অন্য কোনো গাড়ির সঙ্গে নেই কোনো প্রতিযোগিতা। সারিবদ্ধভাবে যাচ্ছে আসছে যানবাহনগুলো।
সড়কের দু’পাশেই সবুজ প্রকৃতি আর মনকাড়া কৃষ্ণচূড়ার শোভা। সবুজ গাছে লাল রঙের বাহারি ফুল। যেন লাল-সবুজ একই বৃত্তে মিশে আছে সড়কজুড়ে।
গাছে গাছে লাল রঙের ফুল আর সবুজের সমারোহে নজরকাড়ে পথচারী ও ভ্রমণপিপাসুদের। ছায়াঘেরা সড়কে নেই রোদের তপ্ততা। কৃষ্ণচূড়া আর সবুজ গাছ যেন শান্ত-নিবিড় পরিবেশ সৃষ্টি করছে। যানবাহনে বসেই এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য নজরকাড়ে।
গাছগুলো শুধু সড়কের সৌন্দর্যও বাড়ায় না, শান্ত স্নিগ্ধ ও নিবিড় পরিবেশ পর্যটককে প্রতিনিয়ত আকৃষ্ট করছে। গাছ আর ফুলের শোভায় মনকেও বেশ আনন্দ দেয়।
ভারতের কর্নাটকের রাজধানী শহরের বেঙ্গালুরুরের নারায়ণী হাসপাতাল থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার বেশিরভাগ এলাকাজুড়ে চোখে পড়বে কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য। সড়কের পাশে কিছুদূর পর পর রয়েছে যাত্রী ছাউনির ব্যবস্থা। ছাউনিতে অপেক্ষারতরা সেই সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি সেলফি তুলছেন।
পরিচ্ছন্ন বেঙ্গালুরুরের সড়কের চিত্রই এমন। কৃষ্ণচূড়া আর সবুজের সড়কে নেই কোনো ভাঙাচোরার দৃশ্য। মাঝে মধ্যে স্পিডব্রেকার আর গতিরোধক চিহ্ন। সেখানে যানবাহনে সতর্কতা। সড়কের কিছুদূর পর পর পথচারীদের পারাপারে জন্য রয়েছে ফুট ওভারব্রিজ। সেখানেও রয়েছে যান চলাচলের ট্রাফিক সিস্টেম।
নান্দনিক সৌন্দর্যের বেঙ্গালুরু শহরবাসীরা হিন্দি ও ইংরেজি ভাষার উপর বেশি নির্ভরশীল। এখানকার হোটেলগুলোতে দু’একজন করে হোটেল বয় রয়েছেন। তারা কলকাতা ও বাংলাদেশিদের জন্য বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারেন।
বিভিন্ন দেশ থেকে ঘুরতে আসা মানুষ এখানে এসে মুগ্ধ হন। সড়কের মতো নারায়ণী হাসপাতাল চত্বর ও এর আশ-পাশের এলাকায় কৃষ্ণচূড়া গাছের এমন সমারোহ চোখে পড়ে। যা মুগ্ধ করে দর্শনার্থী ও ভ্রমণপিপাসুদের।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৯
এএটি