ঢাকা: রমজান মাসের রোজা নিয়ে দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেক মুসলমানেরই রয়েছে নানা স্মৃতি ও মজার ঘটনা। ব্যতিক্রম নয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।
জীবনের প্রথম রোজার স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাইদ খোকন বলেন, ‘বয়স তখন কত হবে ৭/৮ বছর। তখন থেকেই রোজা রাখি। সবগুলো রোজা তখন রাখতে পারতাম না। কিন্তু ইচ্ছা হতো। তবে ছোটদের কষ্ট দেখে মুরুব্বিরা বলতেন, ছোটদের প্রথমে একটা আর শেষে একটা রাখলেই পুরো মাসের রোজা হয়ে যায়। আমরাও ওই বিশ্বাস থেকেই এভাবে রোজা রাখতাম। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরনো শহরে ধর্মের দিক দিয়ে ‘ডিফারেন্ট কালচার’ ছিল। আমাদের ছোটদের মাঝে তারাবির নামাজ ও রোজা নিয়ে একটা প্রতিযোগিতা হতো। কে কয়টা রোজা রাখলো, কে কয় রাকাত নামাজ পড়ল এসব ছিলো প্রতিযোগিতার বিষয়। ’
মেয়র বলেন, তখন রোজা রাখার পরিবেশটাই ছিল অন্য রকম। সারাদিন রোজা রাখার পর সন্ধ্যায় মাটিতে পাটি পেতে সবাই এক সঙ্গে ইফতারি নিয়ে বসতাম। বাবা-মা বলতেন আজানের আগে খাওয়া যাবে না। খাবার সামনে নিয়ে বসে থাকতাম কখন আজান হবে। অপেক্ষো যেন আর শেষ হয় না। আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরবতের গ্লাস নিয়ে শুরু করতাম ইফতার।
ছোটবেলায় রোজা রাখার স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে হেসে হেসে মেয়র সাঈদ খোকন বলছিলেন, ‘তখন মনে করতাম দুপুরে খাওয়ার পরেও রোজা রাখা যেত। তাই অনেক সময় দুপুরে খেয়ে ফেলতাম। এভাবে অর্ধেক বেলা ধরে রোজা বেশি হত বলে ছোট ভাইবোনদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতাম। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৬
এসএম/এমএ