ঢাকা, বুধবার, ৯ বৈশাখ ১৪৩২, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

সারাদেশ

কৈখালী সীমান্ত থেকে নারী-শিশুসহ আটক ১২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৫
কৈখালী সীমান্ত থেকে নারী-শিশুসহ আটক ১২

সাতক্ষীরার কৈখালী সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় নারী-শিশুসহ ১২ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।  

সোমবার (২১ এপ্রিল) রাতে কৈখালী সীমান্তের সুন্দরবনের ভেতরের বাংলাদেশ অংশের কালিন্দি নদীর বয়াসিং বকচরা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

পরে রাতেই তাদের শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করে বিজিবি।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনার কয়রা উপজেলার হাতিয়ারডাঙ্গা গ্রামের রাজীব সরকারের ছেলে অনুপম সরকার (২৮), তার স্ত্রী পিংকি বৈরাগী (২৬) ও ছেলে দেবরাজ সরকার (৮), খুলনার পাইকগাছা উপজেলার খড়িয়া বাসাখালী গ্রামের শচীন সানা (১৮), টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার রুমি (১৮) এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সুইটি ইসলাম (২২) রয়েছেন।  

এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, চারটি মোবাইলফোন, সাড়ে চার হাজার ভারতীয় রুপি ও ২৪০ বাংলাদেশি টাকা জব্দ করা হয়।

কৈখালী বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার আবু বক্কার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কালিন্দি নদীর বয়ারসিং বকচরা এলাকায় মানব পাচারকারী চক্রের আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে ভারতে পাঠানোর জন্য নারী-শিশুসহ ১২ জনকে জড়ো করেছিলেন মামুন কয়াল ও আজিজুল কয়ালসহ মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা। সেখান থেকে তাদের আটক করা হয়। তবে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে মানবপাচারকারীরা আগেই পালিয়ে যান।  

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানান, বিনা পাসপোর্টে তাদের অবৈধভাবে ভারতে পাঠানো হচ্ছিল।
 
এ বিষয়ে নীলডুমুর রিভারাইন বর্ডার গার্ডের (আরবিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সৈয়দ আব্দুর রউফ জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে পাচারকারী মামুন কয়াল, আজিজুলসহ মানবপাচার চক্রের অন্যান্য সদস্যদের খপ্পড়ে পড়ে আটকদের বেশ কয়েক দিন ধরে কৈখালী সীমান্ত এলাকায় (পাচারকারীদের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায়) নিয়ে রাখে। এরপর পাচারের উদ্দেশে সুযোগ বুঝে তারা (পাচারকারীরা) কৈখালী সীমান্তের সুন্দরবনের ভেতরের বাংলাদেশ অংশের কালিন্দি নদীর বয়ারসিং বকচরা এলাকায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা তা স্বীকার করেছেন।  

আটক কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোবাইলফোনের মাধ্যমে ভারত এবং বাংলাদেশের পাচার চক্রের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা শ্যামনগর বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সেখান থেকে নজরুলসহ ওই চক্রের কয়েকজন সদস্য তাদের রিসিভ করেন। এরপর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় সীমান্তবর্তী কৈখালী এলাকায়। সেখানে মামুন কয়াল, আজিজুল গাজীসহ কয়েকজন তাদের ওই স্থানে নিয়ে যান। এরপর সেখান থেকে তাদের আটক করে বিজিবি।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্যা বলেন, বিজিবির হাতে আটকদের দুটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৫
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।