সংগীতশিল্পী থেকে অভিনয়ে অনেকেই এসেছেন। এটা নতুন ধারণা নয়।
এসএ হক অলিকের ‘ফিরে যাওয়া হলো না’ (পূর্ণিমা), মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘রূপকথা’ (নুসরাত ইমরোজ তিশা) এবং তন্ময় তানসেনের ‘ক্ষরণ’ (তারিন ও সাবিলা নূর)- এ তিনটি নাটকে দেখা যাবে হৃদয়কে। অভিনয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
বাংলানিউজ: আপনার অভিনীত নাটকগুলো নিয়ে বলুন।
হৃদয় খান: তিনজন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছি। তিনটিই প্রেমের কাহিনী। এর মধ্যে ‘ক্ষরণ’ আর ‘ফিরে যাওয়া হলো না’ নাটকে আমার চেয়ে বয়সে বড় কারও সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছি। ‘রূপকথা’য় তিশা আর আমার চরিত্র ভালো বন্ধুর। সেই সূত্রে প্রেম।
বাংলানিউজ: অসম প্রেমের গল্পে অভিনয় করাটা কেমন উপভোগ করলেন?
হৃদয়: বেশ উপভোগ্য ছিলো ব্যাপারটা। ছোটবেলা থেকে যাদের অভিনয় দেখেছি তাদেরকে ক্যামেরার সামনে ভালোবাসার কথা বলা অন্যরকম ব্যাপার। ‘ক্ষরণ’ নাটকের কথাই যদি বলি, একটি দৃশ্যে তারিন আপুকে আমার ভালোবাসার কথা বলতে হবে। তখন কিছুক্ষণের জন্য কেমন যেন ধাক্কা খাচ্ছিলাম এই ভেবে- তারিন আপুর সঙ্গে প্রেম! ভাবতেই মজা লাগছিলো।
বাংলানিউজ: আর কোনো মজার অভিজ্ঞতা মনে পড়ে?
হৃদয়: ‘রূপকথা’র একটি দৃশ্যের কথা বলি। দৃশ্যটা এমন- তিশা আমাকে জড়িয়ে ধরবে। ক্যামেরা চলতে থাকলো। বেশ কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে থাকার পরও রাজ ভাই (পরিচালক) বললেন, ‘ছেড়ে দিও না! আরও কিছুক্ষণ থাকো। ’ তার কথা শুনে তিশা চিৎকার দিয়ে বললো, ‘আছি, আছি!’ সবার এমন হাসি শুরু হলো যে ওই দৃশ্যটা আবার প্রথম থেকে ধারণ করতে হয়েছে। এমন আরও অনেক মজার অভিজ্ঞতা হয়েছে। শুধু নাটকের শুটিং নয়, সব কাজেই মজা থাকতে হয়। তা না হলে কাজটা ভালো হয় না।
বাংলানিউজ: গান থেকে অভিনয়ে এলেন কী ভেবে?
হৃদয়: বেশ কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গে দুই বছর আগে থেকে কথা চলছিলো। সবাই তাদের নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছিলেন। যেসব পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছি প্রত্যেকেই আমার কাছের মানুষ। তাদেরকে অনেকদিন ধরে ঝুলিয়ে রেখেছিলাম। তাই ভাবলাম এবার কথাটা দিয়েই দেই। তাই অভিনয় করা। কিন্তু অভিনয়শিল্পী হিসেবে ভক্তদের কাছে পরিচিত হতে চাই না।
বাংলানিউজ: তাহলে কি আপনাকে নাটকে নিয়মিত দেখবে না দর্শকরা?
হৃদয়: না-না, আমি গানের মানুষ। কয়েকটা দিন অভিনয় উপভোগ করেছি মাত্র। কিন্তু অভিনয়ে নিয়মিত হতে চাই না। সংগীতশিল্পী হয়েই থাকতে চাই।
অনুরোধে মাঝে মধ্যে হয়তো অভিনয় করা হতে পারে।
বাংলানিউজ: মিউজিক ভিডিওতেও তো একরকম অভিনয়ই করতে হয়।
হৃদয়: তা ঠিক। তবে মিউজিক ভিডিওতে সংলাপ বলতে হয় না। এ ক্ষেত্রে গানের অনুভূতিটাই আসল। নাটকে সংলাপ বলার সঙ্গে অভিনয়ও করতে হয়। বলতে পারেন আমার জন্য এটা মোটামুটি কঠিন কাজ।
বাংলানিউজ: আগুন, পার্থ বড়ুয়া, তাহসান গান থেকে অভিনয়ে এসে স্থায়ী হয়েছেন। তারাও কিন্তু আপনার অনুপ্রেরণা হতে পারেন।
হৃদয়: আসলে অভিনয় করেছি শখে। তারা প্রত্যেকে গানের পাশাপাশি অভিনয়টাও অনেক ভালো করে। আমার চেয়ে তাদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। নিঃসন্দেহে তারা সবাই আমার অনুপ্রেরণার উৎস।
বাংলানিউজ: বড় পর্দায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলে কী করবেন?
হৃদয়: ওরে বাবা! নাটকেই তো অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি দুই বছর ভেবে। তা-ও অনুরোধ ছিলো বলে। বড় পর্দায় কাজের কথা তো কল্পনাই করি না। এটা বেশি দুঃসাহস হয়ে যাবে। আমার এতো সাহস নেই।
বাংলানিউজ: নতুন গান বা অ্যালবামের খবর কী?
হৃদয়: কিছুদিন আগে আমার একটি মিউজিক ভিডিও ইউটিউবে এসেছে। এবারের ঈদ উপলক্ষে তেমন কিছু আর নেই। কোরবানি ঈদে ইচ্ছে আছে একটি মিশ্র অ্যালবাম বের করবো। এজন্য কয়েকদিন পর সারাদেশে প্রতিভা অন্বেষণ শুরু করবো। এজন্য দেড় মাস সময় নেবো। তারপর রেকর্ডিংয়ের কাজে নেমে পড়বো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৬
টিএস/জেএইচ