ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

পর্যটকদের পদভারে মুখরিত সমুদ্র-শহর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৮
পর্যটকদের পদভারে মুখরিত সমুদ্র-শহর কক্সবাজার সৈকতে দর্শনার্থীদের ভিড়/ছবি: বাংলানিউজ

কক্সবাজার: ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনে সমুদ্র শহর কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন লাখো পর্যটক। শহরের হোটেল-মোটেল, কটেজ, ফ্ল্যাটের কোথাও কোনো কক্ষ খালি নেই। পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কক্সবাজার।

সূত্র জানায়, ঈদের তৃতীয় দিনে কক্সবাজার শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, কটেজ ও ফ্ল্যাটের কোথাও ফাঁকা নেই।  

এ বিষয়ে হোটেল মোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মুখপাত্র মো. কলিম উল্লাহ বলেন, ২৪ ও ২৫ আগস্ট কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলের সব কক্ষ বুকিং।

পরের তিনদিনও প্রায় ৭০ শতাংশ বুকিং রয়েছে।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, সাগরের পানিতে ঢেউয়ের তালে ভাসছে অগণিত পর্যটক। পাশে বালুর চরে চলছে গানের আসর, কারো হাতে প্রিয়জনের হাত, কেউ বা ছাতার নিচে বসে মুগ্ধ নয়নে দেখছে সমুদ্র।  

কক্সবাজারে আগত পর্যটকরা ফেলে আসা সব দুঃখ, কষ্ট, গ্লানি আর হতাশা ভুলে মেতেছে আনন্দ আর হৈ হুল্লোড়ে। শুধু সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে নয়, লাবনী পয়েন্ট, শৈবাল পয়েন্ট, কবিতা চত্বর পয়েন্ট, ডায়বেটিক পয়েন্ট, কলাতলী, হিমছড়ি ও ইনানীও পর্যটকদের কলরবে মুখরিত।

ঈদের আনন্দ কয়েকগুণ বাড়াতে প্রিয়জনকে নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে আসা মানুষগুলোর পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সমুদ্রসৈকত, হিমছড়ির ঝরনা, দরিয়া নগরের পাহাড়, বার্মিজ মার্কেট, শুঁটকিপল্লী, বৌদ্ধ মন্দির, রামুর চা ও রাবার বাগান, ১০০ ফুট শয্যা বৌদ্ধ মন্দিরসহ জেলার সব দর্শনীয় স্থান। সব মিলিয়ে ঈদের তৃতীয় দিনে কক্সবাজারে অবস্থান করছেন লাখো পর্যটক। শনিবারও থাকবে তাদের পদচারণা।

কক্সবাজার সৈকতে দর্শনার্থীদের ভিড়/ছবি: বাংলানিউজসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দিনাজপুর থেকে আগত শাহ করিম বলেন, বন্ধুদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে কক্সবাজার এসেছি। শুক্রবার ভোরে কক্সবাজারে পৌঁছে প্রথমেই সাগরে গোসল করেছি। এরপর দরিয়া নগর যাই। সেখানে পাহাড় চড়ি আবার প্যারা সেইলিং করে আকাশে উঠেছি। সেখান থেকে এসে খাওয়া-দাওয়া করে আবারো বিচে এলাম। প্রতিটিই ক্ষণই মুগ্ধতা ছড়ানোর।

সিলেট থেকে আগত মিজান বলেন, সিলেটও একটি পর্যটন শহর। আমাদের ওখানে পাহাড়, ঝরনা আর চা বাগান রয়েছে। কিন্তু কক্সবাজারে সাগর, পাহাড় , ঝরনা, বৌদ্ধমন্দির, শুঁটকিপল্লীসহ অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে। তবে রাত্রিকালীন বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা নেই এ শহরে। যা সত্যিই পর্যটন বিকাশের অন্তরায়।

কক্সবাজার হোটেল–মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি ওমর সুলতান  বলেন, শুধু সমুদ্র আর পাহাড়ের টানে পর্যটকরা আসেন। কিন্তু তাদের জন্য আমরা কোনো বাড়তি বিনোদনের ব্যবস্থা করতে পারিনি এখনো। সন্ধ্যার পর এখানে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই, যা আমাদের পর্যটন বিকাশে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি নাইট মার্কেট ও একটি উন্নতমানের থিয়েটার হল করা গেলেও কিছুটা বাড়তি বিনোদন পেতো পর্যটকরা।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, পর্যটকদের জন্য কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়া হয়েছে। এছাড়া তাদের রাত্রিকালীন বিনোদনের জন্য আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি কয়েক মাসের মধ্যে সেগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৮
টিটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।