বিদায়ী বছর ২০১৭ সালের শুরু থেকেই বিচ্ছিন্নভাবে চলে আসছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এ কার্যক্রম। কিন্তু মার্চে হঠাৎ করেই ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে।
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের শীর্ষনেতা মুফতি হান্নানকে ছিনিয়ে নিতে ০৬ মার্চ টঙ্গীতে প্রিজনভ্যানে হামলা চালিয়ে প্রশাসনকে বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছিলো জঙ্গিরা। এরপর থেকে মার্চের শেষদিন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ছিলো নানামুখী আক্রমণ, জঙ্গি আস্তানার সন্ধান লাভ, অভিযান আর হতাহতের ঘটনা-দুর্ঘটনায় ঠাসা মুহূর্ত।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধারাবাহিক এ অভিযানের শুরুটা হয়েছিল কুমিল্লার কোটবাড়িতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের বাসের মাধ্যমে, যা ছিলো জঙ্গি নির্মূল কার্যক্রমের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওই অভিযানে পুলিশের ওপর বোমা হামলা চালানো দুই জঙ্গি আটক হন। যার সূত্র ধরে সন্ধান মেলে চট্টগ্রামের সাধন কুটিরের জঙ্গি আস্তানার। সেখানে জব্দ হয় একটি সাধারণ মোবাইল ফোনসেট ও একটি সিমকার্ড। এ ফোনের তথ্য ও সিমকার্ডই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ও আস্তানা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়।
সেই সূত্র ধরে চলে বছরের সবচেয়ে বড় জঙ্গিবিরোধী অভিযান সিলেটের আতিয়া মহলে পরিচালিত ‘অপারেশন টোয়েলাইট’, মৌলভীবাজারের বড়হাটে ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’, নাসিরপুরে ‘অপারেশন হিটব্যাক’ ও কুমিল্লার কোট বাড়িতে ‘অপারেশন স্ট্রাইক আউট’ ইত্যাদি।
মুফতি হান্নানকে ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের শীর্ষনেতা মুফতি হান্নান ও তার সহযোগীদের ছিনিয়ে নিতে প্রিজনভ্যানের বহরে ০৬ মার্চ বিকেলে পরিকল্পিত বোমা হামলা করে বসে জঙ্গিরা। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গি কলেজ গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চারটি প্রিজনভ্যানে মুফতি হান্নানসহ বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে ঢাকার আদালত থেকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। এ সময় ময়মনসিংহের যুবক মোস্তফা কামালকে (২৫) হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকে একটি হ্যান্ড গ্রেনেডসহ পাঁচটি বোমা, দুটি পেট্রোল বোমা, দু’টি চাপাতি ও সাড়ে সাত হাজার টাকা জব্দ করা হয়। পুলিশ জানায়, হামলার আগে হান্নানকে ছিনিয়ে নিতে জেলের ভেতরে যোগাযোগ ও রেকি করার গোয়েন্দা তথ্য ছিলো।
এর দুই সপ্তাহ আগে রাজধানীর শাহজাহানপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তিনজন সন্দেহভাজন জঙ্গি আবু বকর সিদ্দিক মাহমুদ (২২), জাভেদ হোসেন (১৯) ও সালেহ আহমেদকে (৪৯) গ্রেফতার করে পুলিশ। তারাও ত্রিশাল হামলার আদলে মুফতি হান্নানকে ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন।
২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রধারী একদল ব্যক্তি ময়মনসিংহের ত্রিশালে একটি প্রিজনভ্যানে হামলা চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত তিন জেএমবি জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ওই জঙ্গিদের দু’জন ছিলেন মৃত্যুদণ্ড পাওয়া। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই ছিনিয়ে নেওয়া একজন টাঙ্গাইলে সখিপুরে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন ও ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
কুমিল্লায় বাসে অভিযান
টঙ্গীতে ‘জঙ্গি নেতা’ মুফতি হান্নানকে প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার পরদিন ০৬ মার্চ কুমিল্লায় পুলিশের ওপর বোমা হামলা করেন দুই জঙ্গি। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। যাত্রীবাহী বাসে নিরাপত্তা তল্লাশির সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃত দুই জেএমবি সদস্য হচ্ছেন- চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে হাসান এবং জসীম।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ছুটে যান হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম ও কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম, কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন, র্যাব, পিবিআই, ডিবিসহ পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। সেখান থেকে কড়া পুলিশি প্রহরায় জঙ্গিদের কুমিল্লায় নিয়ে আসা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকার দুই জঙ্গি আস্তানার সন্ধান মেলে।
অপারেশন অ্যাসল্ট ১৬
কুমিল্লায় গ্রেফতারকৃত হাসান ও জসীমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ০৮ মার্চ রাতে সীতাকুণ্ডের পাশের উপজেলা চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের একটি বাড়ি থেকে ২৯টি বোমা ও ৯টি চাপাতি জব্দ করে পুলিশ। মিরসরাইয়ের ওই বাড়িতেই তারা ভাড়া থাকতেন।
০৯ মার্চ ফোন ট্র্যাকিং ও বাড়ির মালিকের সহায়তায় আমিরাবাদ এলাকায় এক জঙ্গি দম্পতির সন্ধান মেলে। তাদের কাছ থেকে তিনটি গ্রেনেড, একটি সুইসাইডাল ভেস্ট (আত্মঘাতী হামলার জন্য বোমার তৈরি বেল্ট), পিস্তল, বুলেট ও বোমা তৈরির বিপুল সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
তবে বিদায়ী বছরের প্রথম পরিকল্পিত জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালানো হয় ১৭ মার্চ। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের একটি বাড়িতে চালানো ‘অপারেশন অ্যাসল্ট ১৬’ নামে পুলিশ-সোয়াটের এ অভিযানে ৪ জঙ্গি নিহত হন।
সীতাকুণ্ডের প্রেমতলা চৌধুরীপাড়া এলাকার ‘ছায়ানীড়’ নামের একটি বাড়ি ১৬ মার্চ বিকেল থেকে ঘিরে রাখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাত ১১টা পর্যন্ত বাড়ির ভেতর থেকে তিন দফায় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোঁড়ে জঙ্গিরা। এতে পুলিশের এক কর্মকর্তা আহত হন। জঙ্গি আস্তানা লক্ষ্য করে পুলিশও কয়েক দফা গুলি ছোঁড়ে। এর আগে বিকেল পাঁচটা ও সন্ধ্যা ছয়টায় দু’দফা ওই বাড়িতে থাকা জঙ্গিদের বের হতে মাইকিং করা হয়।
রাত পৌনে একটায় ঢাকা থেকে সোয়াট দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এর আগে ঢাকা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একটি দল আসে। আর আগেই চট্টগ্রাম থেকে র্যাব, সোয়াট (স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস্) ও পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের সদস্যরা সেখানে যান।
ওই অভিযানে জেএমবির এক নারীসহ ৫ জঙ্গি আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন। পুলিশ-র্যাব, সিএমপি’র সোয়াট টিমের সঙ্গে ঢাকা থেকে সোয়াট টিম এবং পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একটি দলের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ দল ‘অপারেশন অ্যাসল্ট-১৬’ অভিযানটি পরিচালনা করে। অভিযানের সময় পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের ব্যাপক গোলাগুলি হয় এবং ওই আস্তানা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এক পর্যায়ে জঙ্গিরা আস্তানার ভেতর থেকে আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। অভিযানে সোয়াট টিমের ২ সদস্য আহত হন।
এ অভিযানেই পুলিশ একটি মোবাইল সেট ও একটি ব্যবহৃত সিমকার্ড উদ্ধার করে। যার ভিত্তিতে মেলে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আতিয়া মহল ও মৌলভীবাজারের বড়হাট এবং নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানাসহ বেশ কয়েকটি জঙ্গি আস্তানার সন্ধান।
অপারেশন টোয়াইলাইট
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জঙ্গিবিরোধী অভিযান এটি। ২৫ মার্চ থেকে শুরু এ অভিযান চলে ২৮ মার্চ পর্যন্ত। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানের নামকরণ করা হয় ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’। এতে নিহত হন মুসাসহ চার জঙ্গি।
অপারেশন টোয়াইলাইট অর্থ গোধূলি বা সন্ধ্যার অভিযান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো দল (বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশন ও বিশেষায়িত কমান্ডো দল) জঙ্গিবিরোধী অভিযানের এ নামকরণ করে। অভিযানটিতে জঙ্গি দমনে সেনাবাহিনী সময় নেয় টানা ১১১ ঘণ্টা।
সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা ২৫ মার্চ দুপুরে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পাঁচতলা বাড়িটির প্রতি তলায় ৬টি করে মোট ৩০টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ২৮টিতে বসবাসকারী ৭৮ জন জিম্মিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন। তাদের মধ্যে ছিলেন ৩০ জন পুরুষ, ২৭ জন মহিলা ও ২১ জন শিশু।
২৫ মার্চ আতিয়া মহল থেকে ২০০ গজ দূরে জঙ্গিদের বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন। আহত হন র্যাবের গোয়েন্দা প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদসহ ৪৪ জন। পরে হেলিকপ্টারে ঢাকায় এনে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে আজাদকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। পুলিশের ভাষ্য অনুসারে, মৌলভীবাজারের আস্তানা থেকে সিলেটে গিয়ে বোমা পেতে আসে জঙ্গিরা। এর পরই ঘটে প্রাণঘাতী বিস্ফোরণ। আতিয়া মহলে চালানো অভিযানের সময় জঙ্গিদের কন্ট্রোলরুম হিসেবেও কাজ করে মৌলভীবাজারের ওই দুই জঙ্গি আস্তানা।
অপারেশন টোয়াইলাইট শুরুর আগে ২৪ মার্চ রাত দেড়টার দিকে পুলিশ সদস্যরা সিলেটের শিববাড়ির পাঠানপাড়া সড়কের পাশের আতিয়া মহলটি ঘিরে ফেলেন। রাত সাড়ে ৪টার দিকে তারা নিশ্চিত হন, আতিয়া মহলের নিচতলায় অবস্থান করছে জঙ্গিরা। পুলিশ সদস্যরা তখন আতিয়া মহলের নিচতলার ছয়টি কক্ষ বাইরে থেকে বন্ধ করে ও ভবনের মূল প্রবেশপথের কলাপসিবল গেটে তালা লাগিয়ে বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। এ সময় পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা তাদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুঁড়ে মারে। তখন জঙ্গিদের দক্ষতা ও আটাশটি পরিবারের নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনা করে বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াটের সহায়তা কামনা করে সিলেট পুলিশ। পরে পরিস্থিতি বিবেচনায় অভিযানে যুক্ত করা হয় সেনাবাহিনীকেও।
অপারেশন হিটব্যাক
আতিয়া মহলের অভিযান শেষ হওয়ার আগেই ২৮ মার্চ মৌলভীবাজারের নাসিরপুর ও বড়হাটের দুই বাড়ি ঘিরে রাখে সাদা পোশাকের পুলিশ। এরপর ২৯ মার্চ ভোর থেকে বাড়ি দু’টিতে অভিযান শুরু হয়।
নাসিরপুরের অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন হিটব্যাক’। এ অভিযানে নারী-পুরুষ, শিশুসহ সাতজনের মরদেহ পাওয়া যায়। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য এবং সবারই মৃত্যু হয় আত্মঘাতি বিস্ফোরণে।
২৯ মার্চ ভোরে মৌলভীবাজার শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামে ‘অপারেশন হিটব্যাক’ শুরু করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সঙ্গে সোয়াট। পরে রাত দশটার দিকে মূলতবি করা হয়।
৩০ মার্চ ভোরের বৈরী আবহাওয়ার কারণে নাসিরপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে ছেদ পড়ে। আবহাওয়ার বৈরী ভাব কেটে গেলে সকাল সাড়ে ১০টায় জঙ্গি আস্তানায় ফের অভিযান শুরু করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও সোয়াট।
অভিযানের শুরুতে ড্রোন পাঠিয়ে ভেতরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং পরে পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা ভেতরে থাকা বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করেন। অভিযান চলাকালে নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানায় মাঝে মাঝে গুলির শব্দ শোনা যায়। এর কিছুক্ষণ পর টানা গুলির শব্দ ভেসে আসে। এরই মধ্যে বিকাল ৫টার দিকে অপারেশন হিটব্যাক সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
অপারেশন ম্যাক্সিমাস
২৯ মার্চ মৌলভীবাজারের বড়হাটে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ শেষ হয় ০১ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টায়। এতে নিহত হন ৩ জঙ্গি। অভিযান শেষে পুলিশ জানিয়েছিলো, আতিয়া মহলের পাশে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় হামলাকারী একজন নয়, তার সঙ্গে আরও জঙ্গি যুক্ত ছিলেন। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে একজন সিলেটের আতিয়া মহলের পাশে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মোটরসাইকেলযোগে মৌলভীবাজারে চলে আসেন।
অভিযান শেষে পুলিশ দাবি করে, ‘আমরা আগেই জানতে পেরেছিলাম, বড়হাটে ৩ জন জঙ্গি অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে একজন নারী ও দু'জন পুরুষ। বড়হাটের বাড়িতে একাধিক নির্মাণাধীন ভবন ও অনেকগুলো কক্ষ ছিলো। জঙ্গিরা কক্ষগুলোতে এক্সপ্লোসিভ সেট করে রেখেছিল। নাসিরপুরের অভিযান চলমান থাকায় এ অভিযান শেষ করতে দেরি হয় পুলিশের’।
এসব অভিযান ছাড়াও কুমিল্লার কোটবাড়িতে চালানো হয় অপারেশন স্ট্রাইক আউট। ঝিনাইদহ, রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়ায়ও চলে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান। ঢাকায় চালানো অভিযানে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন গুলশান হামলার অন্যতম অভিযুক্ত মারজান।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
আরএম/এএসআর