নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় জমি বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করতে অন্তঃসত্ত্বা বোনকে হত্যার মামলায় ভাবি মাকছুদা আক্তার মালাসহ (৩২) দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সদস্যরা।

শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু।

এর আগে বুধবার (১১ জুন) দুপুর ২টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুকরাইলের মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  

গ্রেপ্তাররা হলেন- একই উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের পূর্ব চরমজিদ গ্রামের মো. হোসেনের স্ত্রী মাকছুদা আক্তার মালা ও একই গ্রামের কেরামত আলীর মেয়ে জাহানারা বেগম (৫৫)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিকটিম হালিমা খাতুন এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি মো. হোসেনের (৪৯) ছোট বোন। ভিকটিম তার বড় ভাইয়ের থেকে পৈত্রিক বাড়ির সম্পত্তি ক্রয় করে লিখিত স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ধাপে ধাপে টাকা পরিশোধ করেন। গত ৫ মে বড় ভাইয়ের কথামতো ভিকটিম লিখিত স্ট্যাম্পটি ফেরত নেওয়ার জন্য ভাইয়ের ভাড়া বাসায় যান। সেখানে বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে বড় ভাই হোসেন, ভাবি মাকছুদা আক্তার মালা ও জাহানারা নামে এক নারী মিলে পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমের প্রদত্ত টাকাগুলো আত্মসাতের জন্য তার হাত-পা চেপে ধরে রেখে মাথার বাম পাশে, চোখ-নাক ও বাম গালের ওপর ইট দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। পরে ভিকটিমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। ততক্ষণে অপরাধীরা পালিয়ে যান। পরে ভিকটিমকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভিকটিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ মে রাত ১০টার দিকে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গর্ভের শিশুসহ তার মৃত্যু হয়।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু আরও জানান, ভিকটিমের পরিবার বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাতক্ষীরা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এসআরএস