হ্রদ, পাহাড়ের অপরূপ শহর পার্বত্য জেলা রাঙামাটি। দেশ ও দেশের বাইরে পর্যটকদের ভ্রমণের পছন্দের তালিকায় থাকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই জেলা।
প্রতি বছরই ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে জেলার বিনোদনকেন্দ্রগুলো। টানা ছুটি পাওয়ায় এবার প্রচুর পর্যটকের সমাগম হবে বলে আশা করছেন, হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট মালিকরা।
জেলার হোটেল-মোটেল মালিকরা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পর্যটক বরণে প্রস্তুত পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
ঈদের লম্বা ছুটিতে সাজেক, ঝুলন্ত সেতু, কাপ্তাই হ্রদ, পলওয়েল পার্ক, আরণ্যক, সুবলং ঝরণাসহ অসংখ্য মনোমুগ্ধকর পর্যটন স্পটগুলো মুখরিত হয়ে উঠবে হাজারো পর্যটকে।
রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের আকর্ষণের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু ‘কাপ্তাই হ্রদ’ পরিভ্রমণ করা। এজন্য বোটের মালিকরা নীলাভ জলরাশির কাপ্তাই হ্রদে পর্যটকদের ভ্রমণ করাতে ট্যুরিস্ট বোটগুলাকে প্রস্তুত করে নিয়েছে।
ট্যুরিস্ট বোট চালক সমিতির নেতা রজমান আলী বলেন, আশা করছি ঈদের ছুটিতে বেশ ভালো পর্যটক সমাগম হবে এবং আমরা ভালো ব্যবসা করতে পারব। পর্যটকদের বরণ করে নিতে আমরা আমাদের যাবতীয় প্রস্তুতি এরই মধ্যে শেষ করেছি।
রাঙামাটি পর্যটন নৌযান ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, পর্যটকদের বরণ করতে আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। বোটগুলো সংস্কার করাসহ যাবতীয় কাজ শেষ করেছি। ট্যুরিস্ট বোট ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের জন্য অপেক্ষায় আছেন। আশা করছি ঈদের ছুটিতে বেশ ভালো পরিমাণ পর্যটক সমাগম হবে।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, এবার ঈদুল আজহায় লম্বা ছুটি। ইতোমধ্যে আগামী ০৯ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত আমাদের মোটেলের ৮০ ভাগ অগ্রিম বুকিং করেছে পর্যটকরা। ঈদের ছুটিতে যারা রাঙামাটি বেড়াতে আসবে, তারা প্রাণভরে অপূর্ব রাঙামাটি ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবে বলে যোগ করেন এ ব্যবস্থাপক।
ব্যবস্থাপক আরও বলেন, যেহেতু সরকারি লম্বা ছুটি, তাই আশা করছি দেশের আবহাওয়া ভালো থাকলে আশানুরূপ পর্যটক এখানে আসবেন।
আরএ