বগুড়া: বগুড়া জেলায় ২০১৩ সালে একটি এসএমজি, একটি রাইফেল ও ১১টি বিদেশি পিস্তল এবং বিভিন্ন ধরনের ধারালো অস্ত্রসহ বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলার ১২টি থানা এলাকা থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের অপরাধীদের কাছ থেকে একটি এসএমজি, একটি রাইফেল, ১১টি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশি পিস্তল, ৪টি রিভলবার, ৩টি পাইপগান, ২১টি ম্যাগজিন, বিভিন্ন বোরের ২৩৬ রাউন্ড গুলি, একটি রাইফেল স্কোপ, একটি রাইফেলের বাট, একটি বেয়নেট, একটি খেলনা এসএমজি ও রিভলবার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এছাড়া ১৮টি রাম দা, ৯টি তরবারি, ১৩টি চাপাতি, ১৫টি বড় ছোরা, ২৬টি বার্মিজ চাকু, ১০টি ডেগার, ৫টি হাসুয়া, একটি কিরিচ, একটি চাইনিজ কুড়াল, ৩৬টি লোহার রড, একটি হাতুড়ি, ৮টি হাতবোমা, ১৯৪টি ককটেল এবং ৩০০ গ্রাম গান পাউডারও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এদিকে ওই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে ৪৯টি, সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে ৪টি এবং গ্রেফতার হয়েছেন ৯১ জন।
সূত্র আরও জানায়, জেলা থেকে বিভিন্ন সময়ে অপরাধীদের কাছ থেকে বা তাদের হেফাজতে থাকা ১২ হাজার ৬৪৫ বোতল ফেন্সিডিল, ৫৯৩ কেজি ৬৫০ গ্রাম ১৫১০ পুঁড়িয়া গাজা, এক কেজি ৬৩ গ্রাম ২৫২ পুঁড়িয়া হিরোইন, ১৭৩২টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ৪১০৫টি নেশাজাতীয় উত্তেজক ইয়াবা ট্যাবলেট, ১৬৫ লিটার চোলাই মদ, ২০ লিটার জাওয়া(নেশাজাতীয় পানীয়), ৭২ বোতল বিষাক্ত স্পিরিট, ৩৪ বোতল দেশি মদ, ১৬ হাজার ৩২০ পিচ অন্যান্য নেশা জাতীয় ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মাদক উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে ৭৮৫টি এবং গ্রেফতার করা হয়েছে ৯৯৫ জনকে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার(এসপি) মোজাম্মল হক পিপিএম বাংলানিউজকে জানান, গত বছর ২০১৩ সাল রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যদিয়ে কেটেছে। যে কারণে অনেক সময় বিরামহীনভাবে পুলিশকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। এসব কারণে সদিচ্ছা থাকলেও সংঘর্ষ ঠেকাতে এবং নিয়মিত দায়িত্ব(ডেইলী ডিউটি) পালন করতে গিয়ে মাদক বা অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে খুব বেশি কাজ করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৪
সম্পাদনা: মিলিতা বাড়ৈ, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাক্টিং আউটপুট এডিটর