সদা হাস্যোজ্জ্বল গুণী এই অভিনেতা পঞ্চাশোর্ধ বছর ধরে চলচ্চিত্রে দাপিয়ে কাজ করেছেন। বাংলা ও উর্দু মিলিয়ে প্রায় ৮’শ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
ভারতের মেদিনীপুরে ১৯৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি কিংবদন্তী এই অভিনেতার জন্ম। ১৯৪৮ সালে সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাস করেন। মদনমোহন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট ও এমসি কলেজ থেকে তিনি স্নাতক পাস করেন। আর্মি কমিশনে যোগদানের মধ্য দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু। এরপর যোগ দেন আনসার অ্যাডজুটান্ট হিসেবে। ১৯৯২ সালে তিনি কর্মজীবন থেকে অবসর নেন।
প্রয়াত আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘গুণ্ডা’ ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন খলিল। এ ছবিতে তার সঙ্গে অভিনয় করেন নায়করাজ রাজ্জাক, আলমগীর, কবরীসহ আরও অনেকে। এরপর ২০১২ সালে তাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।
খলনায়ক হিসেবে খলিল চলচ্চিত্রের পর্দায় ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ১৯৬৬ সালে এস এম পারভেজ পরিচালিত ‘বেগানা’ চলচ্চিত্রে প্রথম তিনি খলনায়ক হিসেবে হাজির হন। এরপর অসংখ্য ছবিতে খলনায়ক হিসেবে তিনি উপস্থিত হয়েছেন। ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে খলিল আত্মপ্রকাশ করেন পরিচালক হিসেবে। ‘সিপাহী’ ও ‘এই ঘর এই সংসার’ নামে দুটি সিনেমার প্রযোজনাও করেছেন তিনি। শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ধারাবাহিক নাটক ‘সংশপ্তক’-এ তার অভিনয়ে ‘মিয়ার বেটা’ চরিত্র দর্শকনন্দিত হয়।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ছিলেন তিনি। খলিল অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘সমাপ্তি’, ‘নদের চাঁদ’, ‘পাগলা রাজা’, ‘বেইমান’, ‘অলংকার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘কন্যা বদল’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘আয়না’, ‘মধুমতী’, ‘ওয়াদা’, ‘ভাই ভাই’, ‘বিনি সুতার মালা’, ‘কথা কও’, ‘মাটির পুতুল’, ‘সুখে থাকো’, ‘অভিযান’, ‘কার বউ’, ‘দিদার’, ‘আওয়াজ’, ‘নবাব’, ‘পুনম কি রাত’, ‘উলঝান’ ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
জেআইএম/আরআর