মডেলিং, অভিনয় ও নাচ- সাবিলা নূর আছেন এই তিন অঙ্গনে। ঈদকে ঘিরে এখন ভীষণ ব্যস্ত।
বাংলানিউজ: ঈদের প্রস্তুতি কেমন?
সাবিলা নূর: ব্যস্ততার মধ্যে ঈদ নিয়ে ভাবার সময়ই পাচ্ছি না। এখনও কেনাকাটাও করতে পারিনি। পরিকল্পনা আছে পরিবারের সঙ্গে ঈদের পরদিন গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে যাওয়ার। আমার কাছে ঈদের দিনের চেয়ে চাঁদরাত বেশি ভালো লাগে। আমি হাতে মেহেদি দেই না। তবে অন্যদের মেহেদি দিতে দেখলে ভালো লাগে।
বাংলানিউজ: ঈদের কয়টি নাটকে দেখা যাবে আপনাকে?
সাবিলা: ১২টির মতো হবে। এর মধ্যে ১০টির কাজ শেষ। নাটকগুলোর মধ্যে আছে ইফতেখার আহমেদ ওশিনের ‘পলায়ন বিদ্যা’ (জোভান), মাসুদ সেজানের ‘লাভ অ্যান্ড কোং’ (মিশু সাব্বির), মনিরুজ্জামান লিপনের ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ (মিশু সাব্বির), তন্ময় তানসেনের ‘ক্ষরণ’ (হৃদয় খান), হিমেল আশরাফের ‘জোনাকির আলো’ (জোভান) ও ‘মিস্টার পাষাণ ইজ ব্যাক’ (সালাউদ্দিন লাভলু), মাহফুজ আহমেদের ‘জল কলঙ্ক’ ও ‘দ্য ইজম আনলিমিটেড’ প্রভৃতি।
বাংলানিউজ: কোন কোন চরিত্র ভিন্ন মনে হয়েছে?
সাবিলা: ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’তে আমি পুরান ঢাকার মেয়ে। সেখানকার ভাষা পুরোপুরি আয়ত্ত্বে ছিলো না। সহশিল্পী মিশু সাব্বির এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেছেন। এ নাটকে আমার পোশাক থেকে শুরু করে আচার-ব্যবহার আগের কোনো চরিত্রের সঙ্গে মেলে না।
‘মিস্টার পাষাণ ইজ ব্যাক’ নাটকে প্রথমবারের মতো লাভলু ভাইয়ের বিপরীতে কাজ করাটা ছিলো নতুন অভিজ্ঞতা। এখানে আমার চরিত্রটি একটু রহস্যজনক। ‘জল কলঙ্ক’তে চোরের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। এমন চরিত্রে দর্শক আমাকে প্রথম দেখবে।
বাংলানিউজ: শুটিংয়ের কোনো ঘটনা মনে আছে?
সাবিলা: ‘পলায়ন বিদ্যা’ নাটকটির কাজ হয়েছিলো সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত। বারো ঘণ্টায় নাটকটির কাজ শেষ করি। সহশিল্পী ছিলেন জোভান। এর শুটিংয়ে সারারাত বিয়ের সাজেই ছিলাম।
বাংলানিউজ: অভিনয় ছাড়া অন্যান্য ব্যস্ততা কেমন?
সাবিলা: উপস্থাপনা আর নাচও করছি। তবে এতো ব্যস্ততার কারণে নাচে বেশি সময় দিতে পারছি না। এবারের ঈদে এনটিভিতে আমার একটি নাচের অনুষ্ঠান দেখানো হবে। এ ছাড়া আমার উপস্থাপনায় ‘লাক্স স্টাইল ফাইল’ বাংলাভিশনে প্রতিদিন ইফতারের পরপরই যাচ্ছে। আরটিভিতে ‘ডাবর ভাটিকা এক্সট্রা অর্ডিনারি ঈদ ফেস্টিভ্যাল’ দেখানো হচ্ছে শুক্র ও শনিবার। এ দুটো অনুষ্ঠান ঈদ পর্যন্ত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৬
জেএমএস/এসও/জেএইচ