ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারার ফুল

কক্সবাজারে শুটিংয়ের কথা শুনলেই ভয় লাগে: পিয়া বিপাশা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৬
কক্সবাজারে শুটিংয়ের কথা শুনলেই ভয় লাগে: পিয়া বিপাশা পিয়া বিপাশা-ছবি-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শুরুটা মডেলিং দিয়ে, ২০১২ সালে। ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’-এর মাধ্যমে পেয়েছেন পরিচিতি।

তার মতে, জনপ্রিয়তার শীর্ষে এনেছে ইউনিলিভারের ভ্যাসলিন বিলবোর্ডের কাজটি। পিয়া বিপাশা অভিনয় করেছেন বেশ কিছু টিভি নাটক, টিভিসি ও মিউজিক ভিডিওতে। এতো কিছুর ভিড়ে তার লক্ষ্য কোটি কোটি দর্শকের স্বপ্নের নায়িকা হওয়া। দুয়ারে কড়া নাড়ছে সেই শুভদিন। রাত পোহালেই (১৩ মে) স্বপ্ন সত্যি হবে পিয়ার। ‘রুদ্র-দ্য গ্যাংস্টার’ ছবিটির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হচ্ছে তার। বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপে পিয়া জানিয়েছেন আরও কিছু অজানা কথা।  সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জান্নাতুল মাওয়া-

বাংলানিউজ: প্রথম ছবি মুক্তি পাচ্ছে। কেমন লাগছে?
পিয়া বিপাশা
: অবশেষে বিটি মুক্তি পাচ্ছে, এটা ভেবেই আমি অনেক আনন্দিত। আসলে সবাই প্রথম ছবি নিয়ে একটু বেশি আশাবাদী থাকে। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। এতোদিন ছোটপর্দায় অভিনয় করেছি। এবার সময় এসেছে বড়পর্দায় নিজেকে দেখার, প্রমাণ করার। এজন্য নিজেই খুব উৎসুক। আবার চিন্তাও হচ্ছে এই ভেবে যে, দর্শক আমার অভিনয় কতটা পছন্দ করবে!

বাংলানিউজ: কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
পিয়া বিপাশা:
এই ছবিটি আমার ক্যারিয়ারে ‘চিত্রনায়িকা’ শব্দটি যোগ করেছে। অভিজ্ঞতা তো হয়েছে। বুঝতে পেরেছি যে, বড়পর্দায় কাজ করতে কতোটা কষ্ট করতে হয়। আর কে না জানে বড়পর্দার পরিধিটাও বেশ বড়।

বাংলানিউজ:  প্রায় দুই বছর আগে কাজ শুরু করেছিলেন। মুক্তি পেতে দেরি হলো যে!
পিয়া বিপাশা:
২০১৩ সালে ছবিটির কাজ শুরু হয়েছিলো। দেড় বছর আগে শেষও হয়ে গিয়েছিলো। সায়েম ভাইয়ের (প্রযোজক ও পরিচালক সায়েম জাফর ইমামী) কিছু সমস্যা থাকার কারণে কয়েক মাস ছবিটির শুটিং বন্ধ ছিলো। আর ছাড়পত্র পেতেও একটু সময় লেগেছে।

বাংলানিউজ: ছবিতে আপনার চরিত্রটি কেমন?
পিয়া বিপাশা:
আমি দুটো চরিত্রে কাজ করেছি এই ছবিটিতে। আমার প্রথম চরিত্রটির নাম হলো অদ্রিতা। সে অনেক লাজুক প্রকৃতির তরুণী। সারাক্ষণ পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু হঠাৎই অদ্রিতা মারা যায়। এরপরই মূলত আবির্ভাব ঘটে পিয়া নামের অন্য একটি মেয়ের। এবং সেও দেখতে হুবহু অদ্রিতার মতো। কিন্ত আচার ব্যবহারে পিয়ার সঙ্গে কোনো মিল থাকে না অদ্রিতার। সে খুবই চঞ্চল। সবসময় হৈচৈ করতে পছন্দ করে।  

বাংলানিউজ: এমন চরিত্রে কাজ করার জন্য বাড়তি কোনো প্রস্তুতি নিতে হয়েছিলো?
পিয়া বিপাশা:
 তেমনটা নয়। ছোটপর্দায় যেভাবে কাজ করি সেভাবেই অভিনয় করেছি। কারণ অভিনয় আমার কাছে এখন আর নতুন মনে হয় না। এ কারণেই কি-না আলাদা করে কোনো প্রস্তুতি নিতে হয়নি।

বাংলানিউজ:  শুটিং হয়েছে কোথায়? কোনো মজার ঘটনার কথা মনে পড়ে?
পিয়া বিপাশা:
ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেট ও কক্সবাজারে শুটিং করেছি। মজার ঘটনাতো আছেই। শুটিং শুরু হয়েছিলো একটি গান দিয়ে। তিন দিন গরমের মধ্যে শুটিং করতে হয়েছিলো। রোদে পুড়ে গিয়েছিলাম সে সময়। নিজেকেই চিনতে পারছিলাম না। রীতিমত ভয়ও পেয়েছিলাম। কক্সবাজারে শুটিংয়ের কথা শুনলেই ভয় লাগে।  

বাংলানিউজ: কোন শ্রেনীর দর্শকরা ছবিটি উপভোগ করবে বলে মনে হয়?
পিয়া বিপাশা:
এই ছবিটি মূলত থ্রিলিং ধাঁচের। এ কারণে সব প্রজন্মের কাছেই অবশ্য ভালো লাগবে। একজন রকস্টার কীভাবে গ্যাংস্টার হয়ে উঠে সেই বিষয়টাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।  

বাংলানিউজ: আপনার নায়ক এবিএম সুমন কেমন অভিনয় করেছেন?
পিয়া বিপাশা:
সুমন আমার বন্ধু মানুষ। ছবি শুরুর আগে থেকে আমাদের বন্ধুত্ব। কাজ করতে গিয়ে বেশ মজা করেছি। ওর অভিনয় সবার ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।

বাংলানিউজ: ‘মাটি’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। কবে কাজ শুরু হবে?
পিয়া বিপাশা:
আজিজুর রহমানের ছবিটির কাজ শুরু হবে কানাডায়। ভিসা জটিলতায় একটু দেরি হচ্ছে। ওখানে প্রায় একমাস টানা শুটিং করবো। এরপর দেশে বাকি অংশের কাজ হবে। আমার চরিত্রটি একজন কানাডিয়ান মেয়ের। ছোটবেলায় বাংলাদেশ থেকে ওকে কানাডায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সে এতো বছরেও বুঝতে পারে না তার জন্মভূমি এখানে। হঠাৎ এই সত্য আবিস্কারের পর সে শেকড়ের সন্ধানে বেড়িয়ে পড়ে।

বাংলানিউজ: ‘মনের রাজা’ ছবিটির কাজ কতোদূর এগিয়েছে?
পিয়া বিপাশা:
একটি গানের কাজ শেষ করেছি। গানটির শুটিং হয়েছে পুবাইলে। ছবিটি অ্যাকশনধর্মী। এখানে আমার চরিত্রের নাম মন। টিমের মানুষদের শিডিউল নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমিও সময় দিতে পারছি না। সহশিল্পী জায়েদ খানও অন্য ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত। পরিচালক রকিবুল আলম রকিবেরও একই অবস্থা।  

বাংলানিউজ: আপনার ‘ফিরে আসো না’ মিউজিক আলোচনায় এসেছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে নকলেরও অভিযোগ উঠেছে। আপনার মন্তব্য কী?
পিয়া বিপাশা:
 বর্তমানে অনেক ছবি থেকে শুরু করে টিভিসি নকল হচ্ছে। নকল আসলে সব জায়গাতেই আছে। তবে পুরো ‍ভিডিওর সব দৃশ্যই কিন্তু নকল করা হয়নি। দু’এক জায়গায় মিল রয়েছে। অনেকেই নকলের অভিযোগ করছেন। আমার প্রশ্ন, তারপরও কেন ভিডিওটি এতো দর্শকপ্রিয়তা পেলো! আমার কাছে মনে হয়, দর্শকপ্রিয়তা অর্জনই মূল লক্ষ্য।

বাংলানিউজ: এখন থেকে কি শুধু বড়পর্দায়ই কাজ করবেন ?
পিয়া বিপাশা:
 বড়পর্দায় কাজ করা আমার স্বপ্ন ছিলো। আর আজকের পিয়া বিপাশা হয়ে উঠতে আমাকে সাহায্য করেছে ছোটপর্দা। তাই আমি ছোটপর্দাতেও কাজ করবো। ভালো গল্প পেলে বড়পর্দায় নিয়মিত কাজ করবো। সবসময় বেছে বেছে কাজ করতেই ভালো লাগে। আরও আগে সিনেমায় কাজ করতে পারতাম। কিন্তু করিনি, সময় নিয়েছি।

বাংলানিউজ: ছোট ও বড়পর্দায় কাজ করার মধ্যে পার্থক্য আছে নিশ্চয়ই?
পিয়া বিপাশা:
আমার মনে হয়, ছোটপর্দায় কাজ করায় ঝামেলা একটু বেশিই। প্রচুর প্রেসার থাকে কাজে। স্বাধীণভাবে অভিনয় করা যায় না। এ ক্ষেত্রে বড়পর্দায় অভিনয় বেশি উপভোগ করেছি।  

বাংলানিউজ: এখনকার ব্যস্ততা কী নিয়ে?
পিয়া বিপাশা:
 ঈদের করেকটি নাটকে অভিনয় করছি। সব মিলিয়ে ৭টি নাটকে আমাকে দেখা যাবে। এর মধ্যে অঞ্জন আইচের ‘শার্ট’-এ আমার সহশিল্পী আহমেদ রুবেল। ইমনের সঙ্গে করছি ‘ভালোবাসা দুজনার’, শিপনের সঙ্গে ‘ভালোবাসার শেষ প্রান্তে’। অন্যগুলোর শুটিং হবে এরই মধ্যে।  

* পিয়া বিপাশার ‘হারাতে চাই না তোমায়’ গানের ভিডিও:

* ‘তবু তুমি’ গানের ভিডিও: 

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, মে ১২,২০১৬
জেএম/এসও


    
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ