ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারার ফুল

বিদায় ‘ফেলুদা’, বিদায় ‘অপু’

মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল, সত্যজিৎ গবেষক ও স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২০
বিদায় ‘ফেলুদা’, বিদায় ‘অপু’ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

‘আছে আছে, প্রদোষ মিত্তিরের টেলিপ্যাথির জোর আছে। ’ 

বড়পর্দার প্রথম প্রদোষ মিত্র ওরফে ফেলুদা, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কি টেলিপ্যাথির জোরে আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন পৃথিবী থেকে তার বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে!

সেলুলয়েডে রহস্য রোমাঞ্চভরা গোয়েন্দাকাহিনী ফেলুদার সফল চিত্রায়ন কিংবা অপুর ট্রাজেডিময় জীবনকাহন! এই দুটি চরিত্র ছাড়াও যে অভিনেতা বাংলা চলচ্চিত্রকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন তার নাম সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

করোনাসহ নানান বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন লড়ে রোববার (১৫ নভেম্বর) পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিলেন তিনি। কিন্তু এমন কীর্তিমানদের তো আদতে মৃত্যু নেই, হাজার থেকে লক্ষ অসংখ্য ভক্ত অনুরাগীদের মনে তিনি বেঁচে থাকবেন যতদিন বাংলা ভাষা থাকবে, সিনেমা থাকবে, বাঙ্গালী থাকবে! গুণী এই শিল্পীর মৃত্যুতে জানাই অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি।  

কিংবদন্তী অভিনেতা তো বটেই, তিনি একজন সফল আবৃত্তিশিল্পী; এছাড়াও তিনি কবি এবং অনুবাদক। গুণী এই মানুষটি জন্ম নেন ১৯৩৫ সালের ১৯ জানুয়ারি ব্রিটিশ শাষিত ভারতের কৃষ্ণনগরে যেটি বর্তমানে নদিয়া জেলার অন্তর্গত। তবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আদি বাড়ি ছিলো অধুনা বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কাছে কয়া গ্রামে। তার পিতামহের সময়কাল থেকেই মূলত তার পরিবারের সদস্যরা নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে বাস করতে শুরু করেন। বাবার চাকরি বদলের কারণে তার ছোটবেলার পড়ালেখা কেটেছে নানা জায়গায়। কলকাতার সিটি কলেজ থেকে প্রথমে আইএসসি এবং বাংলায় বিএ অনার্স পাস করে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ অফ আর্টস-এ দু-বছর পড়াশোনা করেন তিনি। রেডিওর ঘোষক এবং মঞ্চে ছোটো খাটো চরিত্রে অভিনয় করতে করতে তার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ চলে আসে। সেটিও আবার প্রথম ছবি দিয়েই ভারতের সিনেমাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া স্বয়ং সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে। সেই থেকে শুরু। এরপর একে একে সত্যজিতের ১৪টি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। বিশ্ব সিনেমায় সত্যজিৎ-সৌমিত্র জুটি যেন মিফুন ও কুরোশাওয়া, মাস্ত্রোইনি ও ফেলিনি, ডি নিরো ও সোরসেসের মতোই সফল ও আলোচিত পরিচালক অভিনেতা জুটি। এর বাইরে মৃণাল সেন, তপন সিংহ, অজয় করের মতো গুণী পরিচালকদের চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি।

এমন বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের সেরা চলচ্চিত্রের তালিকা করা দুরুহ একটা কাজ। তদুপরি দর্শক জনপ্রিয়তার বিচারে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পাঁচটি সিনেমা নিয়ে দু'কলম থাকলো বাংলানিউজের পাঠকের জন্য।


অপুর সংসার (১৯৫৯)

সত্যজিৎ রায় নির্মিত অপু ত্রয়ীর শেষ ছবির নাম ‘অপুর সংসার’। ছবিটি নির্মাণের আগে সত্যজিৎ রায় আরও দুটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। ছবিগুলো ছিলো ‘পরশপাথর’ ও ‘জলসাঘর’। এই ‘জলসাঘর’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ারে অংশ নিতে একটি ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে তখন ইউরোপ যান সত্যজিৎ রায়। সেখানে এক সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘পথের পাঁচালী’ ও ‘অপরাজিত’র অপুর চূড়ান্ত পরিণতিটা তো দর্শকদের জানা হলোনা। এ নিয়ে ভাবনায় পড়ে যান সত্যজিৎ। বিভূতিভূষণের কাহিনীকে উপজীব্য করে নির্মাণ করা হলেও এবারে অপুর চূড়ান্ত পরিণতি লিখলেন তিনি নিজ কলমেই! ১৯৫৯ সালে মুক্তি পায় ‘অপুর সংসার’। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই অভিনেতা অভিনেত্রী হিসেবে অভিষেক হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও শর্মিলা ঠাকুরের।

আইএ পাশ করেও যখন চাকরি জোটাতে পারলোনা অপু, তখন কলকাতায় ভাড়াবাড়িতে থেকে দু মুঠো খাওয়ার জন্য টিউশনিই তার ভরসা। ওদিকে সাহিত্য রচনা করেও অমর হতে চায় অপু। একদিন হঠাৎ তার দেখা হয় বন্ধু পুলুর সঙ্গে। পুলু তাকে তার মামাবাড়ি নিয়ে যায় মামাতো বোন অপর্নার বিয়েতে ঘুরতে। কিন্তু বর অপ্রকৃতিস্থ হওয়ায় শেষমেশ কন্যাপক্ষ কন্যাদানটা করে অপুর কাছেই। কলকাতায় অপু-অপর্নার ভালোই চলছিলো সংসার। কিন্তু বাপের বাড়ি ফিরে সন্তান প্রসব করতে গিয়ে মারা যায় অপর্ণা। সেই শোকে পরিবার থেকে দূরে চলে যায় অপু। এমনকি সে তার ছেলের প্রতি টানও অনুভব করে না। শেষমেশ পাঁচ বছর পর নিজ সন্তান কাজলকে দেখে অপু। পিতা নয়, কাজল তাকে বন্ধু ভেবেই কাছে টেনে নেয়। ছবির শেষে অপু তার সন্তানকে ঘাড়ে করে বাড়ি ফেরার দৃশ্যটি যে কাউকে আবেগতাড়িত করতে বাধ্য। ‘অপু’ ত্রয়ীর তিনটি ছবিতেই সঙ্গীতায়োজন করেন কিংবদন্তী সংগীতজ্ঞ পণ্ডিত রবিশঙ্কর। তিনি দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক কর্মজীবনের জন্য গিনেস রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন।

পথের পাঁচালী, অপরাজিত কিংবা  অপুর সংসার তিনটা চলচ্চিত্রই শেষ হয় অনেকটা একই ধরনের পরিণতি দিয়ে। আর তা হলো অতীত ভুলে নতুন করে বাঁচা, নতুন আগামীর পথে যাত্রা।


জয় বাবা ফেলুনাথ (১৯৭৯)

সত্যজিৎ রায় নির্মিত দ্বিতীয় ও শেষ ফেলুদা চলচ্চিত্র ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’। ছবির নামের মধ্যেই একটা ভক্তিভাব রয়েছে, তাইতো? হ্যাঁ, পুরো ছবিটির দৃশ্যায়ন হয়েছে গঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত ভারতের উত্তরপ্রদেশের শহর বেনারসে (কাশী)।

মহালয়ায় বের হয়েছে জটায়ুর নতুন বই ‘করাল কুম্ভির’। তাই পূজার ছুটিতে ফুরফুরে মেজাজে ফেলুদা-তোপসেকে নিয়ে লালমোহন গাঙ্গুলী ওরফে জটায়ু ঘুরতে আসে বেনারসে। কিন্তু কথায় আছে ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। ফেলুদা ছুটিতে বেড়াতে এসেও জড়িয়ে পড়ে এখানকার সম্ভ্রান্ত ঘোষাল পরিবারের একটি দামী গণেশ চুরির ঘটনায়। গল্পের অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক মগনলাল মেঘরাজের উপস্থিতি। ফেলুদা সিরিজের উল্লেখিত খল চরিত্রগুলোর মধ্যে মগনলালকেই সবচেয়ে শক্তিশালী ও বিপদজনক বলে গণ্য করা হয়। আগের ছবিটির মত এ ছবিতেও ফেলুদার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র, তোপসে ও জটায়ুর ভূমিকায় যথাক্রমে সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সন্তোষ দত্ত। চলচ্চিত্রে মগনলাল মেঘরাজের ভূমিকায় দুর্দান্ত অভিনয় করেছিলেন শক্তিমান অভিনেতা উৎপল দত্ত।  


অরণ্যের দিনরাত্রি (১৯৭০)

বাংলার নতুন প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় উপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় নির্মাণ করেন একই নামের একটি চলচ্চিত্র। সিনেমার গল্প চার বন্ধু অসীম, শেখর, হরি ও সঞ্জয়কে নিয়ে। বন্ধু হলেও সামাজিক অবস্থানের দিক দিয়ে চারজনের অবস্থান যেন চার মেরুতে। অসীম উচ্চাভিলাষী টগবগে যুবক, বড় কোম্পানীর এক্সিকিউটিভ। চাপা স্বভাবের সঞ্জয় সরকারী চাকুরে। সুঠামদেহী হরি একজন স্পোর্টসম্যান কিন্তু সদ্য প্রেমে বিফল হয়ে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। এদের সঙ্গে চতুর্থ শেখর, বর্তমানে বেকার হলেও সে রসবোধে টইটম্বুর। পুরো সিনেমায় হাস্যরসের উৎপাদক তিনি নিজে। নাগরিক জীবন থেকে হাফ ছেড়ে বাঁচতে তারা বিহারের একটা ছোট গ্রাম পালামৌ’র জঙ্গলে এসে হাজির হয় কোন রকমের হোটেল কিংবা রিজার্ভেশন ছাড়াই। ভাগ্যক্রমে তারা জুটিয়ে ফেলে একটি ডাক বাংলো। এছাড়াও গল্পে আছে আরো তিন প্রধান নারী চরিত্র।  

ছবিতে চার বন্ধুর চরিত্রে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, সমিত ভঞ্জ ও রবি ঘোষের অভিনয় ছবিটিকে অর্থপূর্ণ পরিপূর্নতা দেয়। ননদ ও বৌদি চরিত্রে শর্মিলা ঠাকুর, কাবেরি বসু ও সাঁওতাল নারীর চরিত্রে সিমি গারেওয়াল প্রত্যেকেই প্রশংসার দাবিদার। ছবিটির বন্ধুদের প্রবীণ বয়সের গল্প নিয়ে ২০০৩ সালে গৌতম ঘোষ বানিয়েছিলেন ‘আবার অরণ্যে’।  


চারুলতা (১৯৬৪)

১৯০১ সালে রবিঠাকুর তার ছোটগল্প ‘নষ্টনীড়’ লেখেন। এটি তার রচিত শ্রেষ্ঠ ছোটগল্পগুলোর মধ্যে একটি বলে বিবেচিত। কথিত আছে, এই গল্পটি রচিত হয় রবীন্দ্রনাথের বড় ভাই জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, তার স্ত্রী কদম্বরী দেবী ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্যেকার সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে। এই উপন্যাসের গল্পটি, তিনটি কেন্দ্রীয় চরিত্র চারু, অমল ও ভূপতিকে নিয়ে গড়ে উঠেছে। ১৯৬৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সত্যজিৎ রায়ের নির্মিত ছবিতে চারু, অমল ও ভূপতির চরিত্রে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায় এবং শৈলেন মুখোপাধ্যায় অভিনয় করেছিলেন। চিত্রায়ণের খাতিরে মূল গল্পের কাহিনি থেকে ছবির গল্পের কাহিনি কতকটা পরিবর্তন করা হয়েছে।

চলচ্চিত্রটির কাহিনিতে দেখা যায়, উচ্চবিত্ত এক বাঙালি পরিবারের বড়কর্তা ভূপতি তৎকালীন রাজনৈতিক চিন্তায় মগ্ন ও অনুপ্রাণিত হয়ে নিজ বাড়িতেই একটি ইংরেজি পত্রিকা প্রকাশ করেন যার নাম দেন ‘সেন্টিনেল’। পত্রিকার কাজে তিনি দিনরাত এক করে খাটেন, কিন্তু ওদিকে তার ব্যস্ততা সদ্য যৌবনে পদার্পণকারী স্ত্রী চারুলতার প্রতি সময় না দেয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। স্ত্রী চারুর সময় কাটে নিঃসঙ্গতায়। চারুর ভাই উমাপদ তার স্ত্রী মন্দাকিনীসহ তাদের বাড়িতে এসে উঠলেও তাতে নিঃসঙ্গতা কাটে না চারুর। এক সময় তাদের পরিবারে আগমন ঘটে ভূপতির পিসতুতো ভাই অমলের। চারুলতা আর অমলের দুজনেই আগে থেকে বেশ ঘনিষ্ঠতা ছিল, তবে সেটি বৌঠান-ঠাকুরপোর স্বাভাবিকতায় সীমাবদ্ধ। আস্তে আস্তে সময়ের ব্যবধানে প্রতীয়মান হয় চারুর সাথে অমলের সম্পর্ক তখন আর কেবল বৌঠান-ঠাকুরপোর নয়, এর মধ্যে অন্য কিছুও রয়েছে। এরপর অমলের বিয়ের প্রস্তাব আসে বর্ধমান থেকে। নিজের প্রতি চারুর দুর্বল হওয়ার ব্যাপারটি আঁচ করতে পেরে অমল সিদ্ধান্ত নেয় দাদার বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে তাকে এ বাড়ি থেকে সরে পড়তে হবে। কিন্তু  চারুর ভাই উমাপদ বিশ্বাসঘাতকতা করে তাদের পত্রিকার টাকা মেরে দিয়ে সে সস্ত্রীক বাড়ি থেকে সটকে পড়ে। এই অবস্থায় ভেঙে পড়েন ভূপতি। তিনি অমলকে বাড়ি ছেড়ে না যাওয়ার অনুরোধ জানাযন। কিন্তু অমল সে রাতেই দাদার উদ্দেশে একটা ছোট চিঠি রেখে বাড়ি ছেড়ে পালায়। পত্রিকা প্রকাশের ভ্রম কাটলে স্ত্রীর দিকে মনোযোগী হয় ভূপতি। কিন্তু মনের মধ্যে এখনও অমলের প্রতি অনুরাগ কমে না চারুর। ছবির শেষে অমলের চিঠি পেয়ে চারু জানতে পারে অমল বিয়ে করে ফেলছে খুব শীঘ্রই। এ খবর জানার পর কান্নায় ভেঙে পড়ে চারু যা দেখে ফেলে ভূপতি। ভাইয়ের সাথে তার স্ত্রীর সম্পর্ক বড় রকমের অশান্তিতে ফেলে দেয় ভূপতিকে। সেই দিনটিতেই যে চারু আর ভূপতির নীড়টা ভেঙে গেছে সেই রেশ নিয়ে ছবি শেষ হয়।


বেলাশেষে (২০১৫)

শেষ বেলায় এসে সৌমিত্র চট্টপাধ্যায় দর্শক ও বোদ্ধাদের মাতালেন ‘বেলাশেষে’ চলচ্চিত্রটি দিয়ে। নতুন ধারার চলচ্চিত্রে নিজেদের প্রমাণ করা পরিচালক জুটি নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘বেলাশেষে’। সিনেমাটি মোটাদাগে এক বুড়োবুড়ির গল্প, কিন্তু এমন আঙ্গিক থেকে জীবনের ক্যানভাসকে বড়পর্দায় দর্শক দেখেনি আগে। চলচ্চিত্রটির কাহিনীতে দেখা যায়, সাহিত্যপ্রেমী বিশ্বনাথ মজুমদার (সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়), যিনি প্রকাশনা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, দুর্গা পূজা উপলক্ষে ছেলে, ছেলের বড় মেয়ে, মেয়ের জামাইকে এক করেন এবং সবাইকে অবাক করে দিয়ে জানান, তার স্ত্রী আরতির (স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত) সঙ্গে ৪৯ বছরের সংসার জীবনের ইতি টানতে চান তিনি৷ এরপর ছেলে মেয়েদের হস্তক্ষেপে ব্যাপারটা আইন আদালতে গিয়ে দাঁড়ায়! তবে আসলে দর্শক যা ভাবছে, যা দেখছে ঘটনাটা ঠিক তাইকি? উত্তর রয়েছে ছবির শেষে।

লেখক: মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল, সত্যজিৎ গবেষক ও স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২০
এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ