ঢাকা, বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

সালতামামি

বছরজুড়েই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু কৃষি খাত

তানভীর আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
বছরজুড়েই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু কৃষি খাত ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: কৃষি প্রধান বাংলাদেশ। এ দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে মিশে আছে কৃষি খাত।

বৈশিক মহামারি করোনাভাইরাস পরবর্তী পরিস্থিতি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নানা উত্থান পতনের মধ্যে বছরজুড়েই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু কৃষি খাত। বিশেষ করে খাদ্যসংকট, দ্রব্যমূল্যের দাম ও সারের দাম বৃদ্ধি, লোডশেডিংসহ বেশ কিছু বিষয়ের দিকে নজর ছিল সাধারণ জনগণ থেকে সরকার প্রধান পর্যন্ত ।
করোনার অভিঘাত ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট সংকটময় পরিস্থিতিতে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে কৃষি খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়। বাজেটে কৃষি মন্ত্রণালয়কে ২৪ হাজার ২২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। আর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৫ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, গ্যাস ও সারের মূল্যের সাম্প্রতিক যে গতিপ্রকৃতি তাতে ভর্তুকি ব্যয় আরও ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় মোট জমি কম হলেও সম্প্রতি কৃষিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব পর্যায়ে ধান, পাট, কাঁঠাল, আম, পেয়ারা, আলু, সবজি ও মাছ উৎপাদনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে ৩য়, পাট উৎপাদনে ২য়, পাট রপ্তানিতে ১ম, সবজি উৎপাদনে ৩য়, আলু ও আম উৎপাদনে ৭ম, পেয়ারা উৎপাদনে ৮ম এবং মোট ফল উৎপাদনে ২৮তম স্থান র্অজন করছে। কৃষিতে সাফল্য বিবেচনায় প্রধান প্রধান কয়েকটি ফসলের ২০০৯ সালের সঙ্গে তুলনায় ২০২০ সাল পর্যন্ত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চালের উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ শতাংশ, গমের ৪৫ শতাংশ, ভুট্টার ৭৭৫ শতাংশ, আলুতে ১০১ শতাংশ, ডালে ৩৭৫ শতাংশ, তেলবীজে ৮১ শতাংশ, সবজির ক্ষেত্রে ৫৭৮ শতাংশ যা বিশ্বে অভাবনীয়।

কৃষিতে তাপমাত্রার প্রভাব
জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের কৃষির জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে বাড়ছে তাপমাত্রা। এ তাপমাত্রা বৃদ্ধি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চল থেকে বাংলাদেশে বেশি। যার বড় প্রভাব পড়ছে দেশের কৃষিখাতে। তাপমাত্রা বাড়ায় কৃষিখাতে ১৫ হাজার ৯৭০ মিলিয়ন ঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। সে সঙ্গে বছরে প্রায় দুই মাস খরা যাচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত হচ্ছে খাদ্য উৎপাদন। তাপমাত্রা বাড়ার কারণে বাংলাদেশের কৃষি খাত ১৫ হাজার ৯৭০ মিলিয়ন সম্ভাব্য ঘণ্টা হারিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উঠে আসে। তাপমাত্রার কারণে ১৯৮১ থেকে ২০১০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ভুট্টা ফলনের সম্ভাবনা ৩ দশমিক ১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। আর ধানের ফলনের সম্ভাবনা কমেছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।

উৎপাদন বাড়াতে প্রণোদনা
চলতি বছরের বোরোর আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রায় ১৭০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। সারাদেশের ২৭ লাখ কৃষক এ প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাচ্ছেন। তিনটি ধাপে বা ক্যাটাগরিতে দেওয়া হচ্ছে এসব প্রণোদনা। হাইব্রিড ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রায় ৮২ কোটি টাকার প্রণোদনার আওতায় ১৫ লাখ কৃষকের প্রত্যেককে দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে ২ কেজি ধানবীজ। উচ্চফলনশীল জাতের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রায় ৭৩ কোটি টাকার প্রণোদনার আওতায় উপকারভোগী কৃষক ১২ লাখ। এতে একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাচ্ছেন।

কৃষিতে আধুনিকতার ছোঁয়া
বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে দ্বিতীয় দফায় রাষ্ট্র পরিচালনায় এসেই কৃষিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে নানামুখি পরিকল্পনা ও কার্যক্রম শুরু করে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ তার মধ্যে অন্যতম। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কম্বাইন হারভেস্টার, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, পাওয়ার টিলারসহ মোট ৭৪ হাজার ৯৮০টি কৃষি যন্ত্রপাতি ডিএই’র মাধ্যমে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। যান্ত্রিকীকরণ তরান্বিত করতে গত দুই বছরেই বিতরণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৮৬৫টি কৃষি যন্ত্র। ২০২০-২৫ বছরের মধ্যে মোট ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষি যন্ত্র বিতরণের জন্য একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সহজ শর্তে কৃষি ঋণ

কৃষি উপকরণ ও কৃষি ঋণ সহজে বিতরণের লক্ষে সংস্থাটি  এরই মধ্যে ২ কোটি ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬৯ কৃষকের মধ্যে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ করেছে এবং দেশের কৃষকদের মাঝে নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও আপতকালীন কৃষি সহায়তা প্রদানে নিয়মিত প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এরই মধ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ও লক্ষ্যমাত্রা প্রণয়নসহ তা বাস্তবায়ন করছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কর্মপরিকল্পনাগুলো হলো, ২০৩০ সালের মধ্যে কৃষিজ উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করা, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, প্রতিকূলতাসহিষ্ণু নতুন নতুন জাত ও কৃষিনীতি বাস্তবায়ন করে উৎপাদনশীলতা ও উৎপাদন বৃদ্ধি, চরাঞ্চলে ও পাহাড়ে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ; সরিষা, বাদাম, তিল ও অন্যান্য তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ; দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ও হাওরাঞ্চলে ভাসমান সবজি চাষ সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ; রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার কমানো নিশ্চিতকরণ; মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ; কৃষি জমির সর্বোত্তম/সুষ্ঠুব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং পতিত জমি শতভাগ চাষের আওতায় আনয়ন; মোবাইলসহ ই-কৃষির মাধ্যমে কৃষকদের তথ্য প্রাপ্তির ব্যবস্থা জোরদারকরণ; সমন্বিত কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এবং কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে তা প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য কৃষি পণ্যভিত্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে তোলা।

কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার

কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বসতবাড়ির আঙ্গিনাসহ পতিত জমিতে তৈরি করা হচ্ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান। যেখানে বাড়ির পাশে শাকসবজি ও ফুল ফল চাষ করে বারো মাসের পুষ্টির চাহিদা পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাঠ পর্যয়ের কর্মীদের মাধ্যমে কৃষকদের ফেলে রাখা বাড়ির আঙিনাসহ পতিত জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ করে আসছে। এর আওতায় গ্রামের মানুষ বসতবাড়ির আঙিনা, পুকুর ও খালের পাড়, বাড়ির আশপাশ, প্রতি ইঞ্চি অব্যবহৃত ও অনাবাদি জমিতে শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন করবেন। এতে মানুষের পুষ্টিহীনতা দূর হওয়ার পাশাপাশি খাদ্যনিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।

রপ্তানিতে কৃষিপণ্য

রপ্তানি বাজারে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হলে কৃষি পণ্যের মান বাড়াতে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। সেক্ষেত্রে উৎপাদন পর্যায় থেকে  জাহাজীকরণ পর্যন্ত পণ্যের মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিতে সক্ষমতা তৈরি করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সব পর্যায়েই। এরই মধ্যে আম উৎপাদন করে ইউরোপিয়ান ও আমেরিকান বিভিন্ন চেইন মার্কেটে বিক্রি করে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। সরকারের সরাসরি উদ্যোগে চেষ্টা হচ্ছে পণ্য ও সেবার পরিধি বাড়াতে।

কৃষিতে প্রযুক্তির ছোঁয়া

কৃষি সম্প্রসারণে আইসিটি ও নতুন নতুন উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া ব্যবহারেও সংস্থাটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এরই মধ্যে ডিএইর সহায়তায় ‘কৃষি বাতায়নে’ প্রায় ৮০ লাখ কৃষকের তথ্যাদি সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এ ছাড়া, ফসলের সমস্যার সমাধানকল্পে সংস্থা কর্তৃক উদ্ভাবিত ‘কৃষকের জানালা’, ‘কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা’, ‘ডিজিটাল বালাইনাশক নির্দেশিকা’ ব্যবহার হচ্ছে এবং এগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমাদৃত ও পুরস্কৃত হয়েছে।

সারের দাম বাড়ানোয় বিপাকে কৃষক

ইউরিয়া সারের দাম বাড়ানোয় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। এতে কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এরপর রয়েছে-বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট। সবকিছু মিলে কৃষি খাতে উৎপাদনের খরচ বেড়েছে। বেশি সমস্যায় আছেন বর্গাচাষিরা। সারের দাম বৃদ্ধি এবং অনাবৃষ্টিসহ শ্রমিক ব্যয় ও আনুষঙ্গিক যে ব্যয় হবে, তাতে আমন চাষে লোকসান হবে। এর সঙ্গে তাদের নিজেদের শ্রমের মূল্য যুক্ত করলে লোকসানের পাল্লা আরও ভারী হবে। কিন্তু সারের দাম বাড়ানোয় দুশ্চিন্তার পড়েন কৃষকরা।

কৃষি অগ্রগতির চ্যালেঞ্জ

দুর্বল কৃষি বিপণন ব্যবস্থাপনা, ফসল কর্তন-উত্তর অধিক ক্ষতি, কৃষি কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য কৃষকের নিজস্ব মূলধনের অপ্রতুলতা, সীমিত প্রাতিষ্ঠানিক কৃষিঋণ, কৃষক সংগঠনের সক্রিয়তার অভাব, উপকরণ ব্যবহারের সীমিত দক্ষতা, রফতানি বাজারের চাহিদা পূরণের জন্য মানসম্মত পণ্য উৎপাদনের অপ্রতুল প্রযুক্তি, প্রতিকূল পরিবেশ উপযোগী প্রযুক্তির অপর্যাপ্ততা, বেসরকারি পর্যায়ে গবেষণা এবং উন্নয়নে অপর্যাপ্ত বিনিয়োগ। এ ছাড়া অবকাঠামোমূলক অপ্রতুল সুযোগ-সুবিধা, কৃষিতে বহুমুখীকরণের অভাব, কৃষি উপকরণের মান নিয়ন্ত্রণে দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব, কৃষি ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির অপর্যাপ্ত ব্যবহার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের অপ্রতুলতা, মানসম্পন্ন কৃষি উপকরণ উৎপাদন ও সরবরাহের অপর্যাপ্ততা, কৃষিজাত পণ্যের সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণের অপর্যাপ্ততা ও কৃষিপণ্যের পরিবহন ব্যবস্থার অপর্যাপ্ততা।

কৃষি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক গোলাম হাফিজ বাংলানিউজকে বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সারাবিশ্বে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়ে। ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু চ্যলেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় কৃষি খাতকে।  

তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠলেও তার রেশ রয়েছে এখনো। আশাকরি অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী বছরে আরও উন্নত হবে দেশের কৃষি খাত বলেও মন্তব্য করেন এ কৃষি অর্থনীতিবিদ।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে খাদ্য চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশে মাটির অতিরিক্ত ব্যবহার, মাটির অবক্ষয়, দূষণ, লবণাক্ততা, জলবায়ু পরিবর্তন, মাটির পুষ্টি উপাদানের অবক্ষয়, মাটি ক্ষয় প্রভৃতি সমস্যা আছে। তাছাড়া নগরায়ন, শিল্পায়নসহ নানা কারণে দেশে বছরে কৃষি জমি কমছে শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ।  

তিনি বলেন, সরকার মাটির টেকসই ব্যবহারের জন্য স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে ও বাস্তবায়ন করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর, ২০২২
টিএ/জেএইচ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।