দেশীয় বিজ্ঞাপন ভুবনে অগ্রগামী মডেল নোবেল। কালে-ভদ্রে অভিনয় করেন নাটক-টেলিছবিতে।
বাংলানিউজ : নতুন বিজ্ঞাপনে আপনি ব্যর্থ প্রেমিক…। সাড়া পাচ্ছেন কেমন?
নোবেল : দুটি কারণে এটি অামার কাছে খুব ভালো লেগেছে। প্রথমটি হলো, দীর্ঘদিন পর মৌ আর আমি একসঙ্গে মডেলিং করেছি। এটা অবশ্য ক্লায়েন্টদের চাহিদা ছিলো। তারাও চাইছিলেন যেন আমরা এক হই। দ্বিতীয়ত, তাদের পণ্যের ব্যাপারেও কাস্টমারদের ফিরিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে বিজ্ঞাপনটিতে। এই দুটি ব্যাপারই সুন্দরভাবে বলা গেছে। এটা আমার আর মৌর সঙ্গে মানিয়েছে। দর্শক ভাবছেন যে, ‘ও আচ্ছা নোবেল-মৌ আবার একসঙ্গে!’ সত্যি বলতে, এর জন্য প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। দেশের বাইরে থেকেও ইতিবাচক মন্তব্য করছেন অনেকে। গল্পের সঙ্গে রিয়েলিটির বিষয়টি নির্মাতা গোলাম কিবরিয়া ফারুকী সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছেন।
বাংলানিউজ : ঠিক কতোদিন পর আপনি আর মৌ একসঙ্গে মডেলিং করলেন?
নোবেল : এটা এক যুগেরও বেশি হবে। ১২-১৪ বছর হতে পারে। আগে আমরা দু’জন অনেক বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। এর মধ্যে অবশ্য নাটকেও একসঙ্গে কাজ করেছি।
বাংলানিউজ : আপনাকে দেখে অনেকে অনুপ্রাণিত হয়। মডেলিংয়ে আপনি অনেকের আদর্শ। আপনার আদর্শ কে?
নোবেল : আমি বা আমরা যখন শুরু করি তখন আসলে সামনে তেমন কাউকে পাইনি। নিজেদের চেষ্টাতেই এগোতে হয়েছে। আর ভালো মানের স্কুল-কলেজে পড়ার ফ্যাশনেবল ছেলেমেয়েদের দেখে দেখে কিছু গ্রুম আপ হয়েছে। ওদের সঙ্গে চলতে ফিরতে গিয়ে নিজের মধ্যেও কিছু পরিবর্তন চলে আসে। আর ছোটবেলা থেকে টিভিতে বিভিন্ন রিয়েলিটি শো কিংবা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানগুলো দেখতাম।
বাংলানিউজ : কালেভদ্রে নাটকে কাজ করছেন। পরিচালক বা অন্য পরিচয়ে পাওয়া যাবে?
নোবেল : আমি অ্যাডে পারফর্ম করছি। এখনও কাজ করে মজা পাচ্ছি। তাই পরিচালনার বিষয়টি মাথায় আনি না। আমার মনে হয়, আমি পারফর্ম ভালোই করি। তাছাড়া টেলকো কোম্পানির চাকরিতে প্রচুর সময় দিতে হয়। এটাও আমার পছন্দের।
বাংলানিউজ : আপনি তো চাইলে মডেলিং বা অভিনয়কে পেশা হিসেবে নিতে পারতেন…
নোবেল : সেটা হয়তো পারতাম। কিন্তু আমি চাইনি। কারণ ব্যবসা বা পছন্দের চাকরি করবো- এটা শুরু থেকেই মাথায় ছিলো। এ কারণে কাজগুলো বেছে বেছে করতে পারছি।
বাংলানিউজ : আপনার শুরুর সময় আর এখনকার সময়ের বিজ্ঞাপন ভুবনে কেমন পরিবর্তন লক্ষ্য করেন?
নোবেল : কাজের ধরণ বেশ পাল্টেছে। আগে দর্শক প্রাণবন্ত ও পারফরমেন্স ভিত্তিক বিজ্ঞাপন পছন্দ করতো। এ কারণে আগে নাচ-গান কিংবা জিজ্ঞেল নির্ভর কাজ হয়েছে বেশি। এখন অবশ্য অনেক ধরনের বিজ্ঞাপন হচ্ছে। এখন গল্পনির্ভর কাজ হচ্ছে, আগে তেমন হতো না। এখন বিজ্ঞাপনের রঙ নিয়েও পরীক্ষামূলক কাজ হচ্ছে। আন্ডারটোনেও কাজ করছেন অনেকে।
বাংলানিউজ : এ সময়ের নাটক দেখা হয়?
নোবেল : মাঝে-মধ্যে দেখা হয়। খুব কম। আমার কাছে মনে হয়, ৫-৭ বছর আগেও দর্শক কিছু নাটক দেখার জন্য অপেক্ষা করতো। কিন্তু এখন কেউ অপেক্ষা করে বলে মনে হয় না। যেমন আমার অফিস বা পরিবারের কাউকে এমনটা করতে দেখি না। এমনকি দেখেছেন, এমন নাটক নিয়েও কথা বলতে শুনি না। এটা দিয়েই পুরো পরিস্থিতিটা বুঝতে পারি। আমি তো মাঝে-মধ্যে নাটকে অভিনয় করি। কিন্তু আমার সহশিল্পীরা নিয়মিত করেন। হয়তো কাজটা করবো কী করবো না- এমন আলাপ করি তাদের সঙ্গে। তখন তাদেরকেই বলতে শুনি, ‘আরে এখন নাটক কে দেখে! করেন করেন…’। কাজেই এ নিয়ে আর মন্তব্য করতে চাই না।
বাংলানিউজ : চলচ্চিত্রে অাপনি নেই কেন?
নোবেল : আমাদের দেশের সিনেমা দেখে আমি কখনও আকর্ষণবোধ করিনি। দেখে আগ্রহ তৈরি হয়নি কাজ করার ব্যাপারে। বরং চলচ্চিত্র দেখে প্রায়ই মনোক্ষুণ্ন হয়েছি।
বাংলানিউজ : নায়ক হওয়ার প্রস্তাব তো নিশ্চয়ই পেতেন?
নোবেল : ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’সহ অনেক ছবিতে নায়ক হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছি। চিত্রনায়িকা মৌসুমী তো প্রায়ই চলচ্চিত্রে কাজ করার কথা বলেন। এই তো ক’দিন আগেও খুব কষ্টে পাশ কেটেছি। কিন্তু আমি চুক্তিবদ্ধ হইনি। আমার মনে হয়, খুব ভালো কিছু করতে পারতাম না। কারণ একজনের ইচ্ছেতে সব বদলে যায় না।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৬
এসও/জেএইচ