ঢাকা, সোমবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

যমুনার তীরে ভেড়ানো বেওয়ারিশ জাহাজে চুরির অভিযোগে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:১৩, মে ১৮, ২০২৫
যমুনার তীরে ভেড়ানো বেওয়ারিশ জাহাজে চুরির অভিযোগে মামলা যমুনা নদীর তীরে ভেড়ানো ট্যাগবোট।

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে যমুনা নদীর তীরে ভেড়ানো বেওয়ারিশ সেই ট্যাগবোটে (এক ধরনের জাহাজ) চুরির অভিযোগে নৈশপ্রহরীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

রোববার (১৮ মে) বিকেলে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে ট্যাগবোটটি চুরির ঘটনায় মেসার্স এম নাসির অ্যান্ড কোম্পানির ম্যানেজার (অপারেশন) সুমন সাহা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

 

তিনি বলেন, শনিবার (১৭ মে) রাতে মামলাটি এজাহারভুক্ত হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মামলার প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর আলম টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানার গরিলাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। বাকি দুইজন তার সহযোগী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‌‌এম টি আনোয়ারা নাসির-২ নামের নৌযানটি একটি পুরোনো ট্যাগবোট। গত ২ মে জাহাজটি এনায়েতপুর স্পার বাঁধের ৫শ গজ দক্ষিণে দেখা যায়। দুয়েকদিন পর ১০ থেকে ১৫ জনের একটি চক্র লোহা কাটার যন্ত্র নিয়ে এর ওপরের অংশ এবং ইঞ্জিনটি কেটে নৌকায় করে নিয়ে যায়। বিষয়টি পুলিশ জানার পর চক্রের সদস্যরা আর আসেনি। দুই সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার
জাহাজটির মালিকের সন্ধান পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের মেসার্স এম নাসির অ্যান্ড কোম্পানির মালিকপক্ষ থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ নিশ্চিত হয় এটি তাদের জাহাজ।

মেসার্স এম নাসির অ্যান্ড কোম্পানির ম্যানেজার (অপারেশন) সুমন সাহা জানান, চাঁদগাও এলাকার বাসিন্দা মো. নাসির উদ্দিনের ১০ থেকে ১২টি জাহাজ রয়েছে। এম টি আনোয়ারা নাসির-২ জাহাজটি যমুনা রেলসেতু বাস্তবায়নকারী সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টিএলএনকে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। সেতুর কাজ শেষে ওই কোম্পানি চলে যায়। এরপর যমুনায় নাব্যতা সংকটের কারণে জাহাজটি নদীর পূর্বপাড়ে
ভিড়িয়ে রাখা হয়। জাহাজটি দেখাশোনার জন্য নৈশপ্রহরী জাহাঙ্গীরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।  

তিনি বলেন, জাহাজটির মূল্য আনুমানিক সাড়ে তিন কোটি টাকা। ইতোমধ্যে এর ৫৫ থেকে ৬০ লাখ টাকার যন্ত্রাংশ চুরি হয়েছে।

জাহাজের মালিক নাসির উদ্দিনের ছেলে শাহেদ নাসির বলেন, জাহাজটি দেখাশোনার জন্য গার্ড জাহাঙ্গীরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি আমাদের বলেছিলেন জাহাজ ঠিকঠাক আছে। কিন্তু গার্ড জাহাঙ্গীর অন্য কারও সঙ্গে যুক্ত হয়ে এটা চুরি করেছেন। পরে আমরা বিষয়টি জানতে পেরে থানায় মামলা দায়ের করেছি।

আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।