ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

সালতামামি

আবাসিক হল খোলার দাবি ছিল বছরজুড়ে

সাজ্জাদুল কবির, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
আবাসিক হল খোলার দাবি ছিল বছরজুড়ে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): সময়ের আবর্তনে বিদায় নিচ্ছে ২০২১। করোনা পরিস্থিতির চরম অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে শুরু হয় নতুন বছর।

লকডাউন-কঠোর লকডাউনে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে ওঠে। তবে, পরিস্থিতির উন্নতি হলে ধাপে ধাপে সবকিছু খোলা হলেও বন্ধ থাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হল খুলে দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছিল লক্ষ্য করার মতো। বিষয়টিকে সামনে রেখে ২০২১ সালের ঢাবির আলোচিত ঘটনা তুলে ধরা হলো-
 
১৮ মাস বন্ধ থাকার রেকর্ডে আবাসিক হল

২০২০ সালের মার্চ মাসে বন্ধ ঘোষণা করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল। কিন্তু বিভিন্ন সময় হল খোলার তারিখ ঘোষিত হলেও পেছানো হয়। পরে অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও শিক্ষার্থীরা হল খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সক্রিয় হয় শিক্ষার্থীরা। জোরপূর্বক হলে প্রবেশের ঘটনাও ঘটে। সর্বশেষ একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫ অক্টোবর খুলে দেওয়া হয় সব আবাসিক হল। শিক্ষার্থীদের ফুল মাস্ক দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
 
শতবর্ষের মাইলফলক

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য শতবর্ষের মাইলফলক স্পর্শ করা গৌরবের। মাত্র তিনটি অনুষদ নিয়ে যাত্রা করা ঢাবির পরিধি বেড়েছে ব্যাপক। জ্ঞান-বিতরণের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রযেছে বর্ণিল অতীত। চলতি বছরের পহেলা জুলাই সীমিত পরিসরে শতবর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের চালিকাশক্তি শিক্ষার্থীদের নিয়ে পহেলা ডিসেম্বরে রাষ্টপতি শতর্বষের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
 
বিভাগীয় শহরে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা

শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রথমবারের মতো বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়।
 
বিবাহিত ছাত্রীদের হলে থাকার সুযোগ

ঢাবির হলে বিবাহিত ছাত্রীদের হলে থাকা নিয়ে বিভিন্ন নিয়ম প্রচলিত ছিল। বিষয়টি বর্তমান সময়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় নিয়ম বাতিলের দাবি ওঠে। শিক্ষার্থীদের পাশপাশি গণমাধ্যমকর্মীরা ব্যাপক প্রতিবেদন করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে জরুরী প্রভোস্ট কমিটির সভা করে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়।
 
মৃত্যুর মিছিলে ২৯ শিক্ষক

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিভিন্ন কারণে এ বছর মারা গেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের বর্তমান ও প্রাক্তন ২৯ জন শিক্ষক। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন- উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. নাজমা চৌধুরী, দর্শন বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আবদুল মতীন, খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম খান, মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ হাসান, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক কে এম মোহসীন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ সালেহীন কাদরী, সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক ড. ফয়েজুন্নেছা বেগম, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. গালিব আহসান খান, গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রহমান।
 
জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা হলেন- পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. এ. এম. হারুন-অর-রশীদ, অধ্যাপক ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন, অধ্যাপক ড. এম এ এম মুহতাশাম হোসেন, অর্থনীতির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী রশিদ, অধ্যাপক ড. আইয়ুবুর রহমান ভূঞা, বাংলার অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আহমদ কবির, সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. রাবেয়া খাতুন, লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. আবু হামিদ লতিফ, গণিতের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল মালেক, ইতিহাসের অধ্যাপক ড. এ বি এম মাহমুদ এবং ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক কাশীনাথ রায়।
 
এছাড়া নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাশীদ মাহমুদ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. জামাল খান, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মাহবুব আহসান খান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. সেকুল ইসলাম, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার বালা মারা যান।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
এসকেবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।