এক সময় তুমুল ব্যস্ততায় কেটেছে শমী কায়সারের প্রতিটি দিন। দর্শক ও নির্মাতাদের চাহিদা থাকায় নাওয়া-খাওয়া ভুলে গিয়ে এক স্পট থেকে আরেক স্পটে ছুটে বেড়াতে হয়েছে তাকে।
এখন আর আগের মতো অভিনয় করেন না শমী। কেবল মনের মতো হলে এবং সময়-সুযোগ মিললেই কাজ করছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। এ ঈদে দর্শকরা ‘শেষের পরে’ নামের একটি নাটকে দেখার সুযোগ পাবেন। ঈদের নাটক এবং বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
বাংলানিউজ: ‘শেষের পরে’ নাটকে আপনার চরিত্রটি কেমন?
শমী কায়সার: এ নাটকে বিশ্বদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকার চরিত্রে অভিনয় করেছি। তার ব্যক্তিজীবনের টানাপোড়েন দেখা যাবে এতে। একটি পরিণত ভালোবাসার গল্প আছে এখানে, তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক একটু ভিন্নভাবে প্রকাশ হয়। গল্পটির মূল বক্তব্য হলো কোনো কিছুরই শেষ নেই। শেষের পরেও কিছু থেকে যায় কিংবা আবার শুরু হতে পারে। এটি লিখেছেন ইফফাত আরেফিন মাহমুদ তন্বী, পরিচালনা করেছেন চয়নিকা চৌধুরী।
বাংলানিউজ: অভিনয়ে আপনি অনিয়মিত, এটা সবাই জানে। অভিনয়টাকে কি মিস করেন না?
শমী: আমি অভিনয় ভালোবাসি বলেই কম কাজ করছি। যে ধরনের গল্পে কাজ করতে চাই সত্যিকার অর্থে তেমন গল্প পাই না। এই পর্যায়ে এসে অযথা সংখ্যা বাড়ানোর জন্য যে কোনো কাজ করে নিজেকে ছোট করতে চাই না।
বাংলানিউজ: আপনার কথায় অভিনয়ে নিয়মিত না হওয়ার ইঙ্গিত পাচ্ছি।
শমী: মনের মতো গল্প পেলে অবশ্যই কাজ করবো। তবে হ্যাঁ, নিয়মিত কাজ করাটা আমার পক্ষে সত্যিকার অর্থেই এখনকার বাস্তবতায় হয়তো সম্ভব নয়।
বাংলানিউজ: দর্শক কিন্তু আপনার অভিনয় নিয়মিত দেখতে চায়। কম কাজ করে তাদেরকে কি হতাশ করছেন না?
শমী: যদি সত্যিই ভালো অভিনয় করে থাকি তাহলে আমার দর্শক আমাকে ভালোবেসে আমার একটি কাজ দেখেই সন্তুষ্ট থাকবে বলে আমার ধারণা। অভিনয় আমার রক্তে। তাই আগামীতে আমাকে সন্তুষ্ট করে এমন প্রস্তাব এলে অভিনয় করবো। আমি বরাবরই এভাবে কাজ করেছি।
বাংলানিউজ: নতুনদের কাজ কেমন দেখেন?
শমী: অনেকেই আছে যারা অভিনয়ে ভালো করছে। তাদের মধ্যে শেখার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়। তারা অবশ্যই ভবিষ্যতে ভালো করবে বলে আমার ধারণা। তবে অভিনয় না বুঝে হরহামেশা কাজ করে যাওয়াটা বোকামি।
বাংলানিউজ: মঞ্চ কি আপনাকে টানে?
শমী: মঞ্চ আমাকে ভীষণরকম টানে। আমি মঞ্চকে ভালোবাসি। যদি মঞ্চে নিয়মিত হতে পারলে সত্যিই অনেক খুশি হতাম। কিন্তু সময়স্বল্পতার কারণে অনেক কিছু চাইলেও এখন করতে পারি না।
বাংলানিউজ: আবৃত্তি করেন না?
শমী: আবৃত্তিও তেমনভাবে করা হয়ে ওঠে না। তবে সময় পেলে মনের অজান্তেই মুখ থেকে বেরিয়ে আসে কবিতা!
বাংলানিউজ: ধানসিঁড়ি নিয়েই কি ব্যস্ত?
শমী: হ্যাঁ। আমার প্রোডাকশন হাউজ ‘ধানসিঁড়ি’ নিয়েই সারাদিন ব্যস্ত থাকতে হয়। সম্প্রতি এখান থেকে ধারাবাহিক নাটক ‘আকাশের ওপারে আকাশ’ (এনটিভি) তৈরি হয়েছে। এতে আমিও অভিনয় করেছি। আবুল হায়াত ও কামরুল আহসানের যৌথ রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন আবুল হায়াত।
বাংলানিউজ: অবসর কীভাবে কাটে?
শমী: তেমনভাবে অবসর পাই না বললেই চলে। যা একটু অবসর মেলে বই পড়ি আর টিভি দেখি। এখন বেশিরভাগ অবসর কাটে আমার ভাইয়ের দুই সন্তানের সঙ্গে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৬
জেএমএস/জেএইচ