দ্বিতীয় পর্বে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) লাখো মুসল্লির সঙ্গে তারাও জুমার নামাজ আদায় করেন। বিদেশি মুসল্লিদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ইজতেমার আয়োজক কমিটি।
প্রথম পর্বে ইউরোপ, আমেরিকা, সৌদিআরবসহ বিশ্বের ৯২টি দেশের ৮ হাজার একশ ১৪ জন বিদেশি মেহমান অংশ নেন।
এর আগে, ২০১৬ সালে বিশ্বের ৮৮টি দেশের ১৮ হাজারের বেশি বিদেশি মুসল্লি অংশ নিয়েছিলেন।
আয়োজক কমিটির মুরুব্বি প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিদেশি মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে আসেন। এবারও এসেছেন।
বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে এ বছর ইজতেমায় অংশ নেওয়া বিদেশি মুসল্লিরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ নজরদারিতে রয়েছেন।
বিদেশি মেহমানদের সার্বিক নিরাপত্তা ও তাদের উপর বাড়তি নজরদারি থাকবে বলে জানিয়েছেন এসপি হারুন-অর রশিদ।
নজরদারির অংশ হিসেবে বিদেশি মুসল্লিদের চলাফেরায় কিছু বিধি-নিষেধ রয়েছে। বরাবরের মতো এবারও তাদের জন্য আলাদা নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিয়েছে ঢাকাসহ ১৭ জেলার মুসল্লি। অন্য জেলাগুলো হলো- মেহেরপুর, লালমনিরহাট, রাজবাড়ী, দিনাজপুর, হবিগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার, নোয়াখালী, বাগেরহাট, চাঁদপুর, পাবনা, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, বরগুনা ও বরিশাল জেলার মুসল্লিরা।
রোববার (২২ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০১৭ সালের বিশ্ব ইজতেমা। এর আগে ১৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথমপর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৬৭ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে ১৯৯৬ সালে একই বছর দু’বার অনুষ্ঠিত হয়। স্থান সংকুলান না হওয়ায় এবং মুসল্লিদের চাপ ও দুর্ভোগ কমাতে ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে ইজতেমা আয়োজন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৭
এসজেএ/এএ