আরব আমিরাতের সরকারি বিভিন্ন সংস্থা, অলাভজনক দাতব্য সংস্থা, ব্যবসায়ী ও ব্যক্তি উদ্যোগে এমন ইফতারের অায়োজন করা হয়। দিন শেষে সাধারণ মানুষ এই ইফতার আয়োজনে শরিক হন।
আরব আমিরাতের বিভিন্ন এলাকায় এ উপলক্ষ্যে বিশেষ তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। এ ধরনের ইফতার আয়োজন করা হয় আবাসিক এলাকার সন্নিকটে কোনো মসজিদের পাশে তাঁবু টানিয়ে।
দীর্ঘদিন যাবত এমন ইফতার আয়োজন করে আসছে আরব আমিরাতের অন্যতম পুরনো দাতব্য দার আল বের। এবার সংস্থাটি সারাদেশে ৩২টি তাঁবু স্থাপন করেছে।
সংস্থার উপ পরিচালক হিশাম আল জাহরানি বলেন, সংস্থাটি এমন ইফতার আয়োজন করে আসছে ১৯৯৯ সাল থেকে।
সেই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর ইফতার সংগ্রহ ও বিতরণের হার বেড়ে চলছে। চলতি বছর আমরা এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় আয়োজন করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের সংস্থাটি পরিচালিত হয় প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সুযোগ্য নির্দেশনায়। আর রমজান মাস হলো দানের মাস। এ বিষয়ের প্রতি খেয়াল রেখে আরব আমিরাতের জনগণ সাধারণ মানুষের ইফতার আয়োজনে আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে এসেছেন।
হিশাম আল জাহরানি বলেন, প্রথম যে বছর আমরা কাজ শুরু করি- সে সময় প্রতিদিন ৩ হাজার ইফতার বিতরণ করতাম। কিন্তু এখন প্রতিদিন ইফতার বিতরণ করছি ১১ হাজার ৫শ’ প্যাকেট।
আমাদের ছোট তাঁবুতে ১শ’ জনের ব্যবস্থা রয়েছে আর বড়টিতে ২ হাজার ৫শ’ জনের। যে কেউ এসে আমাদের এখানে ইফতারে শরিক হতে পারে। চাই সে রোজাদার হোক বা না হোক, মুসলিম হোক বা না হোক।
এটাই হচ্ছে রমজান মাসের মাহাত্ম্য। ইফতারে থাকে পানি, জুস, দুধ, ফল, খেজুর আর কখনও বা বিরিয়ানির মতো কোনো খাবার।
-গালফ নিউজ অবলম্বনে
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২২২১ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৭
এমএইউ/