ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপার মহিমার রমজান

রমজানের প্রথম সপ্তাহে প্রায় ৫ কোটি রুটি সাবাড়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৭
রমজানের প্রথম সপ্তাহে প্রায় ৫ কোটি রুটি সাবাড় জর্ডানে পবিত্র রমজানের ইফতারিতে যে খাবারগুলো বেশি খাওয়া হয় তার অন্যতম হলো- আরবি রুটি

জর্ডানে পবিত্র রমজানের ইফতারিতে যে খাবারগুলো বেশি খাওয়া হয় তার অন্যতম হলো- আরবি রুটি।

রুটির পরই খাবারের চাহিদায় রয়েছে শাবাকিয়া নামের বিশেষ জাতের পিঠা। তৈলাক্ত খাবারের পরিবর্তে আরবি রুটি সবার বেশ পছন্দের।


 
সংবাদ সংস্থা আনাদুলের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৪ কোটি ৮০ লাখ রুটি রমজানের প্রথম সপ্তাহেই খেয়েছে জর্ডানের রোজাদাররা।  

পবিত্র রমজান মাসে জর্ডানের রোজাদারদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় বেশ কিছু পণ্য অপরিহার্য হয়ে উঠে। এ রুটি তার অন্যতম।  

প্রতিবছরই রমজানে অপরিহার্য এসব ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ানোর অসৎ প্রবণতা এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা যায়। যদিও কর্তৃপক্ষ রমজান শুরুর বেশ আগে থেকেই রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।  

নিয়মিত বাজার মনিটরিং, প্রচুর পরিমাণে ভোগ্যপণ্য আমদানি এবং প্রয়োজনীয় পণ্য বিপণনের ব্যবস্থা এসবের  অন্যতম।
 
জর্ডানে প্রতি রমজানে আরবি রুটির চাহিদা বাড়ে। কর্তৃপক্ষ এই বর্ধিত চাহিদার কথা বিবেচনা করে রুটি তৈরির জন্য গম ও আটা প্রচুর পরিমাণে আমদানি করে মজুদ করে রাখে।  

এবারের রমজানে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাজারে রুটিসহ নিত্যপণ্যের মজুদের কোনো অভাব নেই। এরপরও যদি কোনো অসৎ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট গঠনের মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে দেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জর্ডানে পবিত্র রমজানের ইফতারিতে যে খাবারগুলো বেশি খাওয়া হয় তার অন্যতম হলো- আরবি রুটি।
বেকারি মালিকদের মুখপাত্র আবদুল ইলাহ আল হামাভি বলেন, রমজানের প্রথম ৩ দিন রুটি ভোক্তাদের গড় চাহিদা ছিল দৈনিক ৮০ লাখ। এটি হচ্ছে, দৈনিক স্বাভাবিক গড় চাহিদা। চতুর্থ দিন আসার সঙ্গে সঙ্গে তা ২৫ শতাংশ কমে পরিণত হয়েছে ৬০ লাখে।  

হামাভি বলেন, আটার দাম বেড়ে যাওয়ায় রুটিসহ আটাজাত পণ্যের দামও বেড়ে গেছে। এতে চাহিদা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।

সাধরণ মাসগুলোতে দৈনিক সাধারণত ১ কোটি রুটি লাগে জর্ডানের অধিবাসীদের। সরকারি গবেষণা অনুযায়ী বছরে মাথাপিছু রুটির জন্য খরচ হয় ৯০ কেজি আটা। জর্ডানের সাধারণ বেকারির সংখ্যা ১৬ হাজার ৫শ’।

হামাভি আরও বলেন, জর্ডানের স্বাভাবিক দিনগুলোতে দৈনিক ২ হাজার টন আটা লাগে। প্রতি টন আটা দ্বারা তৈরি হয় ৫ হাজার ১২০টি রুটি। দেশটির বাৎসরিক আটার খরচ হয় ৭শ’ ২০ হাজার টন আটা।

গত সপ্তাহের শেষের দিকে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে আটার মূল্য কিছুটা বাড়ানোর।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু আটা ব্যবহারের অনুপাত ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে। তাই দাম সামান্য বাড়বে।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।