চাকরিপ্রার্থীদের চাহিদা ও কমিশনের কর্মচাঞ্চল্যের কারণে বিদায়ী বছরে এ নিয়োগের সুপারিশ সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরের চাহিদাপত্র অনুসারে ক্যাডার পদ এবং প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর নন ক্যাডার পদে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি।
পিএসসি জানায়, ৩৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হবে। এছাড়া ৩৬তম বিসিএসের লিখিত ফলের অপেক্ষা এবং ৩৫তম বিসিএসের প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষ হয়েছে সোমবার (০২ জানুয়ারি)।
কমিশনের দুই বছরের সুপারিশের তুলনামূলক র্পযালোচনা করে দেখা গেছে, ২০১৫ সালে মোট নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৯৪ জন ও ২০১৬ সালে ১৩ হাজার ৩৩ জন।
২০১৫ সালে ক্যাডার পদে ৩৪তম বিসিএস থেকে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন ২ হাজার ১৭৬ জন। আর ২০১৬ সালে ৩৫তম বিসিএস থেকে সুপারিশ পেয়েছেন ২ হাজার ১৭৪ জন।
২০১৫ সালে নন ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন মোট এক হাজার ১০৪ জন। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণীতে ৮৯৯ জন ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে পেয়েছেন ২০৫ জন। ২০১৬ সালে প্রথম শ্রেণীতে ২৪৫ জন ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে ১০ হাজার ৪৩৭ জন মিলে মোট ১০ হাজার ৬৮২ জন সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন।
ক্যাডার পদে ২০১৫ সালে ৩৪তম বিসিএস থেকে দুই হাজার ১৭৬ জনকে সুপারিশ করেছে পিএসসি। ২০১৬ সালে ৩৫তম বিসিএস থেকে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন দুই হাজার ১৭৪ জন।
২০১৫ সালে ৩৩তম বিসিএস থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নন ক্যাডার পদে ৩৩৩ জন, ৩৪তম বিসিএস থেকে প্রথম শ্রেণীর নন ক্যাডার পদে ৮১ জনসহ মোট ৪১৪ জন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। আর ২০১৬ সালে ৩৪তম বিসিএস থেকে প্রথম শ্রেণীর নন ক্যাডার পদে ৩২৮ জন ও দ্বিতীয় শ্রেণীর নন ক্যাডার পদে ১ হাজার ৮৪৯ জনসহ মোট সুপারিশ পেয়েছেন ২ হাজার ১৭৭ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৭
এমআইএইচ/এএসআর