ঢাকা, বুধবার, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৪ জুন ২০২৫, ০৭ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

গাইবান্ধায় পিটিয়ে মিষ্টি কারিগরের দাঁত ভেঙে দিলেন হোটেল মালিক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:০৭, জুন ২, ২০২৫
গাইবান্ধায় পিটিয়ে মিষ্টি কারিগরের দাঁত ভেঙে দিলেন হোটেল মালিক আহত ভবেশ

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে তুচ্ছ ঘটনায় ভবেশ চন্দ্র সরকার (৭২) নামে এক মিষ্টি কারিগরকে পিটিয়ে দাঁত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত আবু তালেব স্থানীয় মিষ্টান্ন ভাণ্ডার নামে একটি হোটেলের মালিক।

 

সোমবার (২ জুন) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিছানায় শুয়ে ব্যথায় কাতরাতে দেখা যায় বৃদ্ধ ভবেশকে।

তাকে গাছের খড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাত, মুখ ও শরীরে ফোলা জখমসহ একটি দাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছে।  

এর আগে শনিবার (৩১ মে) দুপুরে উপজেলা শহরের চৌমাথা মোড়ের সাদুল্লাপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার নামে একটি হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।  

এ ঘটনায় হামলার শিকার জামুডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী ভবেশ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে সাদুল্লাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।  

অভিযুক্ত হোটেল মালিক আবুল তালেব (৪০) বনগ্রাম ইউনিয়নের জয়েনপুর গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভবেশ চন্দ্র সরকার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, মিষ্টির কারিগর হিসেবে হোটেলে কাজ করি। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হোটেলের ভেতরে মিষ্টি বানানোর কাজ করছিলাম। হোটেলের একটি ফ্রিজের বৈদ্যুতিক লাইনের তার ইঁদুর কেটে ফেলেছে। কিন্তু বিষয়টি আমার জানা না থাকলেও হোটেল মালিক আবু তালেব আমাকে গালিগালাজ করেন। এসময় তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করি এবং হোটেল কাজ করবো না বলে জানাই।  

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবু তালেব আমাকে কিল-ঘুষি ও লাথি দেন। একপর্যায়ে আবু তালেব গাছের খড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আমার হাত, মুখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। এতে আমার ওপরের মাড়ির একটি দাঁত ভেঙে গেছে এবং একটির গোড়া নড়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এসময় আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই। পরে খবর পেয়ে আমার ছেলে আশপাশের ব্যবসায়ীর সহায়তায় আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এসময় ভবেশ চন্দ্র অভিযোগ করে বলেন, শুধু আমাকে নয়, হোটেল মালিক আবু তালেব এর আগেও নানা কারণে শ্রমিকদের মারধরসহ নির্যাতন করেন। ঘটনার পর থেকে মামলা না করতে হুমকি দেওয়াসহ পুলিশকে ম্যানেজের চেষ্টা করছেন তালেব। তবে এমন অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনায় এবার তার সঠিক ও সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার জানান, হোটেল শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাদুল্লাপুর বণিক সমিতির সভাপতি শফিউল ইসলাম স্বপন বলেন, হোটেল শ্রমিকদের মধ্যে ভুল-ভ্রান্তি হতে পারে, কিন্তু তাকে বেআইনিভাবে মারধর করা ঠিক হয়নি। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে হোটেলে গিয়েও পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত আবু তালেবকে। ঘটনার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। এ কারণে তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।