ঢাকা: ভারতীয় টেনিস সেনসেশন সানিয়া মির্জার আত্মজীবনীমূলক বই প্রকাশিত হয়েছে। বেশ ঘটা করেই বইয়ের প্রকাশনা করা হয়।
সানিয়ার সাক্ষাৎকার নেওয়া রাজদীপ সারদেশাই প্রশ্ন করেন, আপনার আত্মজীবনীমূলক এই বইয়ে কোথায় আপনার মা হওয়ার ব্যাপারটি দেখা যায়নি। কবে মা হচ্ছেন? পরিবারের বন্ধন দৃঢ় করতে কবে থেকে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করবেন? ভবিষ্যতে কোথায় স্থায়ী বসতি গড়বেন? সেটা কি দুবাইয়ে হবে? আপনি অবসর নিয়ে পরিবারের সদস্য বাড়াবেন কি না? এমন কিছুই আপনার বইয়ে লেখা নেই।
এমন প্রশ্নে কিছুটা ক্ষেপে গিয়ে সানিয়া পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, কেন আপনার মনে হচ্ছে আমি স্থায়ীভাবে বসবাস করছি না?
হায়দরাবাদি এই টেনিস তারকা আরও বলেন, ‘আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, মা হওয়ার কথা না ভেবে আমি যে বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা হতে চাই, সেটাতে আপনি প্রচণ্ড হতাশ। কিন্তু, আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দেব। অন্য মেয়েদের মতো আমাকেও বারবার এই প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়েছে। প্রথমে বিয়ে, তারপর মা হওয়া নিয়ে অনেক প্রশ্ন শুনতে হয়েছে। এখন শুনতে হচ্ছে স্থায়ীভাবে বসবাসের অদ্ভুত প্রশ্ন।
সানিয়া যোগ করেন, ‘আপনার মনে হচ্ছে আমি যতগুলো উইম্বলডন জিতি না কেন, যতবারই বিশ্বের এক নম্বর হই না কেন, তাতে মা হওয়া নিয়ে আমাদের কোনো চিন্তা নেই। আসলে ব্যাপারটি তেমন নয়। আমি যখন মা হবো সবার আগে আপনাদেরই জানাবো। ’
এমন উত্তর শোনার পর সানিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়ে সেই সাংবাদিক বলেন, ‘আসলেই আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার প্রশ্নটি এভাবে করা ঠিক হয়নি। আসলে প্রশ্নটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারিনি। আপনি সঠিক। আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি এমন প্রশ্ন আর কখনো কোনো অ্যাথলেটকে করব না। ’
এরপর সানিয়া জানান, আমি খুশি হয়েছি। আপনিই প্রথম কোনো সাংবাদিক যিনি আমার কাছে এমন প্রশ্ন করে ক্ষমা চেয়েছেন। ২৯ বছরের কোনো বিশ্বসেরা মেয়েকে কেউ যেন না জিজ্ঞেস করে, ‘সে কবে মা হচ্ছে?’
প্রসঙ্গত পাকিস্তানি অলরাউন্ডার ও সাবেক দলপতি শোয়েব মালিককে বিয়ে করেছেন ভারতীয় টেনিসের তারকা সানিয়া মির্জা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ১৫ জুলাই ২০১৬
এমআরপি