সিলেট: চলে গেলো ২০১৩। ১৩ কে বলা হয় ‘আনলাকি থার্টিন’।
বছরের শেষ দিকে সিলেটের ক্রীড়াঅঙ্গনে আসে শুভবার্তা। উন্মোচন হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু বিভাগীয় স্টেডিয়াম। এর আগে মাঝামাঝিতে কয়েক যুগের নগরপিতার আসন থেকে বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে নামিয়ে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আরিফুল হক বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন।
বছরের শুরুর দিকে ২২ ফেব্রুয়ারি সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হামলা চালানো হয়। ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে মিছিল থেকে জামায়াত শিবির ও হেফাজত নেতাকর্মীরা ভাঙচুর চালায় শহীদ মিনারে গণজাগরণমঞ্চে। এসময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে এক কলেজ ছাত্র ও জামায়াত শিবিরের দুইকর্মী নিহত হন।
পরদিন ছাত্রলীগ নেতা জগৎজ্যোতি তালুকদারকে কুপিয়ে খুন করে জামায়াত শিবির ক্যাডাররা। প্রতিবাদে আওয়ামীলীগ পৃথক কর্মসূচি পালন করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে আসামিরা।
১৭ সেপ্টেম্বরের নগরীর কোর্ট পয়েন্টে বাসদ-সিপিবির সমাবেশে হামলা চালিয়ে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমসহ অন্তত ১০ জন নেতাকর্মীকে আহত করে জেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে।
এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর জিন্দাবাজারে সন্ধ্যারাতে মুহুর্মুহু ককটেল ফাটিয়ে একদল ডাকাত প্রকাশ্যে লুটপাট চালায় সিলেটের স্বণের মার্কেট বলে পরিচিত নেহার মার্কেটে। ডাকাত দলের গুলিতে নিহত হন এক নৈশপ্রহরী বাদশা মিয়া। আর অক্টোবরের প্রথম দিকে দক্ষিণ সুরমা সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে প্রকাশ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের ৮০ লাখ টাকা লুট হয়।
এর আগে ১৫ জুন সারাদেশের চার সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সিলেট সিটি করপোরেশনেরও নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে আওয়াম লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও বার বার নির্বাচিত বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী।
অব্যাহত আইনশৃংলা পরিস্থিতির অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে বছরের শেষদিকে যোগদানের এক বছরের আগেই বদলি হন মহানগর পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৪
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর