ক’দিন আগেই তারা দু’জনে লেভার কাপে জুটি বেঁধে ডাবলস খেলেছিলেন। টেনিস বিশ্বে তাদের সবচেয়ে বড় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই চেনে।
এই নিয়ে চলতি বছর ছয়টি শিরোপা জিতলেন র্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে থাকা ফেদেরার। এই নিয়ে চলতি বছরে চতুর্থ বার মুখোমুখি হন দুই তারকা। সব মিলিয়ে ফাইনালে ২৪তম সাক্ষাৎ। জানুয়ারিতে নাদালকে হারিয়েই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে তার গ্র্যান্ড স্ল্যামের খরা কাটিয়েছিলেন ফেদেরার। শেষ চারটি সাক্ষাতের চারটিতেই জিতেছেন তিনি। কিন্তু তার চেয়েও জরুরি তথ্য হচ্ছে, মিলিতভাবে দু’জনের সংগ্রহে ছিল ৩৫টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম। এবার এগিয়ে গেলেন ফেদেরার। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও উইম্বলডন জয়ী এই সুইস খেলোয়াড় এ বছর নাদালের বিপক্ষে চতুর্থ এবং টানা পঞ্চম জয় পেলেন। সব মিলিয়ে নাদালের বিপক্ষে ৩৮ বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে ১৫তম ম্যাচ জিতলেন ফেদেরার।
এর আগে নাদাল ফাইনালে উঠতে ৭-৫, ৭-৬ (৭-৩) গেমে হারান ক্রোয়েশিয়ার মারিন সিলিচকে। দু’ঘণ্টা এগারো মিনিট লাগে তার জিততে। আর ফেদেরারের বিপক্ষে ছিলেন আর্জেন্টাইন হুয়ান মার্তিন দেল পোত্রো। প্রথম সেট হেরে গিয়েছিলেন রজার। কিন্তু দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে এরপর ম্যাচ জিতে নেন ৩-৬, ৬-৩, ৬-৩। দু’ঘণ্টার কিছু কম সময়ে জিতে যান তিনি।
ফাইনালের আগে ওপেন যুগে জয়ের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে এককভাবে উঠে আসেন নাদাল। ক্যারিয়ারে সেটি ছিল তার ৮৭১তম জয়। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সাংহাই মাস্টার্সের ফাইনালেও উঠেছিলেন। ২০০৯ সালে দাভিদেঙ্কোর কাছে ফাইনালে হেরে যান। ক্লাসিক দ্বৈরথের আগে একটা ছোট তথ্য ফেদেরারের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাতে এখনও নাদাল এগিয়ে ২৩-১৫ ব্যবধানে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭
এমআরপি