ঢাকা, বুধবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২১ মে ২০২৫, ২৩ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল, নগরে জলাবদ্ধতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩:১৭, মে ২১, ২০২৫
পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল, নগরে জলাবদ্ধতা

সিলেট: পাহাড়ি ঢল আর ভারি বর্ষণে প্রতি বছর অকাল বন্যা দেখা দেয় সিলেটে। তলিয়ে যায় সিলেট বিভাগের নিম্নাঞ্চল।

এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
 
জ্যৈষ্ঠের প্রথম সপ্তাহে যেখানে কাঠফাঁটা রোদ থাকার কথা, সেখানে সিলেটের প্রকৃতি ও আবহাওয়া ভিন্ন। বিশেষ করে উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়ে গেছে। সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, সারি, ধলাই, লোভাছড়া ও মনুসহ পাহাড়ি নদীগুলোর পানি দফায় দফায় বাড়ছে।
 
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর পর্যন্ত টানা বর্ষণে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জের বেশকিছু নিম্নাঞ্চল পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে। জাফলংয়ের জিরো পয়েন্টসহ আশপাশের পিয়াইন নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢলে আশপাশের এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
 
বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলোর খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে উল্লেখ করে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার উজ জামান বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেনে বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলোর জন্য নৌকা ও অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখেন।
 
এছাড়া শুকনো খাবার, স্যালাইন রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
 
নদীর পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর তীরে ভাঙনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
 
স্থানীয় প্রশাসনের বরাতে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
 
জানা গেছে, জাফলংয়ের অধিকাংশ পর্যটন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের পর্যটন কার্যক্রম। নিরাপত্তার স্বার্থে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
 
এছাড়া জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোও তলিয়ে গেছে। পানি বেড়েই চলেছে। এসব এলাকায়ও প্রবল গতি ও ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে। এলাকাগুলোর কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
 
এদিকে মঙ্গলবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নগরের ছড়াখালগুলোও পানিতে ভরে গেছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে ভারি বর্ষণে সিলেট নগরের পীরমহল্লা, দরগাহ গেইট, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা, বঙ্গবীর রোড, মাছিমপুর, ছড়ারপার, মেজরটিলা বাহুবলসহ বেশ কিছু এলাকার গুরুত্বপুর্ণ সড়কে পানি জমে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নগরবাসী।  

আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব আহমদ বলেন, সিলেটে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বা এর বেশি গতিবেগে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে।

এনইউ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।