ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

খুলনার বিনোদনপ্রেমীদের তৃষ্ণার খোরাক রূপসা সেতু

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৮
খুলনার বিনোদনপ্রেমীদের তৃষ্ণার খোরাক রূপসা সেতু রূপসা সেতুতে বিনোদনপ্রেমীদের ঢল/ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: খুলনাবাসীর একমাত্র নির্মল বিনোদনের স্থান খানজাহান আলী (র.) সেতু (রূপসা সেতু)। সেতুর উপর দাঁড়িয়ে নির্মল বাতাস ও নদীর অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো এমন জায়গা আর নেই। নৌকা ও ট্রলারে ভ্রমণ করেও বিনোদনপ্রেমীরা আনন্দে মেতে উঠতে পারেন। সব মিলে বলা যায় রূপসা সেতুই যেন খুলনার বিনোদনপ্রেমীদের একমাত্র তৃষ্ণার খোরাক। 
 

শুক্রবার (২৪ আগস্ট) ঈদুল আজহার তৃতীয় দিন বিকেলে সেতুতে ঘুরতে আসা বটিয়াঘাটা উপজেলা পরিষদের প্রধান সহকারী হারুন অর রশীদ এমন অভিমত ব্যক্ত করেন।  

তিনি বলেন, এমন কোনো ঈদ কিংবা উৎসব নেই যখন আমি বন্ধু-বান্ধব নিয়ে এখানে আসি না।

 

সেতুতে ঘুরতে আসা নিয়ামুল বারি বলেন, নির্মল বাতাস আর অপরূপ সৌন্দর্যের কারণে রূপসা সেতু সবচেয়ে জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র। নদী ও বিশুদ্ধ বাতাস কেন্দ্র করে নানা বয়সী মানুষ প্রতিদিন আড্ডায় মেতে ওঠেন এখানে। ঈদ এলে আমাদের মতো কর্মজীবী মানুষরাও ছুটে আসেন এখানে।  

সেতু সংলগ্ন লবণচরা টেকনিক্যাল ইনিস্টিটিউটের শিক্ষক আহসান পারভেজ তুরান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ এলে সেতু এলাকায় দেখা মেলে হাজারও বিনোদনপ্রেমীর। বিভিন্ন বয়সী মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন সব বয়সের মানুষ।  

সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর উপরে ও নিচে ভ্রমণপিয়াসীদের উপচেপড়া ভিড়। তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোর এমনকি বৃদ্ধরাও একটু মুক্ত পরিবেশে বেড়াতে এসেছেন এখানে। সেতু এলাকার লোকজন অতিথিদের আনন্দ দেওয়ার জন্য রূপসা নদীতে সাজিয়ে রেখেছে ডিঙি নৌকা, শ্যালোচালিত নৌকা, পসরা সাজিয়ে বসেছে রকমারি দোকান। অনেকে নৌকা ও ট্রলারে ঘুরছে নদীর বুকে। আবার কেউ কেউ খাবার দোকানগুলো থেকে রুচিশীল খাবার খাচ্ছেন।  
রূপসা সেতুতে বিনোদনপ্রেমীদের ঢল/ছবি: বাংলানিউজ
সেতু এলাকায় আগতদের যাতে কোনো প্রকার ভোগান্তিতে পড়তে না হয় সেজন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।  

সেতুতে বেড়াতে আসা কয়েকজন দর্শনার্থী বাংলানিউজকে জানান, কাজের জন্য সারাটা বছর ব্যস্ত থাকেন। একটু বিনোদনের সুযোগ করতে পারেন না। ছুটি পেয়ে তারা অনেক কষ্ট করে ছুটে এসেছেন দেশের তৃতীয় বৃহত্তম এ সেতুতে।

সেতুর টোল আদায়কারী মো.  কাইয়ুম হোসেন  বাংলানিউজকে বলেন, খুলনাবাসীর কাছে যেকোনো উপলক্ষে প্রথম পছন্দের জায়গা এই রূপসা সেতু। ঈদের দিন থেকে প্রায় সাত দিনব্যাপী রূপসা সেতুকে কেন্দ্র করে চলে বিনোদনের মহোৎসব। ঈদ ছাড়াও প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত রূপসা সেতু এলাকায় শত শত বিনোদনপ্রিয় মানুষ এসে ভিড় জমায়।
 
তিনি জানান, সেতুতে আগত বিনোদনপ্রেমীদের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত কর্মীদের।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৮
এমআরএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।