকলে ঝামেলা…(হাসি)।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৬
এসও